পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਾਂ চলে গিয়েচে– দূরে আর একটা অঞ্জনি লোকালয়ের বাড়িঘর, তাদের লোকজনও দেখেচি, তারা আমাদের মত মানুষ নয়- তাদের মুখ ভাল দেখতে পেতাম না-কিন্তু তারাও আমাদের মত ব্যস্ত, হলুদ রঙের পথটা তাদের যাতায়াতের পথ । ভাল ক'রে চেয়ে চেয়ে দেখেচি সে-সব মেঘ নয়, মেঘের ওপর পাহাড়ী রঙের খেলার ধাধা নয়— সে-সব সত্যি, আমাদের এই পৃথিবীর মতই তাদের বাড়িঘর, তাদের অধিবাসী তাদের বনপৰ্ব্বত সত্যি—আমার চোখের ভুল যে নয় এ আমি মনে মনে বুঝতাম, কিন্তু কাউকে বলতে সাহস হ’ত না – মাকে না, এমন কি সীতাকেও না—পাছে তারা হেসে উঠে সব উড়িয়ে দেয়। এ রকম একবার নয়, কঙবার দেখেচি । আগে আগে আমার মনে হ’ত আমি যেমন দেখি, সবাই বোধ হয় ওরকম দেখে । কিন্তু সেবার আমার ভুল ভেঙে যায় । আমি এক দিন মাকে জিগ্যেস করেছিলাম—আচ্ছা মা, পাহাড়ের ওদিকে আকাশের গায় ওসব কি দেখা যায় ?.. মা বললেন—কোথায় রে ?-- —ওই কার্ট রোডের ধারে বেড়াতে গিয়ে এক জায়গায় বসেছিলাম, তাই দেখলাম আকাশের গায়ে একটা নদী— আমাদের মত ছোট নদী নয়— সে খুব বড়, কত গাছপালা— দেখনি মা ?... —ম্বর পাগলা—ও মেঘ, বিকেলে ওরকম দেখায় । —নাম, মেঘ নয়, মেঘ আমি চিনিনে ? ও আর একটা দেশের মত, তাদের লোকজন পষ্ট দেখেচি যে—তুমি দেখনি কখনও ? —আমার ওসৰ দেখবার সময় নেই, ঘরকল্প তাই ঠেলে উঠতে পারিনে, জিতুটার আবার আজ পড়ে পা ভেঙে গিয়েচে—আমার মরবার অবসর নেই—ও-সব তুমি দেখগে বাবা । বুঝলাম মা আমার কথা অবিশ্বাস করলেন। সীতাকেও একবার বলেছিলাম—সে কথাটা বুঝতেই পারলে না। দাদাকে কখনও কিছু বলিনি। আমার মনে অনেকদিন ধরে এটা একটা গোপন রহস্যের भङ श्लि-cदन जघांद्र उकफै कि कर्टिन cब्रांशं श्रश्छসেটা বাদের কাছে বলুচি, কেউ বুঝতে পারচেন, ধরতে দৃষ্টি-প্রদীপ وی سط۹ পারচে না, সৰাই হেসে উড়িয়ে দিচ্চে। এখন আমার সঙ্গে গিন্েেচ। বুঝতে পেরেচি–ও সবাই দেখে না—বারা দেখে, চুপ করে থাকাই তাদের পক্ষে সবচেয়ে ভাল। আমাদের বাসা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা সব সময়ই চোখে পড়ে। জ্ঞান হয়ে পৰ্যন্ত দেখে আসচি বহুদূর দিকৃচক্রবালের এ-প্র ম্ভ থেকে ও-প্রাপ্ত পৰ্যন্ত তুষারমৌলিগিরিচুড়ার সারি-বাগানের চারিধারের পাহাড়শ্রেণীর যেন একটুখানি ওপরে বলে মনে হ’ত—তখনও পর্যন্ত বুঝিনি যে ও-গুলো কত উচু। কাঞ্চনজঙ্ঘা নামটা অনেকদিন পধ্যস্ত জানতাম না, আমাদের চাকর থাপাকে জিগ্যেস করলে বলত, ৪ সিকিমের পাহাড়। সেবার বাবা আমাদের সবাইকে (সীতা বাদে) দার্জিলিং নিয়ে গিয়েছিলেন বেড়াতে—বাবার পরিচিত এক হিন্দুস্থানী চায়ের এজেণ্ট ওখানে থাকে, তার বাসায় গিয়ে দু-দিন আমরা: মহা অাদরষত্ত্বে কাটিয়েছিলাম—তখন বাবার মুখে প্রথম-গুনবার স্বযোগ হ’ল যে ওর নামটি কাঞ্চনজঙ্ঘা ৷ সাঁতার সেবার যাওয়া হয়নি, ওকে সাধনা দেবার জন্তে বাবা বাজার থেকে ওর জন্তে রঙীন গার্টার, উল আর উল বুনবার কাটা কিনে এনেছিলেন। এই কাঞ্চনজঙ্ঘার সম্পর্কে আমার একটা অদ্ভূত অভিজ্ঞতা আছে ... সেদিনটা আমাদের বাগানের কলকাতা আপিসের বড় সাহেব আসবেন বাগান দেখতে । তার নাম লিণ্টন সাহেব । বাবা ও ছোটসাহেব তাকে আনতে গিয়েচেন সোনাদা ষ্টেশনে— আমাদের বাগান থেকে প্রায় তিন-চার ঘণ্টার পথ । ঘোড়া ও ফুলী সঙ্গে গিয়েচে । তখন মেমেরা পড়াতে আস্ত না, বিকেলে আমরা ভাইবোনে মিলে বাংলার উঠোনে লাটু, খেলছিলাম। স্বৰ্য্য অন্ত যাবার বেশী দেরি নেই—ম রান্নাঘরে কাপড় কাঁচবার জন্তে সোডা সাবান জলে ফোটাচ্ছিলেন, থাপা লণ্ঠন পরিষ্কার কাজে খুব ব্যস্ত—এমন সময় আমার হঠাৎ চোখে পড়ল কাঞ্চনজঙ্ঘার দূর শিধররাজির ওপর আর একটা বড় পৰ্ব্বত, স্পষ্ট দেখতে পেলাম তাদের ঢালুতে ছোট বড় ঘরবাড়ি, সমস্ত ঢালুট বনে ঢাকা, দেবমন্দিরের মত সরু সরু ঘরবাড়ির চুড়া ও গম্বুজগুলো অদ্ভুত রঙের আলোয় রঙীন— অস্তস্থধ্যের মায়াময় আলো বা কাঞ্চনজঙ্ঘার গায়ে পড়েচে তা নয়—তা থেকে সম্পূর্ণ পৃথক ও সম্পূর্ণ অপূৰ্ব্ব ধরণের।