পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

**मृठन बिबिब थगज-अजूनूमन धान 49e “কটকের প্রসিদ্ধ কৰ্ম্মী মধুসূদন দাস গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী * তারিখে লোকান্তরিত হইয়াছেন। ১৮৪৮ খৃষ্টাব্দের ২৮শে এপ্রিল তারিখে তাহার জন্ম হয় । তিনি কলিকাতায় অধ্যয়ন করেন এবং উড়িয়াদিগের মধ্যে তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি লাভ করেন। তিনি এম্-এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয় বি-এল পরীক্ষা দিয়া উকীল হইয়াছিলেন। পঠদ্দশায় তিনি আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশয়কে পড়াইয়াছিলেন। তিনি উকীল হইলেও ওকালতীতে র্তাহার অর্থ গু মনোযোগ দেওয়া হয় নাই। উড়িষ্যার উন্নতিকল্পে তিনি সৰ্ব্বদাই সচেষ্ট থাকিভেন এবং দরিদ্র উড়িষ্যাবাসীর কল্যাণকল্পে তথায় নানা শিল্প প্রতিষ্ঠা করেন। উড়িষ্যা হইতে বৎসর বৎসর যে চৰ্ম্ম অপরিস্কৃত অবস্থায় রপ্তানী হয়, তাহ পরিষ্কৃত করিস্কা জুতা প্রভৃতি প্রস্তুত করিবার জন্য তিনি যুরোপীয় পদ্ধতিতে উংকল ট্যানারী প্রতিষ্ঠিত করেন । তম্ভিন্ন তিনি উড়িষ্যার প্রসিদ্ধ স্বর্ণরৌপ্যের কাজ দেশে আদৃত করিবার চেষ্টা ও বেণ্টউডের চেয়ার প্রভৃতি প্রস্তুত করিবার শিল্প প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি স্বয়ং খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মাবলম্বী হইয়াছিলেন বটে, কিন্তু কখনও জাতীয়তা বর্জন করেন নাই। ইংলsের যুবরাজ যখন এদেশে আসিয়াছিলেন, তখন তিনি বিহার ও উড়িয্যা প্রদেশের অন্যতম মন্ত্রী । তিনি ইংরেজের বেশে যুবরাস্থের দরবারে উপস্থিত হইতে অস্বীকার করেন এবং তাহার ফলে স্থির হয়, ভারতীয় মন্ত্রীরা ভারতীয় বেশে দরবারে উপস্থিত হইতে পরিবেন। “দাস মহাশয়ের বিশ্বাস ছিল, এদেশের শিল্পে জাতিভেদের প্রভাব অত্যন্ত প্রবল। কারণ, পুরুষানুক্রমে একই শিল্পে রত থাকিলে তাহাতে শিল্পীর স্বাভাবিক দক্ষত জন্মে। সেই দক্ষতার মূল্য অবজ্ঞা করা যায় না। দৃষ্টস্তস্বরূপ, তিনি বিলাতে এক বক্তৃতায় কটকের তারের কাজের শিল্পীদিগের উল্লেখ করিয়া বলিয়াছিলেন,—ইহারা স্বল্প তার জিহবায় রাখিয়া প্রভেদ বুঝিতে পারে, এবং যেভাবে তারের কাজ করে, আর কেহ তাহ পারে না । “শিল্পপ্রতিষ্ঠায় তাহার যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতি হয় এবং শেষে তিনি সৰ্ব্বস্বাস্ত হইয়াছিলেন বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। "যখন উড়িষ্যা বাংলার অন্তভূক্ত ছিল, তখন তিনি চারি বার বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য হইয়াছিলেন ; এবং ১৯১৩ খৃষ্টাব্দে বিহার ও উড়িষ্যার ব্যবস্থাপক সভা হইতে বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভার প্রতিনিধি নির্বাচিত হইয়াছিলেন। তাহার পর মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসনপদ্ধতি প্রবর্তিত হইলে তিনি বিহারে অন্ততর মন্ত্রী হুইaাছিলেন । "উড়িষ্যায় তাহার অসাধারণ প্রতিপত্তি ছিল। মেদিনীপুরে প্রথম ষে-বার বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মিলনের অধিবেশন হয়, সেইবার স্বরেজনাথ বন্দোপাধ্যায় হার সন্মতি না লইয়াই স্থির করিয়াছিলেন-কটকে পরবর্তী অধিবেশন হইবে। দাস-মহাশয়ের আপত্তিতে উড়িষ্যায় পন্মিলনের অধিবেশন হয় নাই । তিনি এই ব্যাপারে সুরেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন বটে, কিন্তু রাজনীতিক্ষেত্রে স্বরেন্দ্রনাথের প্রতি র্তাহার শ্রদ্ধার অভাব ছিলখন । , “মন্ত্রী হইয়া তিনি যে-কারণে পদত্যাগ করেন, তাহাতে র্তাহার মতদৃঢ়তা ও আত্মসম্মানজ্ঞান সপ্রকাশ হয়। তিনি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন-বিভাগের ভার পাইয়াছিলেন। ভারতশাসন আইনের বিধান—মন্ত্রী শাসন-পরিষদের সদস্যের সমান বেতন পাইতে পারেন। সদস্তুদিগের বেতন সেকালের সিভিলিয়ানী রীতিতে নিৰ্দ্ধারিত ও অত্যন্ত অধিক । বেতনে তারতম্য হইলে সম্মানে তারতম্য হয়, এই ছল ধরিয়া মন্ত্রীরা অনেকেই বেতন হ্রাসের বিরোধিতা করিয়া আসিয়াছেন। বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশে মন্ত্রীর বেডন হ্রাসের প্রস্তাব হয় । এই সময় দাস-মহাশয় প্রস্তাব করেন, তিনি বিনাবেতনে মন্ত্রীত্ব । করিবেন, কিন্তু তিনি দরিদ্র—স্বভরাং তাঁহাকে ওকালতী করিতে দেওয়া হউক। এই প্রসঙ্গে তিনি কতকগুলি যুক্তি দেখান। তিনি বলেন :– - ( ১ ) বিহার ও উড়িয্য দরিদ্র প্রদেশ। এই প্রদেশে অর্থাভাবে অনেক জনহিতকর কার্য্য করা অসম্ভব হয়। সুতরাং যাহাতে বায়সঙ্কোচ হয়, তাহার ব্যবস্থা করা কৰ্ত্তব্য । ( ২ ) স্বায়ত্তশাসন-বিভাগে বহু লোকই অবৈতনিক হিসাবে কাজ করিয়া থাকেন; অর্থাৎ জেলা বোর্ড, স্থানীয় বোর্ড, মিউনিসিপ্যালিটী প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের সদস্য ও সভাপতি প্রভৃতি বিনাবেতনে কাজ করিয়া থাকেন। সে অবস্থায় সেই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বেতনভুক্ হইলে সমগ্র বিভাগের wast; at to sie &H-“In an organization in

  • which all the workers are honorary a salaried

Minister mars the symmetry and harmony of the organization.” '(৩) যখন দ্বারবঙ্গের মহারাজাধিরাজ ও মামুদাবাদের রাজা শাসন-পরিযদের সদস্য থাকিতে পারেন, অর্থাৎ এইসব জমীদার আপনাদিগের সম্পত্তির কার্য্য দেখিয়া এবং মামলায় পক্ষভুক্ত হইয়া ও সাক্ষ্য দিয়া সদস্য থাকিলে দোষ হয় না, তখন মন্ত্রীর পক্ষে জীবিকার্জনের জন্ত ওকালতী করায় দোষ হইতে পারে না ? “স্যার হেনরী হুইলার তখন বিহারের গভর্ণর। তিনি দাস-মহাশয়ের প্রস্তাবে সম্মত হইতে পারেন নাই । তিনি বলেন, মন্ত্রী যখন সরকারেরই একজন, তখন তাহার পক্ষে সরকারের অধীন আদালতে উকীলরুপে হাজির হওয়া কখনই সঙ্গত বলিয়া বিবেচিত হইতে পারে না । এই যুক্তি দেখাইয় তিনি দাস-মহাশয়কে জানান—র্তাহার প্রস্তাব গৃহীত হইতে পারে না । “ফলে দাস-মহাশয় মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘ কাল ঘে-ভারে দেশের অবস্থা অধ্যয়ন করিয়াছিলেন, তাহাতে র্তাহার পদত্যাগে যে সরকারের ক্ষতি হয়, তাহ বলা যাইতে পারে । কিন্তু সরকার সেজন্ত মত পরিবর্তন করেন নাই।