পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՅՆ এইসব দেশের লড়াইয়ের পূৰ্ব্বেকার কয়েক বৎসরের মূল্য-তালিকার সহিত বর্তমান মূল্য-তালিকা মিলাইলে দেখিতে পাইব ইহাঙ্গের পণ্যের মূল্য আমাদের দেশের তুলনায় অনেক কম হ্রাস পাইয়াছে । ইহা হইতে অকুমান করা মোটেই অসঙ্গত হইবে না যে, আমাদের দেশের মুদ্রার আপেক্ষিক মূল্য নিরূপণ ঠিক হয় নাই এবং ষ্টার্লিঙের সহিত তুলনায় ইহার মূল্য অধিক ধরা হইয়াছে । তাহার আরও একটা প্রমাণ দিতে পারা যায়। ১৯s • সালের পূৰ্ব্বেকার কয়েক বৎসরের হিসাব আলোচনা করিলে আমরা দেখিতে পাই, ভারতের রপ্তানি আমদানি অপেক্ষ প্রায় ৮৪৮৫ কোটি টাকা বেশী ছিল। কিন্তু উহু বিগত ভিন বৎসরে ক্রমান্বয়ে নামিয়া ১৯৩২-৩৩ সালের শেষে মাত্র ৪ কোটিতে দাড়াইয়াছে। বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-মন্দার দোহাই দিয়া ভারতের বহির্বাণিজ্যের এই দুৰ্গতিকে চাপ৷ দেওয়া যায় না। কারণ তাহাই যদি সত্য হইত, তাহা হইলে জন্তান্ত দেশের, বিশেষতঃ কৃষি-প্রধান দেশের, বহির্বাণিজ্যেরও এরূপ অবনঙি আমরা দেখিতে পাইতাম। কিন্তু ঐ সব দেশের বাণিজ্য-হিসাব পরীক্ষা করিলে তাহদের রপ্তানির এতাদৃশ হ্রাস দেখিতে পাওয়া যায় না। দুনিয়ার সাধারণ अबशहे वनि तथू इंट्रीब्र छछ मान्नैौ इहेड, उांश इइंटन ८ष পরিমাণ রপ্তানি হ্রাস পাইয়াছে সেই পরিমাণ আমদানিও ও হ্রাস পাইত । কিন্তু তাহত হয় নাই। পূর্বেই আলোচনা করা হুইয়াছে, বাট্টার হার অধিক হইলে তাহ! কি প্রকারে দেশের রপ্তানিকে খৰ্ব্ব ও আমদানিকে সহায়তা দান করে । সেই জগুই কোন দেশের বাণিজ্য-গতিকে ( balance of trade ) বৎসরের পর বৎসর অধিকতর প্রতিকূল হইতে দেখিলে আমরা নিঃসংশয়ে ধরিয়া লইতে পারি যে, ঐ দেশের মুদ্রার বহিমূল্য অতিরিক্ত ধরা হইয়াছে । অস্ত প্রকার পরীক্ষা দ্বারাও আমরা সেই একই সিদ্ধান্তে উপনীত হইব । ফ্রান্স, ইটালী, জাৰ্ম্মানী, বেলজিয়াম প্রভৃতি কয়েকটি দেশ আজও স্বর্ণমান অঁাকৃড়াইয়া ধরিয়া আছে । সেই জন্ত উহাদের মূত্রণমূল্য হ্রাস পাইতে পারে নাই। কিন্তু আমাদের রৌপ্যমুত্র ষ্টলিঙের সহিত যুক্ত থাকার স্বর্ণমুদ্রার তুলনায় তাহার মূল্য হ্রাসপ্রাপ্ত হইয়াছে। SSOBO তাই বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে আমাদের আমদানি ও রপ্তানির হিসাব পৃথক করিয়া দেখিলে আমরা দেখিতে পাই, ফ্রান্স, জার্মানী, ইটালী, বেলজিয়াম প্রভৃতি দেশ হইতে বিদেশী পণ্যের আমদানি এদেশে যে-পরিমাণ হ্রাস পাইয়াছে, ইংলও, জাপান প্রভৃতি দেশ হইতে আমদানি সেই পরিমাণ হ্রাস পায় নাই। পক্ষান্তরে, ১৯৩৩ সালের মাঝামাঝি বিশ্বব্যবসার একটু উন্নতি দেখা গেলে, প্রথমোক্ত দেশসমূহে আমাদের পণ্যের রপ্তানি ষে-পরিমাণ বৃদ্ধি পাইয়াছিল, শেষোক্ত দেশসমূহে সে-পরিমাণ বৃদ্ধি পাইতে পারে নাই। ইহা হইতেও আমরা সহজেই অকুমান করিতে পারি যে ষ্টালিঙের তুলনায় আমাদের মুদ্রার মূল্য আরও কম হইলে, ঐ সব দেশেও আমাদের রপ্তানি অন্যন্ত দেশের মতই আরও অনেক বেশী হইতে পারিত এবং ঐ সব দেশ হইতে আমাদের দেশে বিদেশী পণ্যের আমদানিও অনেক হ্রাস পাইতে পারিত। বহির্বাণিজ্যের কথা ছাড়িয়া দিলেও আমাদের দেশের কৃষিজাত পণ্যের মূল্য বুদ্ধি পাওয়া যে কি পরিমাণ আবশ্বক হইয়া পড়িয়াছে তাহা আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দুরবস্থা হইতে হাড়ে হাড়ে বুঝিতে পারিতেছি। আমাদের দেশে কৃষকই প্রধানতঃ ধনোৎপাদন করে । কৃষকের মেরুদণ্ড ভাঙিয়া পড়ায় ডাক্তার, মোক্তার, ব্যবসাদার সকলেই আজ নিরুপায় হইয়াছেন। ১৯২১ হইতে ১৯৩০ সাল পৰ্য্যস্ত ১০ বৎসরের গড় ধরিলে দেখা যায়, বাংলার কৃষিজাত পণ্যের বাজার দর"- কোটি টাকার উপর ছিল। তন্মধ্যে বাংলার কৃষককে দেনা ও খাজনা ইত্যাদি বাবদ দিতে হয় প্রায় ৩• কোটি টাকা। তাহার মূনাফা থাকে ৪• কোটি টাকারও বেশী। কৃষক নিজের প্রয়োজনে যে পরিমাণ জিনিষ ব্যবহার করে এই হিসাবে তাহ ধরা হয় নাই । সেই স্থলে ১৯৩২-৩৩ সালে বাংলার কৃষক তাহার ফসলের মূল্য পাইয়াছে মাত্র ৩২ কোটি টাকা ! অথচ তাহার দেনার পরিমাণ সেইরূপই আছে । অবস্থা কিরূপ গুরুতর হইয়া দাড়াইয়াছে, তাহা শুধু ইহা হইতেই বুঝিতে পার! যাইবে । ইহা হইতে আমরা আরও বুঝিতে পারিতেছি, কৃষিজাত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির উ*আমাদের শুভাশুভ কতটা নির্ভর করিতেছে। এই উদ্বেপ্তেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডলারের মূল্য প্রায়