পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रीत्रट1 একটা ঢোক গিলে শুক্ল জিজ্ঞেস করল,—বিয়ে কোথায় হ’ল ? - —বিয়েও লক্ষ্মেীয়েই হয়েছে। সেখানে আমার ছোটভাই ওকালতী করে, তারই বাড়িতে হ’ল । সবাই সেখানেই একত্র হয়ছিলুম...... এর ভিতরে গাড়ী ছাড়বার ঘণ্টা পড়ে গেল। শিবশঙ্কু বললেন,—নেমে দুটো দিন থেকে গেলে পারতে না, মা ? তোমার কাক:ম তো তোমাকে আবার দেখবার জন্যে অস্থির। ষ্টেশনেই আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু রাণুটাকে আবার কেমন ক’রে ফেলে আসেন— শুষ্ক দীপ্তিহীন মুখে একটু স্নান হেসে শুক্ল বলল,— এবারে কল্যাণব্ৰত সঙ্ঘ তো আমার নাম অসম্ভব কাকাবাবু, কাকীমাকে আমার কথা বলবেন। এর পরে কোনো এক ছুটিতে আবার এসে দেখা করব । - - হুইস্ল দিয়ে গাড়ী ছেড়ে দিল। শিবশঙ্কুবাৰু বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। শুক্ল টলতে টলতে জানালার উপর মাথাটা কাৎ করে রেখে বেঞ্চের উপর কোনমতে বসে পড়ল, কোলের ওপর হাত দুখান৷ থর থর করে কাপতে থাকল। ট্রেনখানা সিগন্যাল পেরিয়ে গতি বাড়িয়ে দিল, মাঠের খোলা বুকের ওপর দিয়ে ছুটতে ছুটুতে চাকায় চাকায় শব্দ হতে লাগল—ঝক ঝক ঝকৃ, বাকু ঝক ঝকৃ, ঝক ঝকৃ বাকৃ--- কল্যাণব্ৰত সজঘ শ্ৰীঅনুরূপ দেবী যে আকস্মিক দৈবদুৰ্ব্বিপাকে উত্তর-বিহারের সমৃদ্ধ জনপদসমূহ দুই মিনিটের মধ্যে মহাশ্মশানে পরিণত হইল— অনুন পচিশ সহস্ৰ নরনারী নিহত এবং লক্ষাধিক আহত হুইল, সেই প্রলয়কাণ্ডের সহিত আমার প্রত্যক্ষ পরিচয় ঘটিয়াছে । সেই পরিচয়ের ফলে আমার জীবনের ক্ষতির অঙ্ক যে কত বড়, তাহ আমিই জানি। যাহা আমার একান্ত পারিবারিক ঘটনা, যে শোক আমার একান্ত নিজস্ব তাহা লইয়া আলোচনা করিবার শক্তি বা প্রয়োজন নাই। আমি নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ হইতে ধীরে ধীরে ফিরিয়া আসিতেছি ; এখনও শয্যাগত, এখনও ভাল করিয়া ভাবিবার বা কোনও কথা গুছাইয়া বলিবার ক্ষমতা ফিরিয়া পাই নাই। দুর্গতসেবার ক্ষেত্রে যেখানে আমি সাধারণের সহিত সম্পর্কিত, সেখানকার সম্বন্ধে দুই চারি কথা নিতান্ত প্রয়োজনবোধে বলিতেছি । যখন বিপন্ন বিহারের সাহায্যাৰ্থ বড়লাটের, মেয়রের বা কংগ্রেলের বিরাট সেবা প্রতিষ্ঠানের কোনও আয়োজন হয় নাই, যখন বাহির হইতে কোনও সাহায্যের আশামাত্র ছিল না,—যখন সহস্ৰ সহস্ৰ বিপন্ন নরনারীর শোক ও و عاص مقات আঘাতের অতি তীব্ৰবেদনা নিজের দেহ-মনে অনুভব করিয়া আপনার অক্ষমতাকে ধিক্কার দিতেছিলাম, তখন আমার কোনও স্নেহাস্পদ আত্মীয় ও কলিকাতা হইতে আগত তাহার এক বন্ধুর উৎসাহে মজঃফরপুরের বাঙালী কর্মিগণের কৰ্ম্মশক্তিকে একত্র করিয়া “কল্যাণত্ৰত সঙ্ঘ” স্থাপনের আকাজক্ষ। আমার মনে জাগে। প্রথমতঃ, আমার সেই শয্যাশায়ী অবস্থায় এক প্রকার শূন্তহন্তে এই ক্ষুত্র প্রতিষ্ঠানের কাজ আরম্ভ হয়। তখন ভগ্নস্তপের ভিতর হইতে মৃতদেহ বাহির করিয়া তাহার দাহের ব্যবস্থা করা, বিপন্ন পঞ্চবাণী নরনারীকে কাপড় ও কম্বল দিয়া সাহায্য এবং ঔষধ দিয়া সেবা করা এবং র্যাহাদের অন্যত্র আত্মীয়বন্ধু আছেন তাহাদিগকে সেখানে পাঠানোর গাড়ীভাড়ার ব্যবস্থা করা— ইহাই ছিল প্রধান কাজ। যেখানে নিজেদের সামর্থে কুলায় নাই সেখানেই অপরের সাহায্য লইতে হইয়াছে। আমার আত্মীক্ষবন্ধুগণের সাহায্যে ও স্থানীয় কপিগণের অক্লাস্ত পরিশ্রমের ফলে সত্য যখন কাৰ্যক্ষেত্রে কিছুদূর অগ্রসর হইয়াছে তখন দৈনিকপত্রে আমার আবেদনের ফলে বাহিরের