পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՓՆ কিছু হলেই যে বিপদ। যাদের সঙ্গে কথা চলে না মশাই— সাপ বা জানোয়ার। ওটা কি ? সঙ্গে সঙ্গে উাহার বঁ-হাতের টর্চট জলিয়া উঠিল। ডান হাত তখন পিস্তলের গোড়ায় । সচকিত আলোয় দেখা গেল সেটা একগাছা ছিন্ন দড়ি । স্বরেশবাৰু বলিলেন—গুড়, লাক্ +—রজ্জতে সর্পভ্রমে লঙ্গ আছে, বিপদ নেই। কিন্তু সৰ্পে রজ্জ্বভ্রম প্রাণান্তকর । সকলেই হাসিলেন। কিন্তু সে হাসি মৃত্মম্বর। আনন্দ যেন জমাট বাধিতেছিল না। আবার সকলেই নীরব। অকস্মাৎ দীঘির ওদিকের কোণে জল আলোড়িত হইয়া উঠিল । শব্দে মনে হয় কেহ যেন জল ভাঙিয়া চলিয়াছে। টর্চের আলো জত দূর পর্যন্ত যায় না। আলোক-ধারার প্রাস্তমুখে অন্ধকার স্বনিবিড় হইয়া উঠে, কিছু দেখা গেল না । রমেশ্রবাবু কহিলেন—এখনও বলবেন আমার ভ্ৰম! স্বরেশবাবু কথার উত্তর দিলেন না। তিনি নিবিষ্টচিত্তে শব্দটা লক্ষ্য করিতেছিলেন। শব্দটা নীরব হইয় গেল । স্বরেশবাবু আরও কিছুক্ষণ পর বলিলেন—ভ্রমই বোধ श्छ । खणकब्र ८कांन औदछरू शय । গরম বাতাসের প্রবাহট ধীরে ধীরে বন্ধ হইম চারিদিক একটা অশান্তিকর নিন্তব্ধতায় ভরিয়া উঠিয়াছে। স্বরেশবাৰু আবার নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিয়া বলিয়া উঠিলেন— না, স্বদ্ধ রমেশ্রবাবুকে দোষ কেন—আমরা সকলেই ভয় পেয়েছি। সিগারেট খাওয়া পৰ্যন্ত ভুলে গেছি মশাই। নিন, একটা করে সিগারেট খাওয়া যাক । রজতবাবু বলিলেন—না মশাই, একেই আমি ওতে অভ্যস্ত নই, তার ওপর খালি পেটে শুকৃনো গলায় সঙ্ক হবে না, থাক । --আন্ধন তবে রমেনবাবু।–আমরা দু-জনেই..ও কি ? মাছবের মৃদ্ধ কণ্ঠস্বরে তিন জনেই চকিত হইয়া উঠিলেন । কে যেন আত্মগত ভাবেই মুছম্বরে বলিতেছিল—তারা, তারাচরণ! এইখানেই ত ছিল। কোথা গেল? রন্ধতবাবুর হাতের টর্কটা প্রদীপ্ত রশ্মিরেখায় জলিয়া ੋਗ | রমেক্সবাৰু জঙ্ক স্বরে বলিলেন—এদিকে, এদিকে, ভাঙা SనD8O রাশাটার পাশে জলের ধারে । ওই, ওই। কিন্তু রূপ, দপ_ক’রে জলছে কি ? চোখ কি ?-ওই--ওই— দীর্ঘ রশ্মিধারা ঘুরিল। সঙ্গে সঙ্গে স্বরেশবাবুর টর্চটাও প্রদীপ্ত হইয়া উঠিল। জলের ধারেই দীর্ঘাকৃতি মকুন্তমূৰ্ত্তি দাড়াইয়া ছিল । আলোকচ্ছটার আঘাতে চকিত হইয়া সে রশ্মির উৎস লক্ষে মুখ ফিরাইল। রমেক্সবাৰু অঙ্কুট টংকার করিয়া পড়িয়া গেলেন। স্বরেশবাবুর হাতের টর্চটা নিবিয়া গিয়াছিল। অদ্ভূত-অতি ভীতিপ্রদ সে মূৰ্ত্তি । দীর্ঘ বিবৰ্ণ চুল, দীর্ঘ দাড়ি গোফে সমস্ত মুখখান আচ্ছন্ন। অস্বাভাবিক দীর্ঘ কৃষ্ণবর্ণ দেহখানা কর্দমলিপ্ত। কোটরগত জলন্ত চোখ দুইটিতে আলো পড়িয়া ঝক ঝক করিতেছিল । সে মূৰ্ত্তি ধরণীর সজীবতার সর্বমধুৰ্য্যবর্জিত মাটির জগতের বলিয়া বোধ হয় না । রজতবাবুও স্তম্ভিত হইয়া গেলেন। তবু তিনি কয়েক পদ অগ্রসর হইয়া প্রশ্ন করিলেন-কে ? কে তুমি ? উত্তর দাও । কে তুমি ? নিথর নিন্তব্ধ মূৰ্ত্তির মুখের পেশীগুলি ঈষৎ চঞ্চল হইয়া উঠিল, একটা অদ্ভূত ভঙ্গীতে অধররেখা ভিন্ন হইয়। গেল। সে ভঙ্গিম। যেমন হিংস্র তেমনি ভয়ঙ্কর । রজতবাবু আকাশ লক্ষে পিস্তলটার ঘোড়া টিপিলেন। স্বগভীর গর্জনে নিবিড় অন্ধকার চমকিয়া উঠিল। বৃক্ষনীড়াশ্রয়ী পার্থীর দল কলরব করিয়া উঠিল। সঙ্গে সঙ্গে অদ্ভূত আর একটা গৰ্জনে চারিদিক র্কাপিয়া উঠিল। একটা বিকট হিংস্র গর্জন করিয়া সে বিকট মূৰ্ত্তি লাফ দিয়া ছুটিয়া আসিল । সে মূৰ্ত্তি তখন জানোমারের চেয়েও হিংস্র-উন্মত্ত। রঞ্জতবাবুর বঁ-হাতের টর্চটা হাত হইতে পড়িয়া গেল। ডান হাতে পিস্তলট কঁাপিতেছিল। অন্ধকারের মধ্যে গুরুভার কিছু পতনের শব্দের সঙ্গে সঙ্গে আহত পশুর মত একটা আৰ্ত্তনাদ ধ্বনিয়া উঠিল। রজতবাবু কহিলেন—স্বরেশবাবু, শিগগির টর্কটা জালুন। আমারটা কোথায় পড়ে গেছে । স্বরেশবাৰুর হাতের আলোটা জলিম উঠিল। রজতবাবু কহিলেন;–এখানে জাঙ্কন-খাদের মধ্যে। খাদের মধ্যে আলোকপাত করিতেই রজতবাবু বলিলেন-- মাছুৰই । কিন্তু মরে গেছে বোধ হয় । ঘাড় নীচু করে পড়েছে ! ঘাড় ভেঙে গেছে ।