পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

每吋受汴· প্রতিনিধি হইয়া বিলাত গিয়াছিলেন। পাটরপ্তানী গুঙ্কের টাকাটা বাংলাকে দিবার সপক্ষে আন্দোলন । তথায় প্রথমে তিনিই আরম্ভ করেন। বাংলা ঐ টাকা অংশতঃ পাইলেও তাহার প্রশংসা প্রথমতঃ প্রভাসচন্দ্রের প্রাপ্য হইবে । ভারতবর্ষে যত ইংরেজ সৈন্ত কাজ করিতে আসে, তাহাদের সংগ্রহ ও শিক্ষাদান বাবতে ভারতবর্ষকে অনেক টাকা অন্যামরূপে বরাবরই ইংলওকে দিতে হইয়া আদিতেছে। এই টাকাটার হিসাব সৈন্যদের মাথাপিছু ধরা হইত বলিয়া ইহার নাম ক্যাপিটেশ্বন চঞ্জ। ভারতবর্ষ যে ইহার কিয়দংশ হইতেও নিস্কৃতি পাইয়াছে, তাহারও প্রশংসা স্তার প্রভাসচন্দ্র মিত্রের প্রাপ্য । তিনি দীর্ঘকাল বঙ্গের অন্যতম মন্ত্রী ও অন্যতম শাসনপরিষৎ-সভোর কাজ দক্ষতার সহিত করিয়া গিয়াছেন । তিনি দীর্ঘকাল ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশুনের সম্পাদক ও পরে সভাপতি ছিলেন । ভারত-সভারও সভাপতি ছিলেন । তিনি ভারতীয় উদারনৈতিক দলের একজন প্রধান সভ্য ছিলেন । বঙ্গ ও আসামের অন্তঃত শ্রেণীসমূহের উন্নতিবিধায়িনী সমিতির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বা পরিচালিত প্রায় ৪৫০টি বিদ্যালয় আছে । তাহাতে প্রায় ১৮০ ০০ ছাত্রছাত্রী পড়ে। স্তার প্রভাসচন্দ্র মিত্র অনেক বৎসর ইহার সভাপতি ছিলেন । অনেক বৎসর ইহার কাজ চালাইবার জন্ত থোক টাকা চাদ निzउन । বেকারসমস্ত ও বাঙালী ভদ্রলোকদের জীবনযাত্রার মান বঙ্গের বাহির হইতে অনেক লক্ষ লোক আসিয়া এখানে শুধু যে গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যয় নির্বাহ করে তাহা নহে, তাহাদের মধ্যে অনেকে লক্ষপতি ক্রোড়পতিও হয়, অথচ বঙ্গের বহুলক্ষ সমর্থ লোক বেকার, ইহার নানা কারণ নির্দিষ্ট বা অনুমিত হইয়াছে, এবং বেকারসমস্ত সমাধানের হদিসও অনেকে অনেক রকম দিয়াছেন। তাহার কিছু আলোচনা এই মাসের প্রবাসীতে গোরখপুরে প্রবাসী-বঙ্গ-সাহিত্যসম্মেলনের বৃত্তান্তে আছে । তাহাতে এক জায়গাম বলা হইয়াছে, ষে, বাঙালী ভদ্রশ্রেণীর যুবকেরা ষে অনেকে অবাঙালীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পরাস্ত হয়, তাহার একটি কারণ, বাঙালী ভদ্রশ্রেণার লোকদের জীবনযাত্রাপ্রণালীর মান (“standard of living”) westwo olfso wood ঐ মান অপেক্ষ উচু, অর্থাৎ তাহদের ভদ্রভাবে স্বস্থ শরীরে বঁাচিমা থাকিবার খরচ বেশী। ইহা অন্ততঃ আংশিকভাবে সত্য। এখন বিবেচ্য এই যে, বাঙালী ভয়শ্রেণীর যুবকেরা স্বস্থ শরীরে বাচিা থাকিবার জন্ত, কষ্ঠিত রক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য R-శిగా- -గా"గా* ----- ויש שאילץ אוייאאד והחל אדי ויליאכף বিবিধ প্রসঙ্গ—দেশী রাজ্যরক্ষণ আইন ᏄᏯ☾ সমান করিতে ও রাখিতে পারেন কি-না। নিজ নিজ বৃত্তি ও কৰ্ম্মে স্বপ্রতিষ্ঠিত হইবার পূৰ্ব্বে এবং একান্ত আবক্তত্ব আয় অপেক্ষ অধিক আয় হুইবার পূৰ্ব্বে আমোদ-প্রমোদ এবং সামান্য রকমের বিলাসদ্রব্যও তাহারা চাহিবেন না, ইং। মানিয়া লইতে হুইবে । ইহার জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব আবশ্যক। কলিকাতার হিসাব এবং মফস্বলের নানা জায়ঞ্জার হিসাব আলাদা আলাদা করিয়া বিবেচ্য। দেশী রাজ্যরক্ষা আইন “দেশী রাজ্যরক্ষা আইন” নামক একটি আইন লুইতেছে। ইহার " আসল মানে, দেশী রাজ্যসমূহের রাজাদিগকে রক্ষা করিবার জন্য আইন । অথচ ইহা সবাই জানে, যে, দেশীরাজ্যের রাজাদের চেয়ে প্রজাদেরই রক্ষার ব্যবস্থার দরকার বেশী। দেশী রাজাদিগকে রক্ষা করিবার এই একটা ব্যবস্থা আইনে করা হইতেছে, যে, ব্রিটিশ ভারতবর্ষে প্রকাশিত সংবাদপত্রসমূহে তাহাদের ও উহাদের শাসনকার্যের সমালোচনা করা অতঃপর খুব বিপৎসস্কুল হইবে। ভারত-গবন্মেন্টের পক্ষ হইতে অবশু বলা হইতেছে, যে, যাহারা “অনেষ্ট” (“সাধু” ? ) সমালোচক, তাহদের ভয় নাই। কিন্তু এই আশ্বাসবাক্যের কোনই মূল্য নাই। ভারতবর্ষে ইংরেজ গবন্মেন্টের সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভাবে সমালোচনা করিয়া যে-সব কাগজওয়ালা কোন-না-কোন প্রকারে দণ্ডিত হইয়াছেন বা ধমক খাইয়াছেন, তাহাদের সকলের বা অধিকাংশের সমালোচনা ভিত্তিহীন, ইহা কখনও কোন সরকারী . লোক দেখাইতে পারেন নাই, সমালোচনাগুলা যে “অনেষ্ট” নহে, তাহাও দেখাইতে পারেন নাই। ব্রিটিশ ভারতের কাগজওয়ালাদের স্বাধীনতা অল্প যাহা আছে, দেশী রাজ্যগুলির সম্পর্কে তাহ আরও কম করিয়া দিলে তাহার ফল এই হইবে, যে, উহার রাজার এখন যতটা নিরঙ্কুশ আছে, পরে তাহ অপেক্ষাও নিরঙ্কুশ হইয়া উঠিবে। কারণ অধিকাংশ দেশী রাজ্যে সংবাদপত্র নাই, রাজাদের সমালোচনাও নাই ; যেখানে যেখানে সংবাদপত্র আছে, ব্রিটিশ ভারতের সংবাদপত্রসমূহের সমান স্বাধীনতাও তাহাদের নাই । ভারত-গবন্মেটি গত কয়েক বৎসরের মধ্যে কয়েকb দেশী-রাজ্য সম্বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা করিতে বাধ্য হইয়াছেন। তাহার প্রকৃত কারণ, উহার রাজাদের কুশাসন বা অত্যাচার কিন, বলিতে পারি না। কিন্তু প্রকাশ, যে, তাহাই কারণ । তাঁহা যদি হয়, তাহ হইলে কুশাসন ও অত্যাচার চরমে উঠতে দিয়া তাহার পর কঠোর ব্যবস্থা করা অপেক্ষ তার আগে বাসন রাজীগকে জনসাধারণের পক্ষ