পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&w-č ** 2: মধ্যে এল—তার ঘন ঘন কাপানোর ধরণের নিঃশ্বাসও শুনতে পাওয়া যাবে - আমাদের নিজেদের নিঃশ্বাস তখন আর বইচে না. কিন্তু মিনিটখানেকের জন্তে—একটু পরেই আর শুপটকে দেখতে পেশম না—যদিও শৰ শুনে বুঝলাম সেটা পাকদওঁীর ওপরকার পাহাড়ী ঢালুর পথে উঠে যাচ্চে। ..আরও দশ মিনিট আমরা নড়লাম না, তারপর বাকী পথটা উঠে এসে লিণ্টন বাগানের রাস্ত পাওয়া গেল। আধ মাইল চলে আস্বার পরে উম্পাঙের বাজার। এই বাঞ্জারের অমৃত সাউ মিঠাই দেয় আমাদের বাসায় আমরা জানতাম—দাদা তার দোকানটাও চিনত। দোরে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে সে বাইরে এসে আমাদের দেখে অবাক হয়ে গেল। আমাদের তাড়াতাড়ি ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে আগুনের চারিধারে বসিয়ে দিলে—আগুনে বেশী কাঠ দিলে ও বড় একটা পেজলের লোটায় চাষের জল চড়ালে । তার বেী উঠে আমাদের শুকনো কাপড় দিলে পরবার-ও ময়দা মাখতে বসল। রাত তখন দশটার কম নয়। আমরা বাসায় ফিরবার জন্তে ব্যাকুল হয়ে পড়েছি—বললাম—আমরা কিছু থাবো না, আমরা এবার যাই । অমৃত সাউ একা আমাদের ছেড়ে দিলে না, তার ভাইকে সঙ্গে পাঠালে। রাত প্রায় সাড়ে এগারটার সময় বাগানে ফিরে এলে দেখি হৈ-হৈ কাগু। বাবা বাসায় নেই, তিনি লে-দিন খুব মদ খেয়ে ফেরেন নি, তার ওপরে আমরাও ফিরিনি, মা পচাঙে লোক পাঠিয়েছিলেন, সে লোক ফিরে এসে বলেচে ছেলেমেয়েরা তো সন্ধ্যের আগেই সেখান থেকে রওনা হয়েছে। এদিকে নাকি খুব ঝড় হয়ে গিমেচে, আমরা আরও উচুতে থাকুবার জন্তে ঝড় পাইনি-নীচে নাকি অনেক গাছপালা ভেঙে পড়েচে । এই সব ব্যাপারে মা ব্যস্ত হয়ে সাহেবের বাংলায় খবর পাঠান-ছোটসাহেব চারিধারে আমাদের খুজতে লোক পাঠিয়েচে । মা এতক্ষণ কাদেন নি, .আমাদের দেখেই আমাদের জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলেন—সে এক ব্যাপার আর কি ! কিন্তু পরদিন যে ঘটনা ঘটল তা আরও গুরুতর। পরদিন চা-বাগানে 'বাবার চাকরি গেল। কেন গেল তা জানি না। অনেক দিন থেকেই সাহেবরা নাকি বাবার ওপর সম্ভষ্ট ছিল না, সেল মাষ্টার বাগাম দেখন্তে এসে বাবার নামে কোম্পানীর ৰাছে কয়েক বার রিপোর্টও করেছিল, বাবা মদ খেয়ে ইদানীং

  • yí鲁

SS)8C) কাজকৰ্ম্ম নাকি ভাল ক'রে করতে পারতেন না, এই সব জছে । আমরা যে-রাত্রে পথ হারিয়ে যাই, সে রাত্রে বাবা মদ খেয়ে বেন্থস হয়ে কুলী লাইনের কোথায় পড়েছিলেন—বড়সাহেব সেজান্ত ভারি বিরক্ত হয়। আরও কি ব্যাপার হয়েছিল নাহয়েছিল আমরা সে-সব কিছু শুনি নি। বাবা যখন সহজ অবস্থায় থাকতেন, তপন তিনি দেবতুল্য মানুষ। তখন তিনি আমাদেব ওপর অত্যন্ত স্লেংশীল, অত ভালবাসতে মাও বোধ হয় পারতেন না। আমরা যা চাইতাম বাবা দাৰ্জিলিং কি শিলিগুড়ি থেকে আনিয়ে দিতেন। আমাদের চোখছাড়া করতে চাইতেন না। আমাদের নাওয়ানো, থাওয়ানোর গোলমাল বা এতটুকু ব্যতিক্রম হ’লে মাকে বকুনি খেতে হত। কিন্তু মদ খেলেই একেবারে বদলে যেতেন, সামান্ত ছল-ছুতোয় আমাদের মারধর করতেন । হয়ত আমায় বললেন— এক্সারসাইজ করিসনে কেন ? বলেই ঠাস করে এক চড়। তারপর বললেন—উঠবস্ কর । আমি ভয়ে ভয়ে একবার উঠি আবার বলি-হয়ত ত্রিশ চল্লিশ বার ক'রে করে পীয়ে খিক্ষ ধ'রে গেল— বাবার সে-দিকে খেয়াল নেই । মা থাকৃতে না পেরে এসে আমাদের সামূলতেন । সেইজন্যে ইদানীং বাবা সহজ অবস্থায় না থাকলেই আমরা বাসা থেকে পালিয়ে যাই– কে দাড়িয়ে দাড়িয়ে মার থাবে ? : এই সবের দরুণ আমরাও বাবাকে ভয় যতটা করি, ততটা ভালবাসিনে । দু-চার দিন ধরে বাবা-মায়ে পরামর্শ চলল কি করা যাবে এ অবস্থায় । আমরা বাইরে বাইরে বেড়াই, কিন্তু সীতা সব খবর রাখে। একদিন সীতাই চুপি চুপি আমায় বললে— শোন দাদা, আমরা আমাদের দেশে ফিরে যাব বাবা বলেচে । বাবার হাতে এখন টাকাকড়ি নেই কি-না—তাই দেশে ফিরে দেশের বাড়িতে থেকে চাকরির চেষ্টা করবে। শীগগীর যাব আমরা–বেশ মজা হবে দাদা— না ?...দেশে চিঠি লেখা হয়েচে– আমরা কেষ্ট বাংলা দেশ দেখিনি, আমাদের জন্ম এখানেই । দাদা খুব ছেলেবেলায় একবার দেশে গিয়েছিল মা-বাবার সঙ্গে, তখন ওর বয়স বছর তিনেক-লে-কথা ওব মনে নেই। আমরা তো জাপ্রয় এই পৰ্ব্বত, ৰন জল, শীত, কুয়াল, বরফश्रृंज्ज cन¢थ चांगूठि-दक्कमोहे कब्रtङ *ांद्रिtन ५-जब झाँक्ले