পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sae» বর্তমানে আমরা সভ্যতার যে প্রবণতা দেখি তাতে ধোৰ ৰায় যে, সে ক্রমশই প্রকৃতির সহজ নিয়ম পেরিয়ে বছরে চলে যাচ্চে। মানুষের শক্তি জয়ী হয়েছে প্রকৃতির শক্তির উপরে, তাতে লুঠের মাল যা জমে উঠল তা প্রভূত। এই জয়ের ব্যাপারে প্রথম গৌরব পেল মানুষের বুদ্ধিবীৰ্য্য, কিন্তু তার পিছন পিছন এল দুর্বাসনা। তার ক্ষুধা তৃষ্ণ স্বভাবের নিয়মের মধ্যে সন্তুষ্ট রইল না, সমাজে মশই অস্বাস্থ্যের সঞ্চার করতে লাগল, এবং স্বভাবের অতিরিক্ত উপায়ে চলেছে তার আরোগ্যের চেষ্টা। বাগানে দখতে পাওয়া যায় কোনো কোনো গাছ ফলফুল উৎপাদনের অতিমাত্রায় নিজের শক্তিকে নিঃশেষিত করে মারা যায়,— তার অসামান্ততার অস্বাভাবিক গুরুভারই তার সর্বনাশের কারণ হয়ে ওঠে। প্রকৃতিকে অতিক্রমণ কিছুদূর পর্যন্ত নয় তারপরে আসে বিনাশের পালা। মিহুদীদের পুরাণে বেব ল-এর জয়স্তম্ভ রচনার উল্লেখ আছে, সেই স্তম্ভ যতই অতিরিক্ত উপরে চড়ছিল ততই তার উপর লাগছিল নীচে নামাবার নিশ্চিত আকর্ষণ। মানুষ আপন সভ্যতাকে যখন অভ্ৰভেদী করে তুলতে থাকে তখন জয়ের স্পৰ্দ্ধায় বস্তুর লোভে ভুলতে থাকে যে সীমার নিয়মের দ্বারা তার অভু্যখান পরিমিত । সেই সীমায় সৌন্দৰ্য্য, সেই সীমায় কল্যাণ। সেই যথোচিত সীমার বিরুদ্ধে নিরতিশয় ঔদ্ধত্যকে বিশ্ববিধান কখনোই ক্ষমা করে না। প্রায় সকল সভ্যতায় অবশেষে এসে পড়ে এই ঔদ্ধত্য এবং নিয়ে আসে বিনাশ। প্রকৃতির নিয়মসীমায় যে সহজ স্বাস্থ্য ও আরোগ্যতত্ত্ব আছে তাকে উপেক্ষা করেও কী করে মামুষ স্বরচিত প্রকাণ্ড জটিলতার মধ্যে কৃত্রিম প্রণালীতে জীবনযাত্রার সামঞ্জস্ত রক্ষা করতে পারে এই হয়েছে আধুনিক সভ্যতার দুরূহু সমস্ত। মানবসভ্যতার প্রধান জীবনীশক্তি তার সামাজিক শ্রেয়োবুদ্ধি, যার প্রেরণায় পরস্পরের জন্তে পরম্পর আপন প্রবৃত্তিকে সংযত করে। যখন লোভের বিবরটা কোনো কারণে অত্যুগ্র হয়ে ওঠে তখন ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতায় অসাম্য স্বষ্টি করতে থাকে। এই অসামাকে ঠেকাতে পারে মাছষের মৈত্রীবোধ তার প্রেয়োবুদ্ধি। ষে অবস্থায় সেই বুদ্ধি পরাভূত হয়েছে তখন ব্যবস্থ-বুদ্ধির দ্বারা মাছুষ তার অভাব পূরণ করতে চেষ্টা করে। সেই চেষ্টা জাজ नकल गिटकहे थबल । राउँयांन गडाङ थांङ्कड क्ख्यिांप्नब्र गरण সদ্ধি করে আপন জয়যাত্রায় প্রবৃত্ত হয়েছিল, সেই বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে হৃদয়বান মানুষের চেয়ে হিসাব-করা ব্যবস্থাযন্ত্র বেশি প্রাধান্ত লাভ করে। একদা ষে ধর্শ্বসাধনায় রিপূদমন করে মৈত্রী প্রচারই সমাজের কল্যাণের মুখ্য উপায় বলে গণ্য হয়েছিল আজ তা পিছনে সরে পড়েছে, আজ এগিয়ে এসেছে। যান্ত্রিক ব্যবস্থার বুদ্ধি। তাই দেখতে পাই, একদিকে মনের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রজাতিগত বিদ্বেষ, ঈর্ষা, হিংস্র প্রতিদ্বম্বিত, অপরদিকে অস্তোন্তজাতিক শাস্তি-স্থাপনার জন্তে গড়ে তোলা লীগ অফ নেশনস। আমাদের দেশেও এই মনোবৃত্তির ছোয়াচ লেগেছে; যাঁ-কিছুতে একটা জাতিকে অস্তরে বাহিরে খও বিখও করে, যেসমস্ত যুক্তিহীন মূঢ় সংস্কার মনের শক্তিকে জীর্ণ করে দিয়ে পরাধীনতার পথ প্রশস্ত করতে থাকে, তাকে ধর্মের নামে সনাতন পবিত্র প্রথার নামে সযত্নে সমাজের মধ্যে পালন করব, অথচ রাষ্ট্রক স্বাধীনতা লাভ করব ধার-করা রাষ্ট্রক বাহবিধি দ্বার, পালামেটিক শাসনতন্ত্র নামধারী একটা যন্ত্রের সহায়তায়, এমন দ্বরাশা মনে পোষণ করি ; তার প্রধান কারণ মামুষের আত্মার চেয়ে উপকরণের উপরে শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে। উপকরণ বৈজ্ঞানিক বুদ্ধির কোঠায় পড়ে, শ্রেয়োবুদ্ধির সঙ্গে তার সম্বন্ধ কম। সেই কারণেই যখন লোভরিপুর অতিপ্রাবল্যে ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার টানাটানিতে মানবসম্বন্ধের আস্তরিক জোড়গুলি খুলে গেছে, তখন বাইরে থেকে জটিল ব্যবস্থার দড়াড়ি দিয়ে তাকে জুড়ে রাখবার স্বষ্টি চলেছে। সেটা নৈর্ব্যক্তিকভাবে বৈজ্ঞানিক । একথা মনে রাখতেই হবে, মানবিক সমস্ত যান্ত্রিক প্রণালীর দ্বারা সমাধান করা অসম্ভব । বৰ্ত্তমান সভ্যতায় দেখি এক জায়গায় একদল মানুষ আল্প উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অল্পে প্রাণধারণ করে । চাদের যেমন এক পিঠে অন্ধকার, অন্ত পিঠে আলো, এ সেই রকম। একদিকে দৈন্ত মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে, অন্যদিকে ধনের সন্ধান, ধনের অভিমান, ভোগবিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত। অন্ত্রের উৎপাদন হয় পল্লীতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের স্বযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবত সেখানেই জায়াম