পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጫፋ¢ - * দাদা লিখেছেন সে যদি চায় তবে ওখানে কোনো একটি ইস্কুলে সে ভাল কাজ নিয়ে যেতে পারে, মাইনে অনেক বেণী দেবে। স্কুল কমিটির লোক তার বিশেষ জানা, আপত্তি যদি না থাকে তবে যেন একটা টেলিগ্রাম করে দিয়েই সে দু-তিন দিনের ভিতর রওনা হয়ে আসে। শুক্ল মন স্থির করে ফেলে। নূতন দেশের, দূর দেশের একটা মোহ-তা ছাড়া ভবিষ্যতও ভাল। সে নিজের মত জানিয়ে দাদাকে তার ক’রে দেয়। ওর মনে পড়ল মঞ্জুদের কথা। ওঃ, কতদিন ওদের খবর নেই। ওদের ওখানে থেকে কলকাতায় ফিরে আসবার পরে মঞ্জুর কাছ থেকে মাত্র খান-দুই চিঠি এসেছিল, তার পরে আর আসেনি। ওরও চিঠিপত্র লেখবার তেমন অভ্যাস নেই—তা ছাড়া এতদিন নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে সব সময়ে । স্বপ্নের মত সেই জায়গাটিকে মনে পড়ে –বিশাল লাল মাটির মাঠ, সেই স্বৰ্য্যাস্ত, হাসপাতাল, শিবশঙ্কুবাৰু, কাকীম, भञ्जू, ब्रॉ५, बूबू... - বুকুট হয়ত এখন হেঁটে বেড়াতে পারে : হয়ত খুব দুষ্ট হয়েছে। আধ আধ কথাও ফুটেছে মুখে । শুক্লা সেইদিনকার ডাকেই একখানা পোষ্টকার্ড মন্থকে লিখে দেয়, সে অমুক ট্রেনে অমুক দিন লাহোর যাচ্ছে। ওদের ওখানে ট্রেন পৌছবে বিকেলবেল, কাজেই অসুবিধাও কিছু হবে ন!—সে যেন রাণুকে সঙ্গে করে জার বুবুকে কোলে করে ষ্টেশনে প্লাটফরমের ওপরে অবিশুি অবিপ্তি থাকে। - সমস্ত বন্দোবস্ত করে শুক্লা ছু-দিন পরেই রওনা হ’ল কলকাতা থেকে । 兴 * 景 兴 গ্যাটফরমে গাড়ী ঢুকতেই শুক্ল উৎসুক নম্বনে চারি দিকে তাকাল । কিন্তু কাউকে দেখতে পাওয়া গেল না। মঞ্জুর কি তাহলে আসেনি ? চিঠি কালকের ডাকেই ওদের পাওয়া উচিত, , কোনো গোলমাল হুবারও তো কথা নয় । 跋 - SOBO গাড়ী থামে। জানাল দিয়ে মুখ বের করে শুক্ল দুটি চোখ দিয়ে সারা প্লাটফরম খুঁজছে! হঠাৎ ভিড়ের ভেতর দিয়ে গাড়ীর দিকে তাকাতে তাকাতে শিবশঙ্কুবাৰু আসছেন—শুক্ল দেখতে পেল। কাছে আলবামাত্র হালিমুখে নমস্কার করে বলল,—ভাল আছেন কাকাবাবু ? মধু কই । রাণু কই ? ওর এল না কেন ? শিবশঙ্কুবাবুও স্থিতমুখে শুক্লার কুশল জিজ্ঞেস করলেন, বললেন,—কতদিন পরে আবার দেখলুম তোমাকে ...হ্যা, মঞ্জুর কাছে তুমি যে চিঠিটা দিয়েছ সেটা পেলুম আমিই। মঞ্জু ত এখানে নেই, আর রাণুটার হয়েছে এমন জর— শুক্লা জিজ্ঞেস করল,—ও ! মঞ্জু এখানে নেই ? কোথায় সে ? —সে ত লক্ষ্মেী গেছে কিছুদিন হ’ল—জামায়ের কাছে । কেন, তোমায় চিঠিপত্র দেয় না ? শুক্লা অত্যন্ত অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,—জামায়ের কাছে ? কবে ওর বিয়ে হ’ল কাকাবাৰু ? আমি ত কিছুই জানিনে । আমার কাছে ও আজকাল চিঠিপত্র মোটেই লেখে না। কার সঙ্গে বিম্বে হ’ল ? —বিয়েটা এক রকম হঠাৎই হ’ল, আর হ’ল, আমারই এক পেশেন্টের সঙ্গে । ছেলেটির নাম দেবিদাস রায়— শুক্লার নিঃশ্বাস যেন চট করে বন্ধ হয়ে আসে— শিবশঙ্কুবাবু বলতে থাকেন—ছেলেটি বেশ ভাল, সম্পূর্ণ স্বস্থও হয়ে গেছে। লক্ষ্মেী কলেজে এই অল্পদিন হ’ল প্রফেসারী পেয়েছে, মঞ্জুকে সেখানেই নিয়ে গেছে।...একটু থেমে শিবশঙ্কুবাৰু বলেন,—ও হো, কেন মঞ্জু দেৰিদাসের কথা তোমায় কিছু বলেনি ? তুমি সেবারে যখন আমাদের এখানে দু-দিন ছিলে, দেৰিদাস ত সেই সময়েই হাসপাতালে ছিল । তারপরে মাথা চুলকে একটু হেসে বললেন,-আজকালকার মেয়ে মা, দেবিদাসের সঙ্গে আলাপ হয়ে তাকে ওর বড় মনে ধরে গেল । হাসপাণ্ডাল থেকে ডিসচারজড হয়ে দেবী আমাদের কাছেই ছিল । তোমার কাকীমারও ছেলেটিকে পছন্দ হয়ে পড়ল বেজায়। আমিও দেখলুম— সরল প্রাণ প্রৌঢ় হাসতে লাগলেন ।