কাত্তিক --- স্বরেশবাবু কুকিয়া পড়িয়া দেখিয়া শিহরিয়া উঠিলেন-ভগ্ন ইষ্টক-স্তুপের মধ্যে হতভাগের মাথাটা অৰ্দ্ধ-প্রোথিত হইয়া গিয়াছে। যন্ত্রণার আক্ষেপে উৰ্দ্ধমুখে সমগ্ৰ দেহখান কাপিয়া কাপিয় উঠতেছিল। উপর হইতে রমেন্দ্রবাবু সভয়ে কাহাকে প্রশ্ন করিলেন -কে ? ও কি ? কিসের শব্দ ? ক্ষণিক মনোযোগ সহকারে গুনিয়া স্বরেশবাবু কহিলেন গাড়ী। গরুর গাড়ীর শব্দ । 兴 =gم - গন্তব্য থানায় পৌছিতে বাজিম গেল বারোট। তিনটি বন্ধুতেই নীরব । একটা বিষন্ন আচ্ছন্নতার মধ্যে যেন চলাফেরা করিতেছিলেন । শবদেহট গাড়ীতে বোঝাষ্ট হইয়া আসিয়াছে । সেটা নামান হইলে রজতবাবু সাব ইন্সপেক্টরকে বললেন - লোকটাকে এথানকার কেউ চিনতে পারে কি-না দেখুন ত । মুখাবরণ মুক্ত করিয়া দারোগ চমকিয় উঠলেন। রজতবাবু প্রশ্ন করিলেন—চেনেন আপনি ? —ন । কিন্তু এ কি মানুষ ? জমাদার পাশে দাড়াইম্নাছিল, সে কহিল -- আমি চিনি স্যর । এ একজন দ্বীপাস্তরের আসামা। আজ দিন-দশেক খালাস হয়ে বাড়ি এসেছে। সেদিন এসেছিল থানায় হাজির দিতে। বাহাদুরপুরের লোক, নাম কালী বাগদী । —বেশ। তা হলে রিপোর্ট লেখ । একটা গামছায় বাধা কোমরে ওর কি:কতকগুলো ছিল-- দেখ ত সেগুলো কি ? অনুসন্ধানে বাহির হইল একখান কাপড়, ছোট ঘটী একটা, কয়খানি কাগজ । কাগজগুলি একটা মোকৰ্দমার নথি ও রায় । নথিগুলিতে বহরমপুর জেলের ছাপ মারা--জেলগটে জমা ছিল । সঙ্গে একখানি চিঠি, হাইকোর্টের কোন উকীলের লেখা—এরূপভাবে দণ্ডাদেশের গুরুত্ব বৃদ্ধির জন্য মাপীল করা অস্বাভাবিক ও আমাদের ব্যবসায়ের পক্ষে ক্ষতিজনক। সেইজন্ত ফেরত পাঠান হইল । রজতবাবু নথিটা পড়িয়া গেলেনসেসন্স কোর্টের নথি । ১৯০৮ সালের ৫নং খুনী মামলার ইতিহাস। সম্রাট বাদী—আসামী কালীচরণ বাগদী । অভিযোগ : আসামী তাহার পুত্র তারাচরণ বান্দীকে হত্যা ब्रिाटक्क । जोर्की छिन्न छन । जांथंज़ा है८ब्रब्र मैौथि (o প্রথম সাক্ষী মোবারক মোল্লা। এই ব্যক্তি বাহাদুরপুরের নানকারদার, অবস্থাপন্ন ব্যক্তি। এই ব্যক্তিকে সরকার পক্ষের উকীল প্রশ্ন করেন --কালীচরণবাদীকে আপনি চেনেন ? : উত্তর-~-ই্যা । এই আসামী সেই লোক । —কি প্রকৃতির লোক কালীচরণ ? --দুৰ্দ্ধৰ্ষ লাঠিয়াল । - আপনার সঙ্গে কি কাল চরণের কোন ঝগড়া আছে ? —না। সে আমার ওস্তাদ। আমি তার কাছে লাঠিখেল| শিখেছি । তারাচরণ বাগীকে আপনি জানতেন ? - হ্যা । ওস্তাদ কালীচরণেরই ছেলে সে । –আচ্ছ, এটা কি ঠিক যে, কালীচরণ তারাচরণকে ভাল দেখতে পারত না ? --না। তবে ছেলেবেলায় তারাচরণ খুব রুগ্ন ঘূর্বল ছিল বলে ওস্তাদের ছেলেতে মন উঠত না । বলত, বেটাছেলে যদি বেটাছেলের মত না হয়, তবে সে-ছেলে নিয়ে করব কি ? --তারপর, বরাবরই ত সেই রকম ভাব ছিল ? -- না । তারাচরণ বারে-তের বছর বয়স থেকে সেরে উঠে জোয়ান হ’তে আরম্ভ হলে ওস্তাদের চোখের মণি হয়ে উঠেছিল সে । --কালীচরণ কি তারাচরণকে আখড়ায় মারত না ? —হঁ্য, ভুল করলে ওস্তাদের হাতে কারও রেহাই ছিল না, নিজের ছেলে বলে দাবির ওপর --থাক ওকথা । আচ্ছ আপনি কি জানেন কুলীর ঘাটিতে রাত্রে পথিক খুন হয় ? --জানি । শুনেছি বহুকাল থেকে— বোধ হয় একশো বছর ধরে এ কাও ঘটে আসছে। --কারা এসব করে জানেন ? - || —গুনেন নি ? –বহু জনের নাম গুনেছি। --আপনাদের গ্রামের বাগীদের নাম—এই কালীচয় তায় পৰ্ব্বপুরুষ--এদের নাম এনেছেন ব্যি ? . .
- =
i . .