পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ38 ફ નામાં 3} SoSO নিধিরাজ ঘাড় নাড়িল-সে পরিবে । যাহোক সকালে সেদিন যাওয়া হয় নাই। সদ্ধাবেলাও BBBB BBBSB BB BBD DDB BSDDDS BBBB BBBB BBBB BBBB BBB BBBBBS বাড়িতে পুরুষ কেউ নেই ত—পিসিমা আর তোর বউঠাকরণ —তুই যা-ই সেই ভাল-তুই যা— আসিবার সময় ঐবিলাস মাধুরীর সঙ্গে একরকম প্রায় রাগ করিয়াই চলিয়া আসিয়াছে। এই টিউব-ওয়েলের কাজটা লইয়া পৰ্যন্ত মাধুরীর সঙ্গে তাহার কেমন দূরত্ব আসিয়া গিয়াছে । আজ এ-গ্রামে, কাল সে-দেশে, পরশু ওখানে— এমনি করিয়া শ্ৰীবিলাসের সঙ্গে মাধুরীর যেন আর পূৰ্ব্বেকার সে সম্বন্ধ নাই। মাধুরী দিন দিন রুশ হইয়া যাইতেছে—এসব দেখিয়াও ঐবিলাল কোনও উপায় করিতে পারে নাই। জাজ রাত্রের ওই অদ্ভুত শকটা শুনিবার পর হইতে প্রাণটা তাহার বেদনায় টন্‌ টল্‌ করিয়া উঠিয়াছে। তাহার নিঃসঙ্গ জীবনে সে এতটুকু স্বখ দিতে পারে নাই। আলিবার দিন শেষ দৃশ্যটা ঐবিলাসের মনে আছে । শিয়ালদহ হইতে ভোর ছয়টায় গাড়ী ছাড়ে ; ভোর থাকিতে থাকিতে পিলিমা উঠিয়া রাধাবাড়া শেষ করিয়াছেন। বন্ধ দরজার বাহির হইতে পিসিমা বলিলেন,-বেীমা, অ বৌমা—বিলাস উঠেছে —উঠিয়ে দাও বাপু, ভোর হয়ে গেল যে-কাককোকিল ডাকৃতে লেগেছে, খুব ঘুম বাছা তোমাদের-= কিন্তু পিলিমার ভাকিবার বহু পূৰ্ব্বে ঐবিলাস আর মাধুরী উঠিয়া পড়িয়াছে। মধুরীর সে-দিন সে কি রাগ ! শ্ৰীবিলাস তাহার রাগ ভাঙাইতেছিল—তুমি ত অবুঝ নও মাধুরী, যাৰ আর আসব, এই দেখ না সে-বারের মত সাতটা দিন দেখতে দেখতে যাবে ; দশ দিন নয় বার দিন নয় —এ ক'দিনের মধ্যে তোমার কিছু হবে ন— মাধুরী মুখ নীচু করিয়া বলিয়াছিল,- না গেলে কি হয় তোমার-কে খাবে তোমার অত টাকা-আমি মরে গেলে—: ঐবিলাস আর বলিতে দেয় নাই, দুই হাত দিয়া মধুরীর মুখ চাপিয়া ধরিয়াছিল। কিন্তু খানিক পরেই বুঝিয়াছিল, মাধুরী কাদিয়া ফেলিয়ছে। –ও মধু, গুৰি,ছি কীতে আছে বুধি, এই খে ক্ষের মাধুরীকে শেষ বারের মত আদর করিতে যাইতেই মাধুরী বলিয়াছিল—তুমি চলে যাচ্ছ, আমিও যেতে জানি। আমি চলে যেতে পারিনে ভেবেছ-দেখো—ফিরে এসে দেখো না--- হাসিতে হাসিতে সে-দিন জীবিলাস চলিয়া আসিয়াছিল। কিন্তু আসিয়া অবধি মনটা তাহার খারাপ হইয়া আছে। চিঠি ঐবিলাস লিখিয়াছিল, কিন্তু পৌছিয়াছে কি-না সন্দেহ। নইলে পাচ দিন কাটিয়া গেল – উত্তর আসিল না কেন ... গ্রামের পোষ্ট আপিসও যেমন ! —বুঝলি নিধু, আজ সকালেই তুই যা-পারবি ত ? তাই ভাল-বউঠাকৃরুণ যা বলে গুনৰি পিলিমার কথায় রা করবি নে তা হলে তাই ঠিক-বুঝলি – বুঝলিত ? মুখ দিয়া দগ্ধ তামাকের ধোয়া বাহির হইতে লাগিল । ঐবিলাসের বার-বার মনে হইল—সে-দিন ঠিক অমন করিয়া তাহার চলিয়া আসা উচিত হয় নাই। মাধুরী যেমন অভিমানী, কি কাণ্ড করিয়া বসে কে জানে। বিশেষ করিয়া ভ্ৰবিলাসের মনে হইল মাধুরীর বর্তমান শারীরিক অবস্থায় সেই অভূতপূৰ্ব্ব ঘটনাটি কখন যে ঘটা বসে তাহার ত ঠিকঠকানা নাই। প্রথম সস্তান জন্মগ্রহণ করিবে ; কত আশঙ্কা—কত আনন্দ—কত বেদন জননীকে ভোগ করিতে হয় তা ত লীবিলাস গুনিয়াছে। এই সময়টায় কত সাবধানে থাকিতে হয়— শিশুদেবতার আবির্ভাবের পূর্ব মুহূৰ্ত্ত পৰ্যন্ত জননীকে কত কঠোর আত্মসংযমের মধ্যে নিজেকে বাধিতে হয়, তাহা সে জানে! প্রতি মুহুর্তে বিপদ—প্রতি পদক্ষেপে আশঙ্কা—প্রতি ক্ষণে চরমতম মুহূর্ভের জন্য কি ব্যাকুল প্রতীক্ষা ! এই সময় মাধুরীকে ছাড়িয়া চলিয়া আল তাহার কখনও ऐउि ट्छ माहे । নিধিরাজ চলিয়া যাইতেছিল। ঐবিলাল আবার ডাকিল,--আর একটা কথা শুনে ব', ধউঠারণ যা বলে গুনবি বুঝলি, দরকার হলে ডাক্তারবাবুকে ডেকে আনতে জুলিসনে-জার দেখ, তুই-ই ত বাজার ক্ষরবি-বউঠারণ স্ব মা খেতে ভালৰালে তাই আনন্ধি এই