পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র - —আমার একটি বন্ধু। রাণু, তোর একটি দিীি আসছে রে, এই সাম্নের পরশু, বুঝেছিল ? : রাণু ভারি খুলী হয়ে উঠল ; বুকু, ম, দিদি আর বাব।— এছাড়া তার আর কোনো সার্থী এখানে মেলে না । একজন নতুন মানুষ দেখার চাইতে বড় আনন্দ সে কল্পনাই করতে পারে না । • মা জিজ্ঞেস করলেন,—তোর বন্ধু তোর কাছে বেড়াতে আসছে বুঝি ? কেখেকে আসছে ? —লাহোর থেকে আসছে । শুক্ল বলে একটি মেয়ের কথা তোমায় বলিনি মা ? সেই শুক্ল আসছে। ও কলকাতায় মাষ্টারি করে, ওর দাদা লাহোরে কাজ করেন, সেখানে গিয়েছিল বেড়াতে । কলকাতা ফেরার পথে নেমে আমার সঙ্গে দেথা ক’রে যাবে । - — আহক। হাফ ছেড়ে তা হলে একটু বাচি । কথাটি কইবার মানুষ নেই, বাবা এমন করে টেকা যায় ? থাকবে তে। কয়েক দিন ? মধু বলল,—কয়েক দিন কোথায়, এক দিনের জন্তে মোটে থাকৃবে লিখেছে। –আচ্ছ, আমুক তো, বাঙালীর মুখখানা দেখলেও মুখ । নতুন বাঙালী মেয়েটি দু-দিন পরেই দেখা দিল। মঞ্জু হয়ত ক্ষুণ্ণ হতে পারে, কিন্তু একথা কিছুতেই অস্বীকার করবার উপায় নেই যে, শুক্ল মধুর চাইতে আরও বেশী সুন্দরী । ট্রেন থেকে নেমে বাসায় এসে স্নান-টান করে শুক্ল আয়নার সাম্নে দাড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছিল। ফুলের পাপীর গায়ে গঙ্কটুকু যেমন লেগে থাকে, সাবানের মিষ্ট গন্ধটুকু ওর ভিজে একরাশ চুলে । তেমনি লেগে রয়েছে। চুল আঁচড়াবার সঙ্গে সঙ্গে ওর শুভ্র নিটোল বান্থখানা এধারে-ওধারে দুলছে। ট্রেনে আস্বার কষ্টে প্রথমটা আমরা ওর মুখখানাকে একটু শুকনো দেখেছিলুম, কিন্তু বিশ্রাম এবং স্বানের শেষে এখন ওর মুখখানা দেখাচ্ছে ঠিক এক পশলা বৃষ্টির পরে একটি ল্যাফোটা তাজা বড় গোলাপের মত । মঞ্জুর মা বারান্দ থেকে বুরুর চোখে কাজল পরাতে পরাতে বলছেন,—ণ্ডয়া ত বস্তাখানেক অন্তত আছেই, না ? ? مسٹس &ھ?

  • .

♦©. x ঘরের ভিত্তরে ওক্লার একটু হাসি —না কৰিীম, আমার ইস্কুল খোলা, আর তো দেরি করবার জো নেই। –তাই বলে কালকে আমি কিছুতেই তোমায় যেতে দিতে পারূচি নে। আমন আসা না এলেই পাৰ্বতে ? —আচ্ছা কাকীম, আমি আবার যদি এদিকে আলি, তবে সেবারে অনেক দিন থেকে যাব। এবারে জামায় ছেড়ে দিতেই হবে, নইলে বড় ক্ষতি হবে । অনেক দিন মজুর সঙ্গে দেখা নেই, সেই জন্তেই নামলুম্। . . রাণু প্যাক প্যাক করে উঠল,—ইং, সেই জগ্নেই নামলেন । আমরা যেন ওঁর কিছু না, খালি মধুই সব না ম', শুক্লা-দিকে কিছুতেই যেতে দিও না।--তার পরে ঘরের ভিতরের উদ্দেশে—শুক্লী-দি, গেলে ভাল হবে না, ভাল হবে না, ভাল হবে না, হু । শুক্ল থালি হাসল। মঞ্জু বলল,—সত্যি এলিই যখন অন্ততঃ গোটা পাচেক দিন থেকে যা ভাই । বাইরে থেকে মঞ্জুর মা বললেন,—একেবারে বাঙালীর মূখ দেখি না, আজকে প্রাণটা একটু জুড়োলো । এক হাসপাতালে শুনি মাঝে মাঝে দু-একজন আসেন, এখনও এক জন আছেন । কিন্তু আশপাশে কারও কাছে গিয়ে ষে একটু বসবও, কথা কইবও, কি কেউ আমাদের কাছেও একটু বেড়াতে আস্ৰে—এ আর হবার জো নেই। এসেছই যখন মা, যদি গুরুতর কোনো ক্ষতি না বোঝে, থেকে যাও দুটি দিন। 4. - শুক্লার চুল আঁচড়ানো হয়ে গেছে। কাকীমাৱ কাছে বাইরে এসে এবারে বসল। হাসিমুখে তার মুখের দিকে তাকিয়ে কাকীমা জিজ্ঞেস করলেন,—কেমন ? শুক্লাও হাসিমুখে—আমার আর থাকতে কি ৰাকীম, বেশ ত ভালই লাগচে । আপনাদের হয়ত জায়গাটা একঘেয়ে হয়ে গেছে, কিন্তু আমি থাকি কলকাতায়—এখানে এসে যেন ভাল ভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। বাঞ্জলীর মুখ দেখে যেমন আপনাদের চোখটা মনটা জুড়োলে, এমন, ফাক মাঠ আর এমন স্কন্ধর দৃগু দেখে আমারও চোখ: আর মন তেমনি জুড়োলে । কিন্তু ইস্কুলে আৰায় গোলমাল না করে সেই ভয় । কালকেই আমার ছুটি শেষ কি-ন, হেড মিট্রেটিও বড় স্থঞ্চিার লোক নন্‌ ... -