পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র —পাবে, পাবে, তুমি তোমার ভাবনা ছাড় করুশ, কাল ভোরের ষ্টীমারেও তোমার বাওয়া হতে পারে না —বলিয়া डॉशब्र भाषाञ्च शङ ब्राषिtउद्दे cन चामाग्न शङ? उांशग्न छ्हे হাত দিয়া কেমন ছোট মেয়ের মত আকারের ভঙ্গীতে जफ़ाहेब्र धब्रिज । উারি হাসি পাইল । এত যে দুৰ্ব্বল করুণা সে-ও কত দাপট দেখাইয়া না জানি বাপের বাড়ি চলিয়া যাইতেছিল। কিন্তু আমার এ-যাবৎ কালের অভিজ্ঞতা দিয়া করুণাকে এত দুৰ্ব্বল ত কোনদিনই ভাবিতে পারি নাই। আশ্চৰ্য্য কিন্তু ! পদ্মার প্রশস্ত ললাট ছুইয়া অন্ধকার চক্রবাল রূপায়িত করিয়া স্বন্দর শীর্ণ এক ফালি চাদ উঠিল । নৌকার গোলুইয়ে বসিয়া সেই নবজাত শিশু-চাদের পানে চাহিয়া ভাবিতেছিলাম সে-দিনের কথা—যে-দিন করুণাকে বিবাহ করিয়া গৃহে আনিয়াছিলাম। জল দেখিয় তাহার কি ভয় ও আহলাদ ! নৌকা দুলিয়া দুলিয় ওঠে,—করুণা সব লাজ জুলিয়া সভয়-আৰ্ত্তনাদ তুলিয়া আমাকে জড়াইয়া জড়াইয়া ধরে । বলে—বাবা বাবা । এমুনি জল তোমাদের দেশে ! এই জলেই না-জানি আমার মরণ লেখা আছে। তারপরে নৌকার দোলা একটু থামিলে নিজেকে সংযত করিয়া লইয়া অপরিচিত মৃদুহাসিযুক্ত মাঝিটির পানে সলাজ দৃষ্টি ফেলিয়া আবার বলে—ডুবে যদি যাই ত তোমারই লোকসান। ভুবতে কি আর দেবে তুমি । তৰু ভয় দেখ না—বলিয়া রাণ্ডিয়া উঠিয়া হালে 1 পর মুহূর্ভেই-ও মাগো—বলিয়া বিক্র-রকমে মাঝিটাকে হাসিবার স্বযোগ করিয়া দিয়া আমাকে জড়াইম্বা ধরিয়া বলে,--আমি কিন্তু মোটে সাতার জানি না । সে-দিনের নিতান্ত ছেলেমানুষ করুণা আর নাই । সে এখন জল দেখিয়া ভয় পায় না, পদ্মার নিরবচ্ছিন্ন নিষ্ঠুর নিঃসঙ্গ মূৰ্ত্তিকে নিজের ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতীক বলিয়া ভাবিতে শিখিয়াছে । হঠাৎ করুণা উঠিয়া বসিতেই চমূকাইয়া উঠিয়া বলিলাম— কি, উঠে বললে যে ঐ গুয়ে থাকতে কি ভাল লাগচে না ? করশা বলিল—ন, এমন চুপ করে আর ওয়ে থাকতে পারি নে। আমাকে পাড়ে তোল, আমি একটু ঘুরে বেড়াবো। এ যেন বড় নির্জন বোধ হচ্ছে । আবার করশাকে পাড়ে তুলিয়া বলিলাম-চল, এ δο-"Ο जन , ማo® জায়গাটা ছাড়িয়ে একটু ওদিকে ধাওয়া বাৰু । ওদিকে পয়ার পাড় ধরে ছেঁটে বেড়ার রাস্ত আছে। कङ्गलों बलिण-5ज, डाहे छल। খানিকট অগ্রসর হইতেই খাড়া পাড় ছাড়িয়া আমরা ঢালু পাড় দেখিতে পাইলাম। সেই ঢালু পাড়ের বালুর উপর দিয়া অগ্রসর হইতেছিলাম। ক্ষণিকের জন্ত জামাদের গায়ের উপর দিয়া কোন লঞ্চের থর-সন্ধানী আলো বোধ করি ঘুরিয়া গিয়া অন্ত কোথাও পড়িল । করুণা চম্‌কাইয়া উঠিয়া বলিল—এ কিসের আলো আবার ? -- - করশাকে বুঝাইয়া বলিলাম এবং পরমুহূর্ভেই দেখা গেল, দূরবর্তী চরের আড়াল হইতে একখানি ছোট লঞ্চ বিপুল শৰে আপন আগমন-বাৰ্ত্ত ঘোষণা করিয়া আমাদের দৃষ্টির মধ্যে আসিয়া ধরা দিল, আর সঙ্গে সঙ্গেই তাহার বুক-কাপানে কর্কশ । বাশি রি-রি করিয়া বাজিম উঠিল । করুণা বলিল,—জাঃ মরণ ! সিটি ত দিচ্ছে না, যেন বুকে দাগ দিচ্ছে । করুণার কথায় সে যে কতকটা সহজ অবস্থায় ফিরিয়া আসিয়াছে তাহ অন্ধমান করিম বলিলাম পল্লার এমুঠি দেখবার সৌভাগ্য এর আগে কখনও তোমার হয়নি, না ? করুশ বলিল—কোন মূর্তির কথা বলচ ? বলিলাম—এই যে চতুৰ্দ্ধিকে চিকির-চিকির জালে,-ঐ লঞ্চের খানিক, ঐ ফ্ল্যাটের কিছু, নৌকোগুলোর কতক,—ঐ ষে আকাশের এক ফালি চাদ—তারায় ঝিলমিল আকাশবিরাট জল-থৈ-থৈ পদ্মা। করুণা বলিল—তা কোনদিন দেখে থাকলেও আজকের মত করে নিশ্চয়ই দেখিনি । এই যে পদ্মার পাড়ে দাড়িয়ে— মনের এমনি গুরু বোঝা নিয়ে দেখা—এ আর কোনদিন হয়ে ওঠেনি, কিন্তু এসব দেখে একটা কথাই শুধু আমার মনে জাগচে । এই যে এত ভাবে প্রক্ষিপ্ত জালে, এই যে হউগোলের আভাস, এই ষে কত ভাবের চাঞ্চল্য, এই যে পদ্মার প্রলয়ঙ্করী মূৰ্ত্তি—এসব ডিঙিয়ে ও ষ মূর্ত হয়ে উঠেছে, তা পদ্মার নিবিড় নিম্প্রাণ ধ্যানগম্ভীর নিঃসঙ্গ একাক্তিত্ব। জার পদ্মার এই একাৰুিত্বই আমার প্রাণে যে ভীতি জাগিয়েছে, তা জলাধারণ ।