পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግ¢8 আই অবাক হয়ে ভাবি যে, কত বড় ভুলই না জাজ জীবনে আমার হতে যাচ্ছিল। বাবার ব্যাঙ্কের টাকার অঙ্কের উপর নির্ভর করেই তোমার সঙ্গে ঝগড়া করে বাগের বাড়ি চলে যাচ্ছিলাম, ষ্টীমার আজ পাওয়া গেলে হয়ত চিরদিনের মত আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যেত - আর কোনদিন হয়ত আমি তোমার কাছে ফিরে আসূতেও পারতাম না। উ, সে কি ছুসং জীবন । বেঁচে থাকাই সব নয় দ্বনিম্নায়। টাকা দিয়ে হল্ল৷ হৈ-চৈ বৈচিত্র্য স্বষ্টি করতে পারতাম সন্দেহ নেই, কিন্তু বুকের তলায় অসহ নিঃসঙ্গত যে অষ্টপ্রহর ডুকরে মরত। সে আমি কিছুতেই সহ্য করতে পারতাম না। পদ্মার বৈরাট্যের চেয়ে, বৈচিত্র্যের চেয়ে, তার কাতরতাই আমাকে মুগ্ধ করেচে বেশী, এবং সে কাতরতা পরম নিঃসঙ্গতার। করশার একটি হাত চাপিয়া ধরিয়া বলিলাম—করুণ, ষ্টীমার না পেয়ে জীবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েচি বহু বার, কিন্তু এমন লাভবান ত হইনি কোনদিন । করুণা আমার কথা শুনিয়াছিল কি-না ঠিক বোঝা গেল না । সে তাড়াতাড়ি বলিল—কিন্তু...ভাল কথা, ভোরের ইমারে "কলকাতা আমাকে পৌছে দিয়ে আসতেই হবে। এ নৌকায় বাড়ি ফেরা আমার হতেই পারে না। আর বাবার ఏనD8O ওখানে ত জাজ ক’বচ্ছর ধয়ে ঘাইনি। বল আপত্তি করবে না ? হাসিয়া ফেলিয়া ৰলিলাম-আপত্তি করলেই কি তুমি শুনবে এখন ? করুণা বলিল—খুব গুনব। আপত্তি করেই দেখ কেমন না গুনি ? বলিলাম—আচ্ছ, আপত্তি করচি । করুণ হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিয়া বলিল—তুমি কি বোকা, জামি কি এখন যাই কখনও ! তোমার মন দেখবার জন্তেই শুধু ও-কথা আমার বলা । ৰুরুণার হাত ধরিয়া তাহাকে আরও কাছে, আরও বুকের কাছে টানিয়া আনিলাম। আমার কেন জানি কেবলই ভয় হইতেছিল, বুঝি-বা করুণাকে পদ্মার অতল উত্তাল জলে হারাইয়৷ ফেলিলাম। আর পদ্মার ঐ দিগন্ত-প্রকম্পী কল-আৰ্বোচ্ছ্বাস যেন দুৰ্ব্বল ভীরু করুণারই। করুণ। নিতান্ত অসঙ্কোচে আমার কাছে আত্মসমর্পণ করিল, এবং পরমুহূর্তেই আমার বুকের উপর মুখ গুজিয়া সহসা কাদিতে লাগিল। মানুষ যে কত স্বন্দর করিয়া কাদিতে পারে তাহাই যেন সপ্রমাণ করিতে করুণ ফোপাইয়া ফোপাইয়া কাদিতেছিল । বাঙালীর পুত্রকন্যাদের শিক্ষা স্তর লালগোপাল মুখোপাধ্যায় আজকাল ষতগুলি সমস্ত আমাদের সমাজে উপস্থিত, তার মধ্যে অল্প-সমস্তাই সমধিক কঠিন। আমাদের ছেলেরা কি ক’রে থাবে—গৃহে গৃহে এই প্রশ্ন । এই প্রশ্ন অনেক কারণে ও বহুদিন হ’ল উঠেছে, কিন্তু আমরা এ-বিষয়ে যতটা মনোযোগ দেওয়া উচিত ততটা দিয়েছি বলে মনে হয় না। আমাদের সামাজিক গঠন হয়ত সে-কালের পক্ষে ভাল ছিল, কিন্তু কালের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সে গঠন না ক্সলানতে আজ আমাদের এই দুর্দশা । আমাদের সমাজ बनाछ श्लूि नयाबरे बूकफ श्रव । হিন্দুর জাতিহিসাবে তাহার ব্যবসায় নির্দিষ্ট ছিল। আরও পুরাতন কথা অর্থাৎ “কৰ্ম্মই জাতির প্রবর্তক কি-না”— আপাততঃ সে কথা তোলবার প্রয়োজন নাই। জাতিহিসাবে ব্যবসায় নির্দিষ্ট থাকায়, সমাজে একই রূপ কাজের জন্ত সকলেই প্রতিযোগিতা করত না। ব্রাহ্মণ র্তাহার পঠনপাঠন, স্বজনযাজন, দশকৰ্ম্ম ইত্যাদি নিয়ে থাকতেন। উহাদের মধ্যে ধারা নেহাতই মূর্খ র্তারা দোকানে খাতা-লেখা প্রভৃতি সামান্ত কাজ করতেন । কায়স্থরা বেণীর ভাগ সরকারী চাকরি বা জমিদারের চাকরি করতেন । বৈদ্যরা নিজের চিকিৎল৮