পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃoo8 ** $ - “মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করিয়া তিনি পুনরায় উড়ি উন্নতিচেষ্টায় আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন। তিনি উড়িষ্যাবালীর স্বার্থের সহিত আর কাহারও স্বার্থের সংঘাত উপস্থিত হইলে সৰ্ব্বপ্রথমে উড়িষ্যাবাসীর স্বার্থরক্ষার চেষ্টা করিতেন। সে-বিষয়ে তিনি উড়িষ্যার লোকই ছিলেন। “এক সময়ে উড়িষ্যার সামন্ত প্লাজাদিগের উপর তাহার অসাধারণ প্রভাব ছিল এবং তাহারা তাহার পরামর্শেই চলিতেন। তিনিও তাহাদিগের স্বার্থবিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাথিতেন । “তিনি সুশিক্ষিত ছিলেন এবং তাহার জীবনধাত্রার পদ্ধতিও অনেকটা য়ুরোপীয়দিগের মত ছিল। তাহার ফুলের সখ ছিল ; তিনি অতিথিসৎকারপটু ছিলেন। সৰ্ব্বোপরি তিনি স্থির ও ধীর বুদ্ধি ছিলেন। আমরা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, উড়িয়াদ্বিগের মধ্যে তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া উপাধি লাভ করিয়াছিলেন। উড়িষ্যায় উচ্চশিক্ষ-বিস্তারে তাহার বিশেষ যত্ব ছিল। “জীবনের শেষ কয় বৎসর তিনি জরাজীর্ণ ও আর্থিক ক্ষতিতে বিব্রত হইয়া জনসাধারণের কার্ঘ্যে পূৰ্ব্ববং যোগ দিতে পারেন নাই বটে, কিন্তু তিনি দীর্ঘকাল উড়িষ্যাবাসীদিগের হিতসাধনের জন্য যে কাৰ্য্য করিয়াছিলেন, সেজন্য উড়িষ্যাবাসীরা তাহার নিকট কৃতজ্ঞ, সন্দেহ নাই । “শেষ পর্য্যস্ত তিনি উদ্যম ও আশা হারান নাই-উড়িষ্যাকে শিল্পে সমৃদ্ধ করিবার চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন। তাহার কৰ্ম্মশক্তি অসাধারণ ও বিশেষ প্রশংসনীয় ছিল । “তিনি আপনাকে উড়িয়া বলিক্ষ্ম পরিচয় দিতে যেন গৰ্ব্ব অনুভব করিতেন। “দাস-মহাশয় নিখিল ভারত খ্ৰীষ্টিয়ান সম্মিলনের সভাপতি হুইয়াছিলেন। “তিনি মনে করিতেন এদেশের লোক যে ধৰ্ম্মাবলম্বীই কেন হউন না-কখনও জাতীয়তা বর্জন করিবেন না ; কেননা, জাতীয়তার সহিত আত্মসম্মান অচ্ছেদ্যরূপে বিজড়িত।” রঙ্গস্বামী আয়েঙ্গার মান্দ্রাজের প্রসিদ্ধ ইংরেজী দৈনিক কাগজ “দি হিন্দু'র সম্পাদক ক্রযুক্ত এ রঙ্গস্বামী আয়েঙ্গার ৫৭ বৎসর বয়সে .পরলোকযাত্রা করিয়াছেন। এই অকালমৃত্যুতে সমগ্র ভারতবর্ষ, বিশেষতঃ মাত্রাজ, ক্ষতিগ্রস্ত হইল। সাধারণতঃ সাংবাদিকদিগের যে-সকল বিষয়ের জ্ঞান থাকা দরকার, তাহ র্তাহার ছিল । অধিকন্তু ভারতবর্ষীয় রাজস্বসংক্রান্ড এবং কন্সটিটিউগুন ( মূল রাষ্ট্রবিধি ) সম্বন্ধীয় বিষয়সকলের জ্ঞানে তিনি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে পরিগণিত ছিলেন। তাহার মাতুল পরলোকগত কম্ভরীরঙ্গ আমৃেঙ্গার যখন “হিন্দু"র সম্পাদক ছিলেন, সেই সময়ে তিনি তাহার অধীনে সাংবাদিকের * कzर्ष निकांनशैौलौ क८ब्रन, ५द९ छांब्रउँौघ्र श्रांननeथ१ॉलौ Tবিখ্যাত তামিল সংবাদপত্রের সম্পাদক SునOBO হন । তাহার মাতুলের মৃত্যুর পর তিনি “হিন্দু'র সম্পাদক-পদে নিযুক্ত হন। এই কাগজ মাম্রাজের বিখ্যাত সাংবাদিক, রাজনীতিজ্ঞ ও অর্থনীতিজ্ঞ জী-স্বত্রহ্মণ্য আমার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও প্রথমে সম্পাদিত হয়। ইহার পরবর্তী সম্পাদকদ্বয় করুণাকর মেনন এবং কস্তুরীরঙ্গ আম্বেঙ্গার প্রসিদ্ধ সাংবাদিক ছিলেন । এরূপ লোকদের পদে অধিষ্ঠিত হইয়াও রঙ্গস্বামী আয়েঙ্গার কাগজখানির গৌরব ও মর্যাদা রক্ষা করিস্তে সমর্থ হুইয়াছিলেন । তিনি কংগ্রেসওয়াল ও স্বরাজ্যদলভুক্ত ছিলেন । কংগ্রেসের এবং স্বরাজ্যদলের সম্পাদকের কাজ তিনি কিছুকাল করিয়াছিলেন। স্বরাজ্যদল ব্যবস্থাপক সভার সভ্য হওয়ার বিরোধী ছিলেন না । তিনিও এক সময় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য হইয়াছিলেন এবং সেখানে অনেক সারবান বকৃত করিয়াছিলেন। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে কংগ্রেসের কর্তৃপক্ষ এক আদেশ প্রচার করেন, যে, সমুদয় ন্যাশনালিষ্ট অর্থাৎ স্বাঞ্জাতিক খবরের কাগজ যেন বন্ধ করা হয়। এই হুকুম তামিল করাইবার জন্য সে-সময় অমৃতবাজার পত্রিকা ও বসুমতীর আফিসে পিকেটিং হুইয়াছিল। এই আদেশ বিবেচনা করিবার নিমিত্ত বোম্বাইয়ে সাংবাদিকদিগের এক কনফারেন্স হয়। রঙ্গস্বামী আয়েঙ্গার তাহার সভাপতি মনোনীত হন। তিনি এই আদেশের প্রতিকূল বক্তৃত করেন এবং কনফারেন্সেও ইহার প্রতিকূল প্রস্তাব গৃহীত হয়। তিনি দ্বিতীয় তথাকথিত গোলটেবিল বৈঠকের তথাকথিত প্রতিনিধি হই, বিলাত গিয়াছিলেন এবং তাহার আলোচনা প্রভৃতিতে কন্সটিটিউশুনবিষয়ক বিস্তৃত ও গভীর জ্ঞানের এবং তার্কিকতার পরিচয় দিয়াছিলেন । - প্রভাসচন্দ্র মিত্র স্তার প্রভাসচন্দ্র মিত্রের আকস্মিক মৃত্যুতে বাংলা দেশ নানা রাষ্ট্রীয় বিষয়ের বিশেষজ্ঞ একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সেবা হইতে বঞ্চিত হইল। মৃত্যুকালে তাহার বয়স প্রায় ৬• হইয়াছিল । তাহার স্বাস্থ্য যেরূপ ছিল, তাহাতে র্তাহার আরও দীর্ঘজীবী হুইবার সম্ভাবনা ছিল। রাজকাৰ্য্য হইতে অবসর লইবার পর তিনি বাচিয়া থাকিলে দেশ অনেক বিষয়ে র্তাহার জ্ঞান হইতে লাভবান হইতে পারিত । রাউল্যাট কমিটির সভ্যপদগ্রহণ ও তাহার রিপোর্টে স্বাক্ষর করায় তিনি স্বাজাতিক দিগের বিরাগভাজন হইয়াছিলেন। কিন্তু যে-সব বিষয়ে তাহার যোগ্যতা ও কৃতিত্ব ছিল, তাহা বিশ্বত হওয়া উচিত নয় । বাংলার রাজস্ব, বাংলার শিক্ষাবিষয়ক নানা তথ্য, বঙ্গের জমীর খাজনা বিষয়ক নানা ব্যবস্থা, ইত্যাদি বিষয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ ও নিখুত জ্ঞান তাহার মত কম লোকেরই ছিল, এবং তাহা তিনি নিজে এবং তাহার নিকট হইতে জানিয়া লইয়া জন্তে দেশের কাজে লাগাইয়াছিলেন। মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসনসংস্কার বিধির কাঠামোট প্রভাসচন্দ্রের মস্তিষ্কপ্রস্থত । তিনি জ্ব-বার