পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চোর - ষ্ট্রপ্রতাপচন্দ্র ঘোষ অলঙ্ক পুলকের আবেশে চোখে নিদ্রা ছিল না। একটি কেসে একেবারে ছয়-ছয়টি হাজার টাকা প্রাপ্তি। প্রায় আঠার বৎসর পূৰ্ব্বে ওৰালতা আরম্ভ করিয়া একটি কেসে একসঙ্গে এতগুলি টাকা পাওয়ার কল্পনা করাতেও বাতুলতা প্রকাশ পাইত। আর আজ আঃ... । অসীম সাফল্যের পুলকে সারা অন্তর একেবারে অবশ। ই, তাহা হইলে কত জমিল ; প্রায় সাড়ে ছত্রিশ হাজার ছিল আর ছয় হাজার- প্রায় সাড়ে বেয়াল্লিশ হাজার হইল সৰ্ব্বসমেত। আচ্ছ, মাধববাবু আসিয়াছিলেন কবে ? হুঁ, দিন-কুড়িক আগেই বটে। আঃ সেদিনটা আমার কি সৌভাগ্য বহন করিয়াই ধে প্রভাত হইয়াছিল। তখনও ভাল করিয়া ভোর হয় নাই, তারাগুলি সবেমাত্র বোধ করি নিবিয়া গিয়া থাকিবে, এমন সময় মাধববাবুর ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙিয়া যায়। স্ত্রী স্বরম পাশ ফিরিয়া শুইয়৷ চাপা বিরক্ত স্বরে কহিল, "ওরা নিশাচর নাকি, দুপুর রাতে হল্প ক'রে বেড়ায় ?” “যে চরই হোক একবার যেতে হবে” বলিয়া নামিয়া আসিয়া বাহিরের ঘরের দ্বার খুলিয়া দিলাম। মাধববাবু আমাকে দেখিয়া হাত তুলিয়া নমস্কার করিয়া কহিলেন, "একটু বিশেষ বিপদে পড়েই আপনার কাছে এসেছি, আপনাকে জালাতন করলাম। হে হেঁ, কিছু মনে করবেন না।” বিরক্ত চিত্তে মুখে একটু ভদ্রতার ক্ষীণ হাসি টানিয়া প্রতিনমস্কার করিয়া কহিলাম, “না না, মনে আর কি করব, আপনার কি প্রয়োজন বলুন।" “ই" এই বলিয়া স্বমুখের আরাম কোরাখানিতে বসিয়া বেশ একটু দম লইয়া বলিতে লাগিলেন, “...বুড়ে রাত দশটায় মরেছে বুঝলেন, তা এখন...” তাহার কথার মাঝে বাধা দিয়া সবিস্ময়ে কহিলাম, “কি বললে, হরিধনবাৰু মারা গেছেন । কখন মারা গেলেন, কি হয়েছিল.আহ বড় ভাল লোক ছিলেন।” একটু শোকের ভাণ করিয়া উদাস স্বরে মাধববাবু বলিলেন, “কাল রাত দশটায় হঠাৎ হার্টফেল कcत्र भाद्र cणrझ्न.जा बth, ठा कd, बर्फ छान cगाक ছিলেন।” একটু পরে কহিলাম, “তা কি রকম উইল করে গেছেন ?" এবার বেশ একটু উৎসাহিত হইয়াই তিনি উত্তর দিলেন, “ই। সেই জন্যই ত আপনার কাছে আসা " পরে স্বর নামাইয়া চুপি চুপি বলিলেন, “গুনেছেন মশাই, আমার এই তিন-চারটি ছেলেপিলে আর আমি তার অসময়ে এত করলাম, আমায় কি-না সম্পত্তির চার আনা আর ঐ বুড়ি আর বাচ্চা ছেলেটার বার আন৷ ” একটু কাম-কাদ স্বরে কহিলেন, “একেবারে কি জলে ভাস্ব মশাই ?” কে যে কাহাকে অসময়ে সাহায্য করিয়াছিল তাহা বলা শক্ত। হরিধনবাবুর একমাত্র কন্যা প্রমীলা মাধববাবুকে চার বৎসরের রাখিয়া পরলোকে যাত্রা করেন, হরিধনবাৰু দৌহিত্র মাধবকে বুকেপিঠে করিয়া পুত্ৰাধিক স্নেহে মানুষ করেন এবং স্থদুর ভবিষ্যতে মাধবই ষে তাহার সম্পত্তির অধিকারী হইবে একথা স্পষ্ট জানা ছিল। কিন্তু সৌভাগ্যবশতঃই হউক, দুর্ভাগ্যবশতঃই হউক বৃদ্ধ বয়সে মাণিক জন্মগ্রহণ করে। সে যাহাই হউক, মাধববাবুর কথার উত্তর এখন দেওয়া বেশ শক্ত হইয়া উঠিল। হঠাৎ মাধববাবু করণ কণ্ঠে আমুনয়ের স্বরে কহিলেন, “আপনাকে এ উপকারটা করতেই হবে সত্যেনবাবু, কথা দিন আপনি করবেন।”—বলিয়া ব্যথাভরা চোখে আমার দিকে চাহিয়া রহিলেন। একটু চিন্তিত হইয়া কহিলাম, আছ, আমার সাধ্য থাকলে আপনার উপকার করব, কি কথা বলুন।” “এই বলি" বলিয়া একটু আশ্বস্ত হইয়া মাথা চুলকাইয়া কাশিয়া মাধববাবু কিছু সঙ্কুচিত হইয়া টানিয়া নম্ন ত আপনি জানেন, আমার অবস্থা একেবারে শোচনীয়, অনাহারে পরিবারস্বত্ব মারা যাই। তাই বলছিলাম কি... ” —বলিয়া একটু কাশিয়া গলা পরিষ্কার করিয়া কহিলেন, “ভাগবাটােয়ারার কথাটা একেবারে বলতে হবে বুঝলেন কি-না। আমার ভাগে রাখবেন পনের আনা, জার বুড়ির ভাগে এক