পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র : বশতঃ সৰ্ব্বত্র স্ববন্দোবস্ত করা সম্ভব ছিল না ; দ্বিতীয়তঃ, করোগেটেঙ জাম্বরণ দিয়া ঐ সকল স্থানে ভাল করিয়া ঘর ছাইয়া দিবার জন্ত চেষ্টা করা হইতেছিল। এই সময়ে বিপল্পের দুঃখের ভরা পূর্ণ করিডে বৃষ্টি নামিল। সদ্যপ্রস্থত শিশু, আহত ক্ষুংপীড়িত নরনারী দারুণ শীত দিবারাত্র ভিজিতে লাগিল। আমাদের ওরিমেন্ট ক্লাবের মাঠ জল দাড়ায় না, কুটীরগুলির আচ্ছাদন পুরু ও বাসর স্ববন্দোবস্ত মনোমত হওয়ায় ধাহারা পূর্বে আসিতে চান নাই এরূপ অনেকে আসিয়া সেখানে আশ্রয় লইলেন । কিন্তু সে কয়জন ? মামুষের দুঃখ-ধৈর্ঘ্যের সীমা ছাড়াইয়া গেল, সম্প্রদায়িক সেবাদলগুলির সেবায় কোথাও কোথাও অত্যন্ত স্বাভাবিক অথচ বিপক্সের দৃষ্টিতে অত্যন্ত কুংসিত প্রাদেশিকত আত্মপ্রকাশ করিল। সেবাকাৰ্য্যে প্রা দশিকতার অভিযোগে এই সময়ে অনেকেই অভিযুক্ত ইষ্টয়াছেন, সেন্টু লি রিলীফ কমিটির সম্বন্ধেও প্রাদেশিকতার অভিযাগ আলিয়াছিল। বাহিরের সংবাদপত্র নিয়মিত পাইবার বা পড়িবার স্ব:যাগ সে-সময় আমাদের কপিগণের বলাগৱত সন্সের বুটা শ্রেণী (পিছনের বঙ্গ) বাঙালী মহিলারা নুতন ঘরকল্প লইয়া ব্যাপৃত ছিল না, যখনই একথান কাগজ হাতে আসিত তখনই দেখিতেন অমুক ফণ্ডে এত লক্ষ টাকা উঠিল-অমুক প্রতিষ্ঠান এত ইত্বার কম্বল পাইলেন। মানুষ যখন শীতে জমিয়া মরিতেছে তপন কে কোথায় কি পাইলন-পাইল তাহার খোজ লইবার অস্থিা তাঞ্ছার থাকে না। আমি পাইলাম না, সেবাসমিতিগুলির ९%ङ प्लाको पाक्टिङ कश्न थाटिङ अधि न क्षाहेझ शूटेिरङ ऽिन्निद्रा भब्रिलाभ-महे जख्रिषार्ण cन बनि ऊथन उँौबक्tá. ዓጓ:» প্রচার করে তবে তাহাকে সমালোচনা করিবার অধিকার আর যাহার থাকে থাকুক, আমার নাই। অবশ্য সত্যের সহিত মিথ্যা মিলিয়াছে, প্রকৃত অবহেলিতের সহিত স্বার্থাম্বেষী বিদ্বেষবুদ্ধিপরায়ণের কণ্ঠ মিলিয়াছে। কিন্তু আগুভের মধ্যেও কল্যাণত্ৰত সজের কুটীর কুটারগুলি থড় ও ঝালাসি দিয়া নির্মিত শুভের উৎপত্তি হয়। এই অবস্থার স্বষ্টি না হইলে হত আজ সেবার স্ববন্দোবস্ত করিবার জন্ত দেশনেতৃগণ যেরূপ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও তৎপর হুইয়াছেন তাহা হইতেন না। আমার মনে হয় অবস্থার গুরুত্ব বিহারের নেতৃগণ বা সরকার বুঝিতে পারেন নাই, ন হইলে “বাহিরের কৰ্ম্মীর প্রয়োজন নাই” এ-কথা তাহারা বলিতে পারিতেন না। বাহিরের প্রকৃত কৰ্ম্মী, উৎসাহী কৰ্ম্মীর প্রয়োজন তখনওঁ ছিল, এখনও আছে এবং আরও বহুদিন থাকিবে । তাহদের আসিতে নিষেধ করায় তখন যে গুরুতর ভুল হইয়াছে তাহার ক্ষতিপূরণ জাজ আর হওয়া সম্ভব নয় । যাহা হউক, বাংলা দেশে এই সময়ে বাঙালী বিহারীর মধ্যে ভেদবুদ্ধির আন্দোলন অতি প্রবল হইয় উঠে। ঐ আন্দোলনের গুরুত্ব সম্বন্ধে আমাদের কোনও ধারণাই ছিল না, সেন্টাল রিলীফ কমিটির স্থানীয় কৰ্ম্মকৰ্ত্তার নিকট সাধারণের জন্য কাপড় ও কম্বল এবং মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের জন্য ফুটীর নিৰ্ম্মাণের সাহায্য চাiিয় চাহিয়া আমরা যখন একরূপ হতাশ হইয়াছি, তখন কলিকাতার মেম্বর আসিয়া আমাদের কাজের স্ববন্দোবস্ত দেখিয়া সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। ইহার পরেই প্রছেন্ন ঔষুক্ত সতীশচন্দ্র দাশগুপ্ত আসিলেন।