পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रीछटी পশ্চিমে ভদ্রলোকের বাড়ি এক তরকারি ও রুটি বা ডালকাট ছাড়া অধিক রান্না হয় না। আর আমাদের অধিক তেল ও ঝাল মসলা দিয়ে নানান তরকারি খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত ভোজন হয়। সেই জন্ত ঘরে ঘরে ডিসপেপসিয়া ও অর্থবান লোকদের মধ্যে বোধ হয় চৌদ্ধ জানা লোকের বহুমূত্র রোগ। অধিক জাহার হেতু শরীরে আলস্য আসে, কাজ করা যায় না। শরীরের সমস্ত শক্তি ভাত-তরকারি হজম করতে অপব্যয় इम्न । আমি যে-কথা খাবার বিষয়ে বললাম ত যে সম্পূর্ণ সত্য তা প্রমাণ করবার জন্তে কোনও প্রমাণ-বাক্য উদ্ধৃত করবার দরকার নাই। আমরা সকলেই একথা বুঝি, কেবল লোভ সম্বরণ করতে পারিনে ব'লে কথাগুলি কাজে আনতে পারি নে। অর্থবান লোকেরা মনে করেন, “আমার পয়সা আছে, আমি কেন ভাল থাব না।” কিন্তু তাদের বোঝা উচিত, যে, তারা *ভাল’ না খেয়ে যথার্থ মন্দই খান। কারণ যে-খাদ্য শরীরের উপকার না করে ক্ষতি করে, তা ভাল হতেই পারে না। ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন— আয়ু: সত্ব বলারোগ্য মুখপ্ৰীতিবিবর্ধনা: | রস্যা: স্নিগ্ধা: স্থির হৃদ্য আহারা সাৰিকপ্রিয়াঃ । ১৭৮ কটুম্ললৱণাত্যুষ্ণতীক্ষকক্ষবিছিন। জাহার রাজসস্যেষ্টা দুঃখশোকাময় প্রদা: ৷ ১৭৯ অস্তত্র ভগবান লঘুভোজীর ( ১৮৫২ ) করেছেন । তাহলে আমাদের ছেলেদের শিক্ষা দিতে হবে যে, অধিক খাওয়া রোগের মূল, ও শরীরকে কাজের অনুপযুক্ত করে। এক্ষেত্রে বাপ-মাকে নিজে ফুভোজনের লোভ সম্বরণ করতে হবে, নতুবা শুধু মুখের কথা ফলদায়ক হবে না। ছেলেবেলা থেকে এক তরকারি ডাল ও ভাত খেতে শিখলে ছেলেরা বড় হয়ে অধিক খাওয়া চাইবে না। খাওয়ার সমস্যা সহজে সমাধান হ’লে ছেলেরা তাদের কাজে মন দিতে পারবে । অল্প বয়স থেকে তাদের নিজের উপর নির্ভর করবার ক্ষমতা জন্মাবে, ও তা হ’লে প্রতিযোগিতায় তারা দাড়াতে পারবে । তৃতীয় কথা এই যে, উপার্জনক্ষম হবার পূৰ্ব্বে ছেলেরা दिबांझ् कब्रहब न । नद्रकोब्र पनि श्द्र ५-विषटव्र उठांब्रां भाँ e বাপের অবাধ্য হলেও দোষের হবে না। অনেক উপার্জনক্ষম প্রশংসা बाडांजेौब्र नूखकछां८कञ्च विच ,ዊ¢ፃ যুবক বেশ ভাল উপার্জন করলেও মনে করে, যে, তারা বিবাহ করার মত উপার্জন করে না। অর্থাৎ তারা ভাবে যে, স্ত্রীকে লিঙ্কের শেমিজ শাড়ী না দিতে পারলে বিবাহ করাই বিড়ম্বন। এই ভাবটি মন থেকে তাদের দুর করতে হবে। আমাদের দেশের উন্নতি ষে-যুবকরা চায়, তাদের প্রত্যেকের উপার্জন করতে পারলে বিবাহ করা উচিত। নতুবা দেশে অবিবাহিত যুবক ও যুবতীর সংখ্যা বেশী হ’লে দেশের যথার্থ উন্নতি সম্ভব নয়। এখানে ব’লে রাখি যে, বিবাহিত দম্পতি যতক্ষণ সন্তানকে পালন করতে না পারেন ততদিন তারা সম্ভান কামনা করবেন না। কারণ দরিদ্রের সংখ্যা আমাদের দরিদ্র দেশে বাড়াবার অধিকার কারও নাই। বুদ্ধিমান দম্পতির পক্ষে কাজটি বিশেষ শক্ত হবার কথা নয়। যুবক-যুবতী বিবাহিত হ’লে দেশে পাপের পথ অনেকটা রুদ্ধ হবে, সন্তানসংখ্যা কম হ’লে দেশের অন্নকষ্ট খুচবে। চতুর্থ কথা, অভিভাবকরা দেখবেন যে, যদি কোন বালক বা বালিকা মেধাবী হয়, তবে সামর্থে কুলাইলে, র্তারা তাকে উচ্চশিক্ষা দিবেন। কারণ দেশে সকল রকম লোকই চাই। জ্ঞানের পথ রুদ্ধ হ’লে চলবে না। পুরান পন্থা এই ছিল, এক দল লোক অর্থাৎ ধারা ব্ৰাহ্মণ-বংশে জন্মেছেন তারা দারিদ্র্য ব্রত গ্রহণ করে বিদ্যাভাস করবেন। কিন্তু সকল ব্রাহ্মণসস্তানই কিছু জ্ঞানচর্চার উপযোগী হয়ে জন্মান না। কাজেই আমাদের নূতন পথ গ্রহণ করতে হবে। যোগ্য দরিদ্র বালক-বালিকাদের উচ্চশিক্ষার জন্য জলপানি থাকবে, সেজন্ত অর্থবান লোকদের ব্যবস্থা করতে হবে। পঞ্চম কথা, দেশের বালক-বালিকারা যারা হাতে কাজ করবে তাদের হাতের কাজ কোথা থেকে আসে ? তাহার উপায় আমাদেরই করতে হবে। দেশের তৈরি জিনিষ আমাদের ব্যবহার করতে হবে । অন্ততঃ এই জন্ত-দরকার হলে আমাদের কিছু বিলালিত বর্জন করতে হবে। হয়ত আমি এখন বেণী উপার্জন করি বলে দেশের শিল্পীর তৈরি জিনিষ ‘মোট বলে ব্যবহার করলুম না, কিন্তু আমার সন্তানের ত সকলেই বেশী উপার্জন করবে না। তাদের উপায় কি হবে ? তাদের উপার্জনের পথ বন্ধ হবে, যদি আমরা দেশী জিনিষের প্রতি আজুরাগ না রাখি। এইজন্স দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ