পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ማ®ህ” প্ত প্রবাসী 88 ఏనDBO সন্তানের মুখের দিকে তাৰিনে দেশের তৈরি জিনিষ আমাদের ব্যবহার করতে হবে । यé कथ, कांणकटबद्ध निचर्गब्र बछ चांबद्म बुद्ध# बङ्ग कद्रि বালিকাদিগকেও সেইরূপ ধত্বের সহিত শিক্ষা দিতে হবে । তাদের শিক্ষা লেখাপড়া ছাড়া সংসারের কাজেও হওয়া দরকার । লেখাপড়া ত তার শিখবেই, তা ছাড়া তাদের রায়, বোন, কাপড় কেটে সেলাই করা ইত্যাদি শিখতে হবে। উপযুক্ত পুরুষের উপযুক্ত স্ত্রী হলে সংসারের অনেক সমস্যার সমাধান হবে, তারা অল্প খরচে বেশী আরাম ও সৌষ্ঠবের সঙ্গে সংসারধাত্রা নিৰ্ব্বাহ করতে পারবেন। মেয়েদের এখন আমরা পরমুখাপেক্ষী করে রাখি। যদি তাদের স্বামীবিয়োগ হয় ত তারা পরের গলগ্রহ হয়ে থাকেন। শিক্ষা হ’লে তা হতে হবে না, তারা নিজের অল্পের সংস্থান নিজেরাই করে নিতে পারবেন। ছবি অঁাকতে শিখিয়ে, গানবাজনা শিখিয়ে, ছেলেমেয়ে পড়িয়ে, দরকার হলে দোকান করে, তারা অন্ন সংস্থান করতে পারবেন। যে দিন-কাল আসছে তাতে অনেক মেয়েরই বিবাহ হবে না। যদি তা হয়, তাদের বাপ-মাকে এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে মেয়েকে অল্পের জন্ত ভাই বা ভাজের গলগ্রহ না হতে হয় । মেয়ের স্বাধীন ও উপার্জনক্ষম হ’লে তাদের বিবাহবিষয়েও স্ববিধা হবে । যে-যুবক অল্প উপার্জন করে, সে এমন স্ত্রী চাইবে যে দু-জনের জ্ঞান, বুদ্ধি ও উপার্জনে সংসার সচ্ছল ভাবে চলে । সপ্তম কথা, আমাদের পুরুষদের একটু সময়ের অধীন হয়ে চলতে হবে। আপাততঃ অনেক গাড়িতেই মেয়ের যেন ক্রীতদাসী । পুরুষের র্যার যখন ইচ্ছা খাবেন । র্তাদের জন্ত মেয়েদের হাড়ি হেঁসেল আগলে বসে থাকতে হয়। পুরুষরা যখন অনুগ্রহ করে থাবেন, তারপর মেয়েরা খাবেন ও রান্নাঘরের পাট উঠবে। অনেক সময় মেয়েদের খাওয়া শেষ হ’তে-নী-হ’তে, বিকালের জলখাবার ও রাত্রে রায়ার জোগাড়ে মেয়েদের উদ্যোগী হতে হয়। ফলে মেয়েদের স্বাস্থ্যভজ হয়। অনেক সময় মেয়ের মূক । তারা বলতে জানেন না যে, তারা অন্ধস্থ । আর আমরা পুরুষরা অন্ধ ও বধির । চোখ দিয়াও দেখি না, কি ভাবে মেয়ের জীবন যাপন করচেন, তার স্বস্থ কি অন্ধস্থ । একটু-আধটু যদি কিছু গুনি, তা যেন শুনেও শুনি না। যদি আমরা পুরুষরা সেই জঙ্ক সময়ের শৃঙ্খলার অধীন হই, ও পঞ্চব্যঞ্জনের লোভ সামলাতে পারি, মেয়ের সময়-মত্ত ছটি খেয়ে কিছু বিশ্রাম লাভ করতে পারেন ও গৃহস্থালীর অস্ত কাজে মন দিতে পারেন । ফলে ঔষধের ও ডাক্তারের বিল কমে, ও অনেক জিনিষ — যা আমর দাম দিয়ে বাজারে কিনি, তা বাড়িতেই মেয়ের তৈরি করতে পারেন । অষ্টম ও শেষ বক্তব্য এই, যে, আমাদের বিলাসিত বর্জন করতে হবে । এ-বিষয়ে মেয়ে ও পুরুষ উভয়কেই যত্নবান হতে হবে। আমি কৃপণ হতে বলি না। পুষ্টিকর আহার ও দেহরক্ষার জন্য বস্ত্র অনেক সময় অল্প খরচে হয়। তার জায়গায় আমরা সকলেই অল্পবিস্তর বেশী খরচ করি । আমরা যে তা করি সেটা বেশীর ভাগ দেখাদেখি । অমুক ভাল পরে বা ভাল গাড়ি চড়ে, তাই বলে আমাকেও যে তাই করতে হবে তার মানে কি ? মনকে স্থির ও বশে রাখতে পারলে, বিলাসিত বর্জন সহজেই হবে। আমি একটি সত্য ঘটনার উল্লেখ ক’রে প্রবন্ধ শেষ করব । অনেক দিনের কথা । আমি তখন এই গোরক্ষপুরে সব-জজ । আমার একটি বন্ধু প্রায়ই আমাদের বাড়ি আসতেন। একদিন তিনি দেখলেন যে, আমার মেজ ছেলের – যেটি তখন বৎসর চারেকের, জামা একটু ছেড়া । তিনি আমোদ করবার উদ্দেশ্বে তাকে বললেন, “খুকুবাবু, তোমার জামা ছেড়া।” বালক উত্তর দিল, “মা বলেছেন গৃহস্থের ছেলেকে আস্তও পরতে হয়, আবার ছেড়াও পরতে হয়, কিন্তু ময়লা পরতে নাই।" উত্তরটি আমার বন্ধুর বড়ষ্ট পছন্দ হ’ল। আমি বাড়ি ছিলাম না, আমি ফিরলে তিনি ঐ গল্প আমার কাছে বলেন। ছেড়া কাপড় অবশু শেলাই হতে পারে ও বাড়ির লোকের শেলাই করাই উচিত। কিন্তু ছেড় পরাতে অপমান নাই । ময়লা পরা স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর । ষেৰিকটি নিয়ে সামান্থ একটু আলোচনা আপনাদের সামনে করলুম, সেটি খুবই বড় ও ঐ বিষয়ে দিস্তা দিস্ত কাগজ লেখা যায়। সেইজন্ত বেশী বলা প্রয়োজন মনে করলুম না। যদি এ প্রবন্ধ পাঠের ফলে, একটি শ্রোতাও এ-বিষয়ে মনোযোগ দেন, তা হলে আমি আপনাকে কৃতাৰ্থ মনে করৰ ।