পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ஆக் 兴 景 রায় শেষ হইয়া গেল। তিন জনেই নিৰ্ব্বাক হইয়া বসিয়া রহিলেন। মনের বিচিত্র চিন্তাধারার পরিচয় বোধ হয় প্রকাশ করিবার শক্তি কাহারও ছিল না । - ఆలి. অকস্মাৎ রমেন্ত্রবাবু কহিলেন—একটা কথা বলব স্বরেশ বাৰু? ng মৃদ্ধস্বরে স্বরেশবাবু বলিলেন—বলুন। - —পুলিস এক্সকিউটিভ আপনার দু-জনেই ত এখানে রয়েছেন । ওর দেহটা আর মর্গে পাঠাবেন না। ওই আখড়াইয়ের দীঘির গর্ভেট ওকে গুয়ে থাকতে দিন । ভারতে মুদ্রানীতি শ্ৰীঅনাথগোপাল সেন কোন দেশের আর্থিক উন্নতির সহিত সেই দেশের মুদ্র সম্পৰ্কীয় নীতির অতি ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ রহিয়াছে, এ কথা তুলিলে আমাদের বর্তমান যুগে চলিবে না । অথচ ইহা বলা বোধ হয় মোটেই অত্যুক্তি হইবে না যে এ সম্পর্কে আমাদের অত্যন্থ জ্ঞানাভাব । আমাদের বিদ্বজ্জন-সমাজে আজও এমন লোকের অসম্ভাব নাই যাহার। মনে করেন এবং অসন্দিগ্ধ চিত্তে বলিয়াও থাকেন, “গভর্ণমেণ্টের আর ভাবনা কি, টাকা তৈরি করিবার জন্য টাকশাল রঙ্গিয়াছে, যখন যত খুশী টাকা ও নোট প্রস্তুত করিয়া লইলেই হইল।” রহস্য এই যে, শ্রোতাদের মধ্যেও এ-সব বিষয়ে অনেকের ধারণ অনেকট পরকালতত্বের ন্যায়ই অস্পষ্ট হওয়ায়, তাহাদের পক্ষেও নীরব গাম্ভীৰ্য্যের সহিত এ-সব বিজ্ঞজনোচিত উক্তি মানিয়া লওয়া ভিন্ন গত্যন্তর থাকে না। কিন্তু বিষয়টি মোটেই হাস্যরসাত্মক নহে, পরস্তু ইহা যেমনি জটিল তেমনি আমাদের পক্ষে মারাত্মক ; কারণ আমাদের ব্যবসাবাণিজ্য, অন্নবস্ত্র,- এক কথায়, আমাদের জীবন-মরণের অনেকখানি ইহার হাতে । বৃটিশ-শাসনে “শান্তি ও শৃঙ্খলা” প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে ; আমাদের ধনরত্ন চোর-ডাকাত-ঠগের হাত হুইতে অনেকটা নিরাপদ হইয়াছে ; সিপাই-শাস্ত্রী, আইন-আদালত, छज्ज-कँछेनिलि সকলে মিলিয়া ধৰ্ম্মরাজের চতুৰ্দোল সগৌরবে বহন করিতেছে—এ সবই সত্য এবং এ-সব কথা আজকাল আমাদের স্কুলের ছোট ছোট বালকেরাও জানে। কিন্তু যাহা আজিকার দিনে আমাদিগকে ভাল কুরিয়া বুঝিতে ও শিথিতে হইবে তাহা হইতেছে এই যে, বর্ধমান যুগে শান্তি ও শৃঙ্খলার মধ্যেও নিপুণ অদৃপ্ত হন্তে পরস্বাপকরণ চলিয়াছে এবং এক জাতি অপর জাতির দৌলতে ফাপিয়া Èfèrzs i Èstrē atn scientific exploitation of বৈজ্ঞানিক পন্থায় অর্থমোক্ষণ। এইরূপ নীরব প্রক্রিয়ার ফল শত শত নাদির শার লুণ্ঠন অপেক্ষাও অনেক দুৰ্ব্বল জাতির পক্ষে ভয়ানক হইয়া উঠিয়াছে। বর্তমান প্রবন্ধ অর্থশাস্ত্রেরই একটি বড় অধ্যায়—ভারতীয় মুদ্রাতত্ত্ব সম্বাদ কিঞ্চিৎ আলোচনা করিব। মুদ্রা মানুষের দেন-পাওনা মিটান সম্পর্কে মধ্যস্থ হইয় কাৰ্য্য করে এবং এই ভাবে বিভিন্ন মানুষ ও দেশের মধ্যে পণ্য-বিনিময়ের সুবিধা করিয়া দেয়। ইহা ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে জামিন-স্বরূপ দাড়াইয়া বিক্রেতাকে বলিতে থাকে, “তুমি তোমার পণ্যের বিনিময়ে অন্য কোন পণ্য দাবি করিও ন, তাহার পরিবর্তে আমাকে গ্রহণ কর, আমি তোমার সকল প্রয়োজন মিটাইব।” এইরূপ ব্যাপক যাহার প্রয়োজনীয়তা তাহা এমন একটা বস্তু হওয়া আবশ্বক যাহা আকারে বা পরিমাণে বিস্তৃত হইবে না এবং যাহাঁকে রক্ষা করিতে বা হস্তান্তর করিতে অসুবিধা হইবে না। অধিকন্তু তাহ টেকসই হইবে এবং জগতে তাহার নিজের একটা প্রয়োজনীয়তা বা ল্য থাকিবে। এই কারণে সৰ্ব্বদেশে ও সৰ্ব্বকালে স্বর্ণ,