পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శీలిట శిఙ ఏరి8O সিদ্ধির জন্য ব্রিটিশ ভারতের সংবাদপত্রসমূহের দেশী রাজ্য সম্বন্ধীয় বিষয়ের ও ব্যক্তিদের সমালোচনা করিবার বর্তমান স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকা আবগুক, দেশীরাজ্যসমূহে ভাল সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হওয়া আবগুক, এবং নৃপতিদের স্ব-স্ব রাজ্যে নিম্নম-জন্তু শাসনপ্রণালী প্রবর্তিত করা আবিশুক । দিল্লীতে সম্প্রতি দেশীরাজ্যসমূহের প্রজাদের ধে কনফারেন্স হইয়া গিয়াছে, তাহার সভাপতি প্রবীণ সম্পাদক ঐযুক্ত নটরাজ গৰম্মেটিকে জিজ্ঞাসা করিয়াছেন, কোন কোন রাজা এরূপ আইন চাহিয়াছেন। সরকার বাহাদুর বলুন, কে কে চাহিয়াছেন। নতুবা লোকে এই সিদ্ধাস্ত করিবে, যে, গবশ্বেণ্ট স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয় রাঙ্গাদিগকে নিরঙ্কুশ করিতে চাহুয়াছেন । সম্ভবতঃ ভাল ও বড় রাজারা কেহই এরূপ জাইন চান নাই । প্রস্তাবিত আইনটার সমর্থনে বলা হইয়াছে, যে, ব্রিটিশ ভারতের অনেক কাগজওয়ালা কুৎসা ও সমালোচনা করিবার ভয় দেখাইয়া দেশী রাজাদের কাছ থেকে ঘুষ জাদায় কLম । কোন ভদ্র সম্পাদকই নিশ্চয় এরূপ কাজ করেন না, এবং যে-সব রাজা অভদ্র সম্পাদকদিগকে ঘুষ দেন্তু জহাদের নিজেদের দোষ আছে বলিয়াই দোষোদঘাটনের ভয়ে তাহারা খুব দেয়। এই রকম ঘুষাভ ও ঘুষগ্রাহক আছে বলিছা অপর সকলের স্বাধীনতা হ্রাস ও কলঙ্ক হওয়া উচিত নয় । আইনটা সম্বন্ধে তর্কবিতর্কের সময় ব্যবস্থাপক সভায় স্তার মুহম্মদ য়াকুব এইরূপ ঘুষ দ্বান ও গ্রহণের কথা বলিয়াছেন এবং ৰলিয়াছেন, সমালোচকদিগকে ঐসব রাজার খুব ভোজ দেয় এবং মোট ৫৭টি নোটের তাড়া "উপহার” দেয়। এ-সব গোপনীয় ব্যাপারের জ্ঞান তাহার জন্মিল কি প্রকারে ? খুলদাতা রাজাদের এবং ঘুষগ্রাহক সমালোচকদের সঙ্গে ভারতবর্ষীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্যদের দহরম থাকিবার ত কথা নয়। যাহা হউক, এইরূপ ভোজ ও উপহার যদি চলে, তাহা হইলে ঘূৰ্যদাতাদেরও ত শাস্তি হওয়া চাই। কারণ, সব সভ্য দেশের আইনেই এরূপ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষেরই দণ্ডের ব্যবস্থা আছে। - ভারতীয় দেশী রাজার যদি ব্রিটিশ ভারতের সংবাদপত্রসমূহকে শুঙ্খলিত করিবার অনুরোধ ভারত-গবশ্নেণ্টকে করিয়া থাকেন, তাহা হইলে তাহারা অকৃতজ্ঞ । কারণ, উহাদের বিপদ-আপদের সময়, ব্রিটিশ-ভারতীয় সাংবাদিকেরা গুীয়তঃ সম্ভব হইলে তাহাজের পক্ষ সমর্থন করিয়া থাকেন। কৃতজ্ঞতার কথা ছাড়িা দিলেও ইহা মনে রাখা উচিত, ৰে, এই প্রকারে ব্রিটিশ ভারতীয় সাংবাদিকদের ক্ষমতা কমিলে হারে ৭ে রাজারে উপকার বরিবার ক্ষম"। ...: 3. 馨 জয়েণ্ট সিলেক্ট কমিটির ব্যয় ভারতবর্যের ভবিষ্যৎ শাসনপ্রণালী-বিষম্বক আলোচনার জন্য যে জয়েন্ট পালেমেন্টারি সিলেক্ট কমিটি বসিয়াছিল, তাহার ব্যয় এ-যাবৎ ২৪৭৯৭ পৌণ্ড হইয়াছে। বৃথা ব্যয়। সাইমন কমিশন ও তাহার সহযোগী ভারতীয় নানা কমিটি, কয়েকট। তথাকথিত গোলটেবিল বৈঠক ও তল্পিযুক্ত কমিটিসমুহ, প্রভৃতিতে বহুলক্ষ টাকা খরচ হইয়াছে। তাহাতে ভারতবর্ষের কিছু উপকার হওয়া ত দূরে থাক, অনিষ্টই হইবে। অথচ এরূপ অপব্যয় ও অনিষ্ট নিবারণে ভারতীয়দের কোন ক্ষমত নাই। - আবার কি রুশ-জাপান যুদ্ধ হইবে ? কিছুদিন পূৰ্ব্বে রুশিখার কার্য্যতঃ ডিক্টেটর ষ্টালিন এবং অন্যতম নেতা লিটভিনফ যেরূপ বক্তৃতা করিয়াছিলেন. তাহাতে বুঝা গিয়াছিল, যে, রুশিয়া ও জাপানের মধ্যে যুদ্ধ ঘটিবার খুব সম্ভাবনা হইয়াছে। তাহার পর রুশিয়ার সমর-সচিব ও অন্যতম নেতা ভোরোসিলভ সম্প্রতি বলিয়াছেন, “মৃদূর প্রাচ্য দেশে আমাদের যে রাজ্য আছে, তাহার এক ইঞ্চি জায়গাও আমরা ছাড়িয়া দিব না ; আমরা আমাদের অধিকার রক্ষা করিব । ক্রমেই ইহা স্বম্পষ্ট হইতেছে, যে, স্বদূর প্রাচ্যের সমস্যা লইয়া জাপানই সৰ্ব্বাগ্রে সমরানল প্রজ্জ্বলিত করিবে। পৃথিবীর বাজারে এখন জাপানই গোলা বারুদ এবং যুদ্ধের সরঞ্জামের প্রধান ক্রেতা । জাপানে এখন যুদ্ধের অনুকূল প্রবল প্রচারকার্য চলিতেছে। আমরা যদি ইহা লক্ষ্য না করিবার ভাণ করি, তবে বিস্ময়ের বিষয় হইবে। সোভিয়েটের স্বার্থ নাশ করিবার জন্য জাপানের চেষ্টার ক্রটি নাই। ঈষ্টাৰ্ণ চীন রেল পথে জাপানী স্বার্থ রক্ষা করিবার জন্য যে পরিমাণ সৈন্যের প্রয়োজন, তদপেক্ষা অনেক বেশী সৈন্ত মাঞ্চুরিয়ায় রাখা হইয়াছে। স্বতরাং সোভিয়েট গবন্মেণ্টও সতর্ক হইতে বাধ্য হইয়াছেন। রুশ গবন্মেণ্ট প্রাচ্য দেশে সৈন্যদলের সংখ্যা বাড়াইয়াছেন, দুর্গ-নিৰ্ম্মাণের আয়োজন করিয়াছেন এবং সামরিক ঘাটিগুলিতে প্রতিরোধাত্মক ব্যবস্থা অবলম্বন করিতেছেন।” এই সকল খবর হইতে মনে হয় রুশিয়া ও জাপানের মধ্যে বুদ্ধ বাধিবার খুব সম্ভাবনা । বুদ্ধ না বাধিলেই ভাল। তবে জাপানের যেরূপ অতিদৰ্প হইয়াছে, তাহাতে সে সহজে নিরস্ত श्व भने श्ब्र ना-वनिe ङांशंब्र निक इeघ्र यांदशक । যুদ্ধ বধিলে এই দুই রাষ্ট্র এক এক লড়িবে না। অল্প কোন কোন দেশ কোন-না-কোন পক্ষ অবলম্বন করিবে। তাহাতে বুদ্ধ । সকল মহাদেশে পৌছিতে পারে। .