পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१३० পত্নী সভানেত্রী . নির্বাচিত হন । র্তাহার অভিভাষণে শিক্ষার বিস্তার, সমাজসংস্কার প্রভৃতির আবশ্বকতা বর্ণিত হইয়াছিল। ভারতীয় মুসলমান পুরুষদের অধিকাংশ, প্রাম সকলেই, ব্যবস্থাপক সভায় আলাদা প্রতিনিধি চান। কিন্তু ভারতবর্ষের মহিলানেত্রীরা সম্মিলিত নিৰ্ব্বাচনের পক্ষপাতী, মুসলমান নেত্রীরাও তাহা চান। মহিলাদের এই অসাম্প্রদায়িকতা ग्रूजक्छ । মহিলাদের কনফারেন্সে যুদ্ধের বিরুদ্ধে যে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, তাহা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এই কনফারেন্সে নারীদের উপর নানা অত্যাচার এবং তাছাদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধের নিন্দ করিয়া তাহার প্রতিকারার্থ প্রস্তাব ধাৰ্য্য করিবার চেষ্ট হয়। কিন্তু কনফারেন্সের কত্রীপক্ষ তাহা হইতে দেন নাই। ইহা ঠিকৃ হয় নাই। যাহা হউক, ভারতীয় নারী-সমিতির বঙ্গীয় শাখা এৰিষয়ে কিঞ্চিং মনোযোগ করিয়াছেন, ইহা কিঞ্চিৎ স্বলক্ষণ । মিঃ জিন্নার ঐক্য প্রার্থনা ! মিঃ জিন্না বিলাত হইতে ফিরিয়া আসিয়া হোয়াইট পেপারের দোষ উদঘাটন, এবং সকল ভারতীয় দলের একীভূত হইয়া সম্মিলিত চেষ্টা ও দাবী করিবার প্রয়োজন বর্ণনা করিয়াছেন। নূতন কথা নহে। কিন্তু তাহার বর্ণিত চোঁদ-দফাবিশিষ্ট মুসলমান সম্প্রদায়ের দাবী বিদ্যমান থাকিতে এবং নীলামের সৰ্ব্বোচ্চ ডাকে মুসলমান আনুগত্য ক্রয় করিবার ব্রিটিশ গবন্মেন্টের ইচ্ছা ও সামর্থ বিদ্যমান থাকিতে ঐক্য কিরূপে প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে, তাহা তিনি বা অন্ত কোন মুসলমান নেতা বা হিন্দু নেতা এপর্য্যন্ত বলিতে পারেন নাই । রামমোহন রায়ের সমালোচনা যাহারা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন, র্তাহারা তাহাকে সকল জীবের, সকল মামুষের, চেয়ে বড় বলিয়া মানেন । কিন্তু ঈশ্বরও সমালোচকদের হাত থেকে নিষ্কৃতি পান নাই। প্তাহার কত দোষ ক্রটি অসঙ্গতি অবিচার পক্ষপাতিত্বই ন তাহারা দেখাইয়াছে ! এমন কি, ঈশ্বরের অস্তিত্ব পর্যন্ত వీరజిరి কেহ কেহ অস্বীকার করিয়াছে । স্বতরাং কোন মানুষ ষে সমালোচকের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাইবে, এরূপ আশা করা যায় না। বস্তুত, সমালোচনা হইতে নিষ্কৃতি পাওয়া কাহারও পক্ষে ভাল নয়। সাধারণ মানুষ, যে-সে মহিষ, ত সমালোচিত হইতেই পারে। কিন্তু মনুষ্য-শ্রেষ্ঠ বলিয়া র্যাহারা বড়-বড় ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের দ্বারা এবং সেই সেই সম্প্রদায়ের বাহিরের অনেক লোকের দ্বারাও সম্মানিত, তাহারাও সমালোচিত হইয়াছেন। বুদ্ধদেবের সমালোচনা হইয়াছে, যীশু খ্ৰীষ্টের সমালোচনা হইয়াছে—কোন ধৰ্ম্মপ্রবর্তকের সমালোচনা হয় নাই ? অতএব রামমোহন রামকে যাহারা ভক্তি করেন, তাহারা এরূপ আশা কখনও করিতে পারেন না, যে, তাহার সমালোচনা হইবে না। র্তাহার সত্যপ্রিয় ভক্তেরা এরূপ আশা বা অভিলাষ করেন নাই ; কেহ কেহ নিজেই তাহার সমালোচনা করিয়াছেন। র্তাহারা ইহাই চান, যে, তাহার বিরুদ্ধে যাহা কিছু বলিবার আছে সমস্তই বলা হউক এবং পরীক্ষিত হউক ; তাহার ফলে, সত্য যাহা তাহাই প্রতিষ্ঠিত ও গৃহীত হউক। তাহাতে রামমোহনের মহত্ত্বের হ্রাস হইবে না। মানুষ সাধারণ হউক, বা অসাধারণ হউক, তাহার বিরুদ্ধে কিছু বলিতে হইলে যথেষ্ট প্রমাণ-সহকারে বলা আবগুক, এবং প্রমাণগুলি পুরাপুরি সর্বসাধারণের নিকট উপস্থিত করা আবগুক । তা ছাড়া, সমালোচনার সময়-অসময়ও আছে। গত কয়েক বৎসরের মধ্যে - আমাদের দেশে কয়েক জন বিখ্যাত লোকের মৃত্যু হইয়াছে। লক্ষ লক্ষ লোক শ্মশান অভিমুখে তাহাদের শবের অনুগমন করিয়াছে এবং তাহার পর তাহাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনার্থ বহু স্থানে সভা হুইয়াছে। কোন মানুষই পূর্ণ মানুষ নয়, সকলেরই অপূর্ণত আছে। ইহঁদেরও অপূর্ণতা ছিল। কিন্তু অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রাক্কালে বা স্বতিপূজার সভার প্রাক্কালে তাহদের অপূর্ণতাগুলি প্রদর্শন করা ভিন্নদলভুক্ত ভারতীয়েরাও শোভন ও সময়োচিত মনে করেন নাই। লোকমান্ত টিলকের মৃত্যুর পর ক্টেটসম্যান তাহার অযথা দোষোদঘাটন করায় উহার ভারতীয় অনেক গ্রাহক ও ক্রেতা উহা লওয়া বদ্ধ করিয়া দিয়াছিলেন । বিখ্যাত যে-সব লোক বহু পূর্বে পরলোকগত হইয়াছেন;