পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eسaه প্রদেশে প্রদেশে বিদ্বেষবুদ্ধির স্রোত যে কি ভীষণভাবে প্রবাহিত হইতেছে তৎসম্বন্ধে তিনিই আমাদিগকে সম্যকরূপে অবহিত করেন এবং উহা রোধ করিবার জন্য আমাদের সাহায্য চান । “কল্যাণত্ৰত সঙ্ঘ” কেবল বাঙালীর জন্য কাজ করিতেছে কল্যাণত্ৰত সজোর কুটীরশ্ৰেণী আশ্রিত বাঙালী পরিবারের গৃহস্থালী । লাম্পিপোষ্টটি সজোর দ্বার প্রদত্ত বলিয়া কথা উঠিয়াছিল, আমি তাহার প্রতিবাদ করি। “কল্যাণব্ৰত সঙ্ঘে'র কাপড় কম্বল ও অন্তান্ত সাহায্য বাঙালীর চেয়ে বিহারী বিপন্নই অধিক পাইয়াছে, কুটারগুলি যে অধিকাংশই বাঙালী মধ্যবিত্তদ্বারা অধিকৃত হুইয়াছিল তাহানিছক প্রয়োজনের তাগিদে। বাংলা দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে আমাদের সম্বন্ধে কোনও আলোচনা হইয়াছে কি না তাহা আমরা জানিতাম না। সেন্টাল রিলীফের নিকট সাহায্য না পাইয়া বিরক্ত হইয়াছিলাম, কিন্তু সে সাহায্যও বাঙালী বিহারী সকলের জন্যই চাহিয়াছিলাম। সন্ধান লইয়া জানিলাম, বহু সন্ত্রাস্ত বিহারীপরিবার সাহায্য চাহিয়াও র্তাহাদের নিকট কিছু পাইতেছেন না, অব্যবস্থা ও অনভিজ্ঞতার দোষে এবং কৰ্ম্মতৎপরতার অভাবে সেন্টাল রিলীফ কমিটির স্থানীয় কৰ্ম্মকৰ্ত্তারা বৃষ্টির কম দিনের মধ্যে অনেকেরই বিরাগভাজন হইয়াছেন। এক্ষেত্রে বাঙালীবিহারী যেখানে সমান ভাবেই অবহেলিত এবং শ্রন্থের রাজেন্দ্রপ্রসাদ, সতীশবাবুর মত দেশনেতৃগণ যেখানে সমস্ত অভাবঅভিযোগের আগু প্রতিকারে চেষ্টত, সেখানে ভেদবুদ্ধিকে জাগাইবার চেষ্টা আমি অন্যায় বলিয়া মনে করিলাম। এই মহাশ্মশানে দাড়াইয়া ভারতের জাতীয় জীবনের সন্ধিক্ষণে এই প্রাদেশিকতার দ্বন্ধ জাগাইয়া তোলার চেয়ে সৰ্ব্বনাশকর "ব্রহীচন্নাড় SనOBO আর কিছু নাই। তবে এ-সম্বন্ধে আমার বক্তব্য এই ষে, বাংলা দেশের সংবাদপত্রসমূহ বাদপ্রতিবাদে নিরস্ত হইলেও বিহারের সংবাদপত্রে বিপন্ন প্রবাসী বাঙালীকে এখন পর্যন্ত আক্রমণ চলিতেছে বলিয়া অভিযোগ আসিতেছে। তাহা সত্য হইলে দুঃখের কথা। যাহারা ভেদবুদ্ধির স্রোত বন্ধ করিতে সকলের আগে দাড়াইয়াছেন, তাহদের কৰ্ত্তব্য হইবে উভয় পক্ষকেই মুখ বন্ধ করিতে উপদেশ দেওয়া এবং অতীত স্বন্দ্বের স্মৃতি পর্যন্ত যাহাতে লুপ্ত হয় তাহার জন্য চেষ্টিত হওয়া। আশা করি সাহায্যদানে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আর যাহাতে ন-উঠে সেজন্যও দেশনেতৃগণ সতর্ক থাকিবেন। যাহা হউক, গণ্ডগোল অনেকটা মিটিয়াছে, সেন্টাল রিলীফ কমিটি শ্রদ্ধেয় রাজেন্দ্র বাবু, সতীশ বাবু প্রমুখ দেশনেতৃগণের প্রেরণায় ও উপদেশে গ্রাম ও নগর পুনর্গঠনের কার্য্যে স্বপথে পরিচালিত হইতেছে। এক্ষণে একটা কথা উঠিতে পারে, তবে একটা ক্ষুদ্র পৃথক সেবাপ্রতিষ্ঠানের, “কল্যাণত্ৰত সঙ্ঘের” অস্তিত্বের প্রয়োজনীয়তা কি ? সেই কথাই বলিব। গত দুর্ঘটনায় প্রবাসী বাঙালী মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে অনুভব করিয়াছে যে, ওরিয়েন্ট ক্লাবের প্রাঙ্গণে কলাশত্ৰত সজোর কুটার নির্মাণ আকস্মিক নৈসর্গিক বিপৎপাতে সে কিরূপ অসহায় এবং সেই সময়ে পর্যন্তগত লক্ষ লক্ষ মুদ্র অপেক্ষ নিজহস্তগত দশ টাকার মূল্য কত বেশী। এ-কথা মুক্তকণ্ঠে বলা যায় যে, সময়ে সুব্যবস্থা হইলে কয়েক সহস্র জীবন উত্তর-বিহারে অতি আল্লায়ালে বাঁচানো যাইত। ভূমিকম্পের বহুদিন পর পর্যন্ত ভগ্নগুপ হইতে জীবন্ত মানুষ বাহির হইয়াছে, বিনা চিকিৎসায় বা নামমাত্র চিকিৎসায় বহু আহুত মরিয়াছে। ৰিপদের সময়ে স্থানীয়