পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊब्न ঐরাধিকারঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় ষ্টীমার পাইলাম না। আমাদের নৌকাও আসিয়া ষ্টীমারঘাটে লাগিল, আর আরও তাহার নোঙর তুলিয়া কতকটা যেন আমাদের বিদ্রুপ করিবার মত ভঙ্গীতেই বঁাশি দিয়া তাহার ক্ষণিক-স্থগিত যাত্রা আবার স্বরু করিল। মনটা আপনা হইতেই কেমন যেন বিষন্ন ভারাতুর হইয়া উঠিল । নৌকায় আমি ও আমার স্ত্রী করুণা ছিল,—মাঝি ত ছিলই। মাঝি বেচারী নিতান্ত বেকুব বনিম্না গিয়া কহিল,—কত্ত, এখন উপায় ? সেই কথাই আমিও ভাবিতেছিলাম, করুণ ভাবিতেছিল কি-না জানি না। করুণ তখন পদ্মার দিগন্তপ্রসারী আকুল আত্মহারা অগাধ বারিরাশির পানে ভাবাকুল দৃষ্টি প্রসারিত করিয়া দিয়া অত্যন্ত উদাসীনের মত বসিয়া ছিল। হয়ত পদ্মার একটানা কুলভাঙা আৰ্ত্তনাদের কাছে সে আপনাকে বিসর্জিত করিয়া দিয়া সমস্ত ভাবনার খেই হারাইয়া ভাবনাবিহীন হইয়া উঠিয়াছিল। ভাবিতেছিলাম, পদ্মার দু-কুল ছাপাইয়া আকুল সমারোহে সদ্ধা আসিতেছে...কাল ভোরের পূর্বে কোন ষ্টীমার নাই... এখন উপায় ? কিন্তু এত দুর্ভাবনার কিছুই ছিল না, যদি-না করুণার সঙ্গে আমার মনোমালিন্ত ঘটিত। সেইখানেই যত গোল বাধিল। বাড়ি হইতে ইমার-ঘাট প্রায় সাত মাইলের জলপথ । uहे गाँउ यांशष्णब्र जणणष चांमब्रा अकहे ८नोकब्र दनिब्र আসিয়াছি, কিন্তু আমাদের উভয়ের মধ্যে একটিমাত্র কথারও আদান-প্রদান হয় নাই। জানি,-আমাদের কথা চিরদিনের মত শেষ হইয়া গিয়াছে এবং শেষ হইয়া যাওয়ার পূৰ্ব্বে সকালবেল উভয়েই উত্তকে আমরা শেষ কথা শুনাই৷ দিছি, আর তাঁহারই ফলে বরশাৰে তাহার বাপের বাড়ি রঞ্জি আলিতে চলিছিলাম। কারণ, ৰে জনৰ, ইচ্ছায় হউক, অনিচ্ছায় হউক-একবার ঘটিয়া গিয়াছে তাহার পরে আর কোন স্বামী-স্ত্রীতেই একত্র বসবাস কাহারও ঈপ্সিত হইতে পারে না । তাই ভাবিতেছিলাম, এখন উপায় ? এত যে পরিচিত স্বামী-স্ত্রী তাহার একটি পূর্ণ রাত কেমন করিয়া একই নৌকায় নিতান্ত অপরিচিতের মত, মুকের মত বসিয়া কাটাইয়া দিবে, মাঝে শুধু অভিমানের ঠুনকে প্রাচীর গড়িয়া তুলিয়া । এ অভিমানের জালা যে কত গভীর তাহা এই আগত প্রায় সন্ধ্যায় ভাঙন-মুখর উচ্ছ্বাস-বিহ্বল পদ্মার স্কুলে নৌকাবক্ষে না থাকিলে হয়ত কোনদিনই বুঝিতে পারিতাম না। করুণ হঠাৎ গভীর উচ্ছ্বাসে নড়িয়া বসিয়া আমার দিকে भूष क्ब्रिांश्ल। भूर्भ उठ्ठीव्र १ग्रांब्रहे भङ छांक्-*उँौद्र। আমিও করুণার দিকে মুখ তুলিয়া ক্ষণিকের জন্ত চাহিয় রছিলাম, কিন্তু পাছে আপনাকে সংযম-শাসনে বাধিয়া রাখিতে ন পারি সেই ভয়েই মুখ আবার অন্ত দিকে ফিরাইয়া লইলাম। মাঝি কি বুঝিয়াছিল জানি না। সে নৌকাটিকে শক্ত করিয়া কাছি দিয়া পাড়ের একটা পতিত-গাছের গুড়ির সঙ্গে বাধিয়া নৌকা হইতে নামিয়া গেল। সে হয়ত মনে মনে বুঝিয়াছিল যে, ভোরের ষ্টীমারের জন্ত আমরা এইখানেই রাত কাটাইব । মাঝি নৌকা হইতে নামিয়া যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের নীরবতা যেন আরও প্রকট, জারও মূর্ত হইয়া উঠিল। এ যেন কতকটা কলোচ্ছ্বসিত সাগরতীরে আদিম ভাষা-সন্ধানী নর ও নারী—জামি ও করুণা। সঙ্গে সঙ্গেই আবার মনে হইল, আহা ! আদিম নর-নারীর মুখে যদি ভাষা দেওয়া না হইত তাহা হইলে বিশ্বস্বষ্টির অঙ্গহানি হইত কি-না জানি না, কিন্তু মানবজীবন ষে অনেক স্বখের হইত তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অন্ধকার ক্রমেই গাঢ়তর হইয়া জালিল। মাঝিও নৌকায় ফিরিয়া আসিল । -