পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ध्रप्ट অর্ধেক কমাইয়া দিয়াছেন। আমাদের আত্মকর্তৃত্ব থাকিলে আমরাও হয়ত তাহাই করিতাম। ইহাতে অন্ত দেশকে আঘাত করিয়া নিজ দেশের স্বার্থকেই হয়ত শুধু বড় করিয়া দেখা হইত। কিন্তু সে রকম দাবি আজ আমরা করিতেছি না। ভুল করিয়া যেটুকু মূল্য বেশী ধরা হইয়াছে এবং যাহার জন্য আমরা অন্যায় রকমে ক্ষতিগ্রস্ত হইতেছি, শুধু সেইটুকু হইতে আজ আমর মুক্তি প্রার্থনা করি। আমাদের দরবার— ২ পেনির দরবার । আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, অধ্যাপক বিনয়কুমার সরকার এবং আরও দুই চারজন বাঙালী ছাড়া সারা ভারতবর্ষে এ সম্পর্কে দ্বিমত নাই বলিলে বোধ হয় অতু্যক্তি করা হইবে না । অধ্যাপক সরকারের অভিমতে আমরা বিস্মিত হই নাই। সৰ্ব্ববাদিসম্মত সত্যে তিনি সাধারণত: আস্থাবান নহেন ; তিনি নূতন তথ্যের সন্ধানী। তাহার পক্ষে নৃতন কিছু বলাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ ব্যাপারে জনসম্মুখে আচার্ষ্য রায় মহাশমের মত লোকের অকস্মাৎ আবির্ভাবে আমরা বিস্মিত হইয়াছি। এ-বিষয়ে তাহাকে আমরা অনধিকারী বলিতে চাহি না ; কারণ সকল বিষয়েই র্তাহার পড়াশুনা এবং অল্পবিস্তর অভিজ্ঞতা আছে। তাই বলিয়া র্যাহারা আজীবন একৃশ্চেঞ্জ, ক্রেডিট, ফাইনানস লইয়া কাটাইলেন, যাহারা ইহা অবলম্বন করিয়াই য-কিছু প্রতিষ্ঠা ও সম্পদ জীবনে অর্জন করিয়াছেন–র্তাহাদের এবং সকলের সমবেত অভিমতের বিরুদ্ধে এইরূপ উত্তেজনা ও উৎসাহ লইয়া তাহার এই আত্মপ্রকাশ অনেকটা হেঁয়ালির মত ঠেকিতেছে। র্তাহার এই রুদ্র তেজ সম্বরণ করিবার জন্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে কি-না শেষে স্বস্তিবচন পাঠাইতে इहेल ! উহাদের বিরুদ্ধ মতের প্রত্যুত্তর যোগ্য ব্যক্তিরা যথাসময়ে যথাস্থানে দিয়াছেন। তাহার বিস্তারিত আলোচনা এখানে অনাবশুক। উচ্চ রেশিওর সপক্ষে সাধারণতঃ ষে দুই তিনটি যুক্তি প্রয়োগ করা হইয়া থাকে তাহাই সংক্ষেপে আমরা এখানে আলোচনা করিব। আমরা দেখিয়াছি, बाडेॉब शत्र स्क्र श्रण विtनने जिनिवब्र शब्र गखा इव । বাটার হার কমাইলে বিদেশী পণ্যের মূল্য চড়িয়া বাইবে, গরিব কৃষককুল ও জনসাধারণ এতটা সন্তা আর জিনিষ জামাজের রেশিও সমস্তা 482 কিনিতে পরিবে না, ইহা প্রতিপক্ষের একটি আপত্তি। কথাটা শুনিতে আপাততঃ বেশ ভাল শোনায় । কিন্তু গাছের গোড়া কাটিয়া আগাম জল দেওয়া ষে রকম, কৃষকের ক্রমশক্তি একেবারে নষ্ট করিয়া দিয়া তারপর তাহার সম্মুখে সন্ত বিদেশী জিনিষ উপস্থিত করাও প্রায় সেই রকম। যেখানে কেবল বাংলার কৃষকদের হাতে পূৰ্ব্বে ৪• কোটি টাকা উদ্ভূক্ত থাকিত, সেখানে তিন-চার কোটি টাকাও জ্ঞার আজ তাহাজের হাতে থাকে না । জিনিষের দর অসম্ভব রকম সস্ত হইলেও তাহারা আজ আর কিছু কিনিতে পারিতেছে না। বর্তমান সমস্তার প্রধান লক্ষণই এই যে, পৃথিবীতে কোন জিনিষের আজ অভাব নাই, চারি দিকে কল্পনাতীত পণাসম্ভারের আয়োজন, বিলাসসামীর ছড়াছড়ি। কিন্তু ক্রয় করিবার শক্তি আজ কাহারও আর তেমন নাই। Water, water, everywhere, but not a drop to drink 1 & oth হাটে আমাদের কৃষক বিদেশী সৌধীন বা প্রয়োজনীয় জিনিষ কিছু ক্রয় করিতে পারিতেছে কি ? চড়াবাজারে সে যাহা কিনিতে পারিয়াছিল, আজ তাঙ্গ ক্রয় করা তাহার কল্পনার অতীত । এখানে আরও একটা কথা ভাবিবার আছে। সন্তা বিদেশী জিনিষের লোভে দেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি এবং দেশের স্থায়ী মঙ্গলকে প্রতিহত করা উচিত কি-না? অন্ত কোন দেশ তাহা হইতে দেয় নাই। সেইজন্য তাহারা দিনের পর দিন শুদ্ধ-প্রাচীর উচ্চতর, মুদ্রামূল্য নূনতর করিয়া বিদেশী পণ্যের আমদানি প্রতিরোধ করিবার মত্ত চেষ্টা করিয়া আসিতেছে। জাতিতে জাতিতে বিরোধ আজ সেইজন্তই দুবার হইয়া উঠিয়াছে। প্রতিপক্ষের আর একটি যুক্তি এই, বাংলা শিল্পবাণিজ্যক্ষেত্রে একপ্রকার নূতন ব্ৰতী ; তাহার এই নবীন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার সময় বস্ত্র, চিনি ও অন্যান্ত কারখানার জন্য অনেক কলকজার প্রয়োজন। বাটার হার কমাইলে বিদেশ হইতে আমদানী কলকজ, যন্ত্রপাতির মূল্য চড়িয়া যাইবে। কয়টি কারখানার প্রয়োজনীয় কলকজার মূল্যের দরুণ আমাদিগকে ষে টাকাটা অধিক দিতে হইবে, তাহার সহিত তুলনায় আমরা অন্তর ও বহিৰাণিজ্যের বিস্তার ও উন্নতি হেতু যে টাকাটা পাইব, এই উভয়ের তুলন।