পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাগুন , विविब দক দমনাথ জীৰার জাহশ As3ं সাতিশয় কর্তব্যপরায়ণ আদর্শ পুরুষ, ইহা আমরা মনে করি না। আমরা ভ্ৰাতৃ বা বলোক, মানিয়া লইলাম। কিন্তু আমাদের অযথা ঔংস্থক্যটুকু, কিংবা তাহার অতিরিক্ত “শাহ বাছারে” যদি আমরা বলি-যাহ কখনও বলি না, তাহ হইলে কেবল ঐ জিনিষগুলির লোভে বিপ্লবী হইয়া বা বিপ্লবী মনোভাব পোষণ করিয়া আণ্ডামানে বা দেওলী হিজলীতে নিৰ্ব্বাসনের দুঃখ বরণ করিবে, এরূপ আহাম্মক যুবক বা বালক বাংলা দেশে কতগুলি আছে, তাহার সেন্সল কোন দেশী সম্পাদকের নিকট নাই। - আর একটা জিনিষ যাহ গবন্মেন্টের মতে সস্ত্রাসবাদ জাগাইয়া রাখে, সেটা হচ্ছে বিপ্লবীদের মৃত্যু-দিবসে বাধিক স্মারক সভা আদি করা। বিচারান্তে দোষী বলিয়া প্রমাণিত কাহারও সম্বন্ধে এরূপ করা হইয়া থাকিলে গবন্মেণ্ট-পক্ষীয় লোকের সেরূপ দৃষ্টান্ত দিয়া নিজেদের যুক্তি বাস্তবিক প্রবল করিতে পারিতেন। সরকার-পক্ষ হইতে সেরূপ দৃষ্টান্ত দেওয়া হয় নাই ; দেওয়া হইয়াছে যতীন দাস দিবস এবং হিজলী দিবস। কিন্তু যতীন্দ্রনাথ দাস বিচারাস্তে দোষী । কখনও প্রমাণিত হন নাই, দণ্ডিতও হুন নাই । তিনি বিচারাধীন অবস্থায় জেলে দীর্ঘকাল প্রাস্থোপবেশন দ্বারা প্রাণত্যাগ করেন। তিনি প্রায়োপবেশনও করিয়াছিলেন মহৎ উদ্দেশ্বে । হিজলী দিবস বাঙালীদিগকে স্মরণ করাইয়া দেয় যে, ঐ দিন বিনা বিচারে বন্দী একাধিক যুবক রক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়। এই ব্যাপারের তদন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত সরকারী লোক লইয়া গঠিত কমিটির দ্বারা, হইয়াছিল। তদন্তের রিপোর্টে সেক্রেটারিয়েট হইতে প্রকাশিত ঘটনাটির বৃত্তান্ত সমর্থিত হয় নাই, নিহত ব্যক্তিদের স্বত্যু তাহাদেরই দোষে হইয়াছে ইহা প্রমাণ হয় নাই, হিজলী আটকখানার বন্দোবস্তের নানা দোষক্ৰটি বাহির হয়, রক্ষীরা যে সবাই সত্যবাদী ও নির্দোষ ব্যক্তি তাহ প্রমাণিত হয় নাই। অতএব, সরকার-পক্ষের দৃষ্টান্ত ছটর জন্তু উৱাদিগকে অভিনন্দিত করিতে পারা যায় না। - . বন্ধে সম্রাসা দমন ও বিনাশ করিবার নিমিত্ত কয়েক বৎসর বাণী যেসব ব্যবস্থা ছিল, সরকার এখন তাহা দেখাইছেন যে, সাসকরা ভাবিতেছে আর কিছু দিন পরে যখন সরকারী লোকদের হাতে ঐ সব ব্যবস্থ-প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা থাকিবে না তখন তারা অবাধে সন্ত্রাসক কাজ করিতে পারবে, কিন্তু ব্যবস্থাগুলি চিরস্থায়ী করিলে তাহদের সে আশা থাকিবে না। গবন্মেণ্ট ধরিয়া লইতেছেন যে, সন্ত্রাসবাদ চিরস্থায়ী হইবে, , স্বতরাং তাহার সঙ্গে সংগ্রাম করিবার জন্য চিরস্থায়ী আইন চাই, এবং চিরস্থায়ী আইন থাকিলেই সন্ত্রাসবাদকে নিমূল করা যাইবে। কিন্তু পৃথিবীর নানা দেশে পুরাকাল হইতে নরহত্যার জন্য প্রাণদণ্ডের চিরস্থায়ী আইন চলিয়া আসিতেছে। সেইরূপ আইন থাকাতেই কি সেই সব দেশে আর নরহত্যা হয় না? শতাধিক বৎসর পূৰ্ব্বে ইংলণ্ডে ২•• রকম অপরাধের জন্য প্রাণদণ্ডের স্থায়ী আইন ছিল। তাহাতে অপরাধগুলা কমে নাই। এখন কেবল ছএকটা অপরাধের জন্ত প্রাণদণ্ডের ব্যবস্থা আছে, কিন্তু প্রাণীও ●थोम्न श्छन, नब्रश्ञांe ३ष्ण:७ यांब श्ञ न । चरनक দেশ হইতে প্রাণদণ্ড উঠিয়া গিয়াছে, অথচ তাহাতে তথায় নরহত্যা বাড়ে নাই। মানুষের স্বশিক্ষা, উপার্জনের নানা উপায়ের অস্তিত্ব, প্রকৃত সভ্যতার প্রগতি, সৰ্ব্বসাধারণের রাষ্ট্রীয় অধিকার বৃদ্ধি দেশের স্বশাসন, প্রভৃতি কারণে এইরূপ স্বফল ফলিয়াছে ; উৎকট কঠোর বিশেষ রকম আইনের দ্বারা এরূপ ফল লব্ধ হয় নাই। * * জাপানী সন্ত্রাসকর কিছুকাল পূৰ্ব্বে জাপানের প্রধান মন্ত্রী প্রভৃতি বিখ্যাতলোকদিগকে খুন করিয়াছিল। জাপান গবয়ের্ক বিশেষ কোন আইন না করিয়াও তথায় সন্ত্রাসবাদ দমন করিতে পারিয়াছেন। অন্ত কোন কোন দেশেও এরূপ দৃষ্টান্ত আছে। কিন্তু বাংলাদেশে গবশ্লেষ্ট কেবল আইনের কঠোরতা ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধি হইতে স্বফল লাভ করিতে চান। অন্য উপায় অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে বড়লাট হইতে আরম্ভ করিয়া অনেক রাজপুরুষ অনেক কথা বলিয়াছেন বটে, কিন্তু তদস্থানী কাজ বড় কিছু হ নাই। । বেআইনী ভাবে অন্ত্র নির্ধা, বিক্রী ও রাখা নরহত্যার জয় ৰইলে কেন তাহার জন্ত প্রাণদণ্ডের ব্যবস্থা করিতে হইতেছে, তাহার কারণ এই বলা হইয়াছে যে সম্প্রতি এই দেশে প্রত্বত আশ্রয় সম্রাসকদের দ্বারা ব্যবহারের কয়েকটা