পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هه4 | SO8O কমিশন না লাগে । বিশ্বাসের অযোগ্য লোকেও হয়ত্ত টাক সংগ্ৰহ করিতেছে। কিন্তু সে কারণে বিশ্বাসযোগ্য ক্ষওগুলির সহিতও গবন্মেন্টের অসহযোগিতা করা উচিত হুইবে না। মনিঅৰ্জর কমিশনের কথা যাহাই হউক, যাহার কেবল মাত্র বিপয়ের সাহায্যের জন্য সাহায্য করিতে চান ও দেখাইতে চান, যে, সরকারী সামগ্রহ দৃষ্টির আশার দ্বারা বা সরকারী প্রভাবের দ্বারা প্রভাবিত না হইয়া দান করিতেছেন, তাহারা আপন হইতেই বেসরকারী কোন ফণ্ডে টাকা দিবেন। কেন-ন, তাহারা সাহায্যদানকার্য্যে ব্যাপৃত বেসরকারী কোন-না কোন সমিতি বা ব্যক্তিকে নিশ্চয়ই বিশ্বাস করেন । - দ্বারবঙ্গের মহারাজাধিরাজের বদান্তত আন্তরিক প্রীতিপ্রস্থত অতি-দরিত্রের অতি সামান্ত দান এবং ক্রোড়পত্তির প্রভূত দান তুল্যমূল্য । কিন্তু অনেক সময় দানে সমর্থ অতি-ধনবান লোকও দান করেন না। এই কারণে ভূমিকম্পে বিপন্ন লোকদের সাহায্যাৰ্থ দ্বারবঙ্গের মহারাজাধিরাজের এক লক্ষ টাকা দান এবং দ্বারবঙ্গ শহর পুননিৰ্ম্মাণের জন্য ইম্প্রভমেন্ট ট্রাষ্ট গঠিত হইলে তাহার মারফত পচিশ লক্ষ টাকা পৰ্যন্ত দিতে অঙ্গীকার সাতিশয় প্রশংসনীয়। উহার নিজের পৈত্রিক প্রাসাদ বিনষ্ট হওয়ায় পাচ কোট টাকা ক্ষতি হুইয়াছে শুনা যায়। তদ্ভিন্ন তাহার বিস্তৃত জমিদারীতে আরও কত ক্ষতি হুইয়াছে। এ অবস্থায় এরূপ দান অসাধারণ । আগা খানের অসাম্প্রদায়িকতা হিজ-হাউনেস দি রাইট অনারেবল দি আগা খান (অর্থাৎ তাহার উচ্চতা ঐ ঠিক-মাননীয় ঐ জাগা খাঁ ) খাটি গণতন্ত্রবাদী এবং অসাম্প্রদায়িকতার অনুরাগী। নব-দিল্লীতে এসোসিয়েটেড, প্রেসের একজন কৰ্ম্মচারীকে তিনি নিজের ভেজালবিহীন স্বাঞ্চনৈতিক মত জানাইয়াছেন। তাহার মতে, গণতান্ত্রিকতার সহিত সাম্প্রদায়িকতা খাপ খায় না। তিনি মনে করেন একথা এখন হিন্দু ও মুসলমানরা বুঝিতেছে না, নূতন শাসনসংস্কারবিধি প্রচলিত হইলেই তাহারা বুঝিবে, যে, পৃথকৃ নিৰ্ব্বাচনএখা দ্বারা কোন পক্ষেই লাভ নাই। কিন্তু আপাততঃ এই অস্কায় ও লাভহীন প্রথা মানিয়া লওয়া অপরিহার্ধ্য, এবং উহ সহিতে হইবে। চমৎকার কথা ! হিন্দুর বরাবরই বুঝিয়াছে, যে, পৃথক নিৰ্ব্বাচন-প্রথা খারাপ, তাহাতে কাহারও লাভ নাই। যাহারা গোড়া হইতে এ পর্যন্ত বরাবর উহা চাহিয়া আদিতেছে, তাহারা মুসলমান । এখনও অধিকাংশ প্রদেশের অধিকাংশ হিন্দু পৃথক নির্বাচনপ্রথার বিরোধী। যদি কোথাও কোন শ্রেণীর হিন্দু পুথকৃ নির্বাচন প্রথা চাহিয়া থাকে, তাহ মুসলমানদের কুদৃষ্টাস্তে বা কুপরামর্শে। স্বতরাং নৃতন শাসনপ্রণালী প্রবর্তিত হইলে তবে হিন্দুরা বুঝিবে পৃথক নিৰ্ব্বাচন প্রথা খারাপ, ইহা বলিলে অন্যাম্বরূপে হিন্দুদিগকে নিৰ্ব্বোধ বলা হয়। অত্যুচ্চ ও ঠিক-মাননীয় আগা খা-প্রমুখ মুসলমান নেতার যদি হিন্দুদের সহিত একমত হইয়া সাম্প্রদায়িক ভাগ-বাটোয়ার ও পৃথক নিৰ্ব্বাচনের বিরোধিতা বরাবর করিতেন, তাহ হইলে অন্তায় সহ করিবার কথাটাই উঠিত না। এখনও তিনি স্বাঞ্জাতিকদের সহিত মিলিত হইয়া উহার বিরুদ্ধে লড়ুন না। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সত্ত্বে, উভয়েই দোষী। অষ্ঠায় সহিবার লোক আছে বলিয়াই অন্য কতকগুলা লোকের অন্যায় করিবার প্রবৃত্তি ও সাহস বাড়ে। অন্যায় যতই সহ করা যাইবে, ততই অন্যায়কারীদের দুষ্প্রবৃত্তি বাড়িয়া যাইবে । যে ব্যক্তি মুখে গণতন্ত্রের প্রশংসা করে কিন্তু কাৰ্য্যতঃ উহার বিপরীত প্রথার ব্যক্তিগত ও সম্প্রদায়ুগত লাভটা গ্রহণ করে, তাহার কথার কোন মুল্য নাই। নূতন শাসনপ্রণালী প্রবর্তিত হইবার পর তাহার মত অন্য মুসলমানেরাও দশ বৎসর পরে হয়ত বলিবে, পৃথকৃ নিৰ্ব্বাচনটা খারাপ বটে, কিন্তু উহা "সহিম” যাওয়াতে আমাদের লাভ আছে। নারীশিক্ষা সমিতি নারীশিক্ষা সমিতির ১৯৩২-৩৩ সালের রিপোর্ট হইতে জানা যায় উহা কিরূপ অত্যাবস্তক ও মূল্যবান কাজ করিতেছে। উহ। এপর্যন্ত ৫০টির উপর বালিক-বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছে এবং তাহা হইতে লিখন,পঠন ও হিসাবরক্ষা পাচ হাজারের উপর বালিকা শিখিয়াছে। এখনও ২৪টি বিদ্যালয় সমিতির কর্তৃদ্বাধীন আছে। এই সমিতির কলিকাতাশ্ব বিদ্যাপাগর