ዓ¢¢
প্রত্যেক বালক-বালিকাই অনেকখানি জ্ঞানের পথে অগ্রসর হবে ।
এইরূপ শিক্ষাদানের পর বাপ-মা স্থির করবেন তাদের ছেলে কি করবে। এখনও সব ছেলেই কিছু জজ ম্যাজিষ্ট্রেট বা লর্ড সিংহ হয় না, এর পরও হবে না। কিন্তু মা-বাপের চক্ষু আশার আলোকে অন্ধ হয়। তারা ভাবেন, “যে করেই হউক বালককে পড়াতে পারলেই, ছেলের কপাল ফিরবে।” বাপ ও মা'র এখন কৰ্ত্তব্য হবে বাস্তবের জ্ঞান দিয়ে, চোখের ছানি কাটিয়ে, বোঝা ষে তাদের ছেলে কি পারবে। তের-চৌদ্ধ বৎসর বয়স হবার পূর্বেই স্থির হওয়া চাই ছেলে কি করবে। ছেলের ষেদিকে ঝোক থাকে, তার দিকে নজর রেখে স্থির করতে হবে, সে কি করবে। “উচ্চ শিক্ষা” না হওয়াতে এটা সহজেই স্থির হবে, যে, জজ-ম্যাজিষ্ট্রেট, বা উকিল, ডাক্তার বা সিবিল ইঞ্জিনীয়ার সে হবে না। এগুলা বাদ দিয়ে ভেবে দেখুন ছেলে কি করতে পারে। দেশে বা দেশের বাইরে এখন যতগুলা কাজ আছে, যা করে লোক খাচ্চে, সেইগুলা ভেবে দেখুন, তাদের ছেলে এর মধ্যে কি কাজ করতে পারে। যেমন—তাত বোন, সেকরার কাজ, রাস্ত মেরামত করা, চুতোরের কাজ, পুরান কাপড় বা জিনিষ সংগ্রহ করার কাজ, ইত্যাদি ইত্যাদি। “কোনও কাজই হীন নয়” এই মহামন্ত্র জপ করে ছেলের জষ্ঠ যে কাজ স্থির করেছেন, সেই কাজ তাকে শিখতে দিন। যেমন এতদিন লেখাপড়া যোগ ভাগ গুণ শিখিয়েছেন, তেমনি ছেলেদের মিষ্টান্ন পাকের কাজ, ছতোরের কাজ প্রভৃতি শিখতে নি। কোনও কাজই না শিখে ভাল পারা যায় না। শুধু আমার নয় অনেকেরই এই বিশ্বাস, ষে যে-কাজ ভাল করে করবে, তাইতে সে উন্নতি করতে পারবে। ১৯২৯ সনে ইন্দোর সম্মেলনে গিয়ে জানলুম যে, ইন্দোরের মহারাণীর ইংরেজী খাবার তৈরি করবার জন্য ষে ব্যক্তি পাচকদের নায়ক, সে বাঙালী ও ১২৫ টাকা মাহিন পায়। আমাদের যুবকবুন্দের মধ্যে অনেকেই হয়ত এমন আছেন ধারা চাকরি করে অবসর গ্রহণ করবার সময় অবধি ১২৫ টাকা মাহিনী অর্জন করতে পারবেন না ।
ৰেহারার মাহিনী পচিশ-ত্রিশ টাকা ত প্রায়ই হয়, ইহার অধিকও অনেকে মাহিনা পায় । ইংরেজী বইতে পারে এমন কোরাৰে ৫৫ মালিৰ পেতে আমি দেখেছি। শুনেছি ষে
{R 2ị
# $
SనDBO
চীনামিন্ত্রি তোরেরা ভাল কাজ করে ও খেকে ৩ue প্রত্যহ মজুরি পায়।
উপার্জনের পথ অনেক। আমরা উপযুক্ত শিক্ষার অভাবে ও কুশিক্ষার ফলে সে-সব পথ দেখতে পাই না । হাতে কাজ করা যে অপমানজনক বা 'ছোটলোকের কাজ এই হ’ল কুশিক্ষা, ও লেখাপড়া ছাড়া অন্ত কাজ কি ক'রে ভদ্রলোকের ছেলে করবে, এই হ’ল উপযুক্ত শিক্ষার অভাব। নতুবা কলিকাতায় যত কাজ, মোটর চালান, রাধুনির কাজ প্রভৃতি থেকে বড় বড় দোকানদারি অবধি সব কাজ বাঙালীর হাত থেকে বার হয়ে যাচ্ছে কেন ?
এই ত গেল হাতের কাজের কথা । তারপর অন্ত অন্ত বিষয়-দোকানদারি ব্যবসায় প্রভৃতি—অনেক শেখবার অাছে, যা অল্পবয়সে শিক্ষা করতে গেলে মানুষ কৰ্ম্মক্ষম হয় ও উপযুক্ত বয়সে উপার্জনক্ষম হয় ।
আমরা বেশীর ভাগই মধ্যবিত্ত অবস্থার লোক। আমাদের ছেলেদের শেখাতে হবে যেন তারা তাদের চালটা না বাড়ায়। লম্বা কোচ, পাম্পগু, চোখে চশমা, হাতে পাতলা ছড়ি, কলেজে যাবার আগে দরকার মনে হয় না। যদি শতকরা ৯০ জন ছেলে কলেজে না যায়, তা হ’লে এসব উৎপাতও থাকবে না। এতে আমাদের যে সাধারণ জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহের মান (standard of living) Giồi șx4 ai i srai cnt ers মোট কাপড় আদর করে নিতে পারবে। প্রত্যেক বালককে অল্পখরচে পুষ্টিকর রায় কি ক’রে রাখতে পারা যায় হাতেকলমে শিখতে হবে, নতুবা প্রতিযোগিতায় কারও সমক্ষে দাড়াতে পারবে না। রাধাভাতের দিকে নজর থাকলে আসল কাজ হবে না। একজনের যোগ্য একটি ইক্মিক্ বা অন্ত কুকার আট থেকে দশ টাকায় পাওয়া যায় । তাতে রায়ার খরচ নামমাত্র, অথচ তাতে জপাচ্য, স্বস্বাস্থ ও পুষ্টিকর জাহার ছ-বেলা তৈরি করতে সময় নামমাত্র লাগে। কেহ মনে করবেন না, ধে, আমি কুকারওয়ালাদের এজেন্ট। আমি শুনেছি মাত্র, ৰে, কুকারে রাখলে সময়ের সাশ্রয় হয়। যদি তা না হয় ক্ষতি নাই। সাধারণ উনানে মোটামুটি পুষ্টিকর জাহার প্রস্তুত করা শক্ত নয়। এ-কথা বুঝতে হবে যে বাঙালী ছাড়া কোনও জাতি জগতে পঞ্চ ব্যঞ্জন’ দিয়া জাহার করে মা । जयशं★ब्र हैरtब्रज नाथांब्रनष्ठः कृ८कट्न६ ८कने ठिनांब्र पांद्र न !