পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हैछटों ७पंथंथ ब्लॅस्ॐ

  • at

ধর, শীতের সময় এখন শিম, মাখন শিম, পালঙ শাক -এই রকম সব । তেকে আর কি বলব, আর হ্যাঁ, মোড়ের দোকানে সেই ধে উড়েট সিঙাড়া ভাজে গরম গরম, তাই আনবি জলখাবারের জন্তে - যা তা হ’লে – নিধিরাজ যাইতেছিল। শ্ৰীবিলাস আবার ডাকিল,—হঁ্যা দেখ, বেশী খাটাখাটুনি যেন না করে বুঝলি, তুই-ই নিজে সব করবি-আর বাড়িতে থাকবি সব সময়, যেন সমস্ত দিন আডড মারতে যাসনে আবার । নিধিরাজ চলিয়া যাইতেছিল। শ্ৰীবিলাসের আবার আর একটা কথা মনে পড়িয়া গেল।— আর একটা কথা শোন নিধে—দুটাে টাকা দিচ্ছি, সাকুরে গলির ষ্টীমার ঘাটে বেশ ভাল প্যাড়া পাওয়া যায়-ট্রেনে উঠবার আগে তাই নিবি সের-দুয়েক, বেশ ভাল দেখে—তোর বউঠাকরুণ খেতে ভালবাসে কিনা—আর একটা কথা—না, না, তুই যা—সে হবেখন— শ্ৰীবিলাস বলিতে যাইতেছিল—কালীঘাটে ষষ্ঠীতলায় গিয়া যেন পূজা দিয়া আসা হয়। তা সে পিসিম আছে, পিসিমাই সব ব্যবস্থা করিয়াছে নিশ্চয় । ওসব মেয়েমানুষেরাই জানে ভাল । ঐবিলাস উঠিয়তাবুর দরজা বন্ধ করিয়া গুইয়া পড়িল। দারুণ শীত পড়িয়াছে । আচ্ছ, এমন হয় না স্বপ্নের মধ্যে আর একবার মাধুরী যদি আসে । ঐবিলাস চোখ বুজিয়া ঘুমাইবার চেষ্টা করিল। কিন্তু এপাশ-ওপাশ ফিরিয়াও তাহার ঘুম আসিল না। স্বত রাজ্যের ভাবনা কি এই সময়েই আসিতে হয় ! আচ্ছ, মাধুরীর যদি একটা ছেলে হয়। ফুটফুটে গায়ের রং, মায়ের মতন গড়ন, সায়েবদের ছেলেদের মত স্বাস্থ্য। ছেলেকে সে বিলাত পাঠাইবে ব্যারিস্টারি পড়িতে, কথাটা ভাৰিয়াই ঐবিলাস হাসিয়া উঠিল। কোথায় ছেলে ঠিক নাই, ইহারই মধ্যে এত সাধ । কিন্তু গোল বাধিবে নাম রাখা লই । পিসিমা সেকেলে मांशष, श्ब्रङ ७कफै ?ाङ्कब्र-cनयडांब नाम ब्रांषिtव-कांजैौछब्रण, শিবদাস, কি এই রকম কিছু। আজকাল ও-নাম আর ভাল লাগে না। পছন। নামটি বেশ --রাগবাজারের বাড়ুক্ষেনের ছেলে নূতন আইসি-এস পাস করিয়া আসিয়াছে।--বেল নামটি ! . * * কিন্তু ছেলে না হইয়া ত মেয়েও হইতে পারে । শ্ৰীবিলাস ভাবিল, তা মেয়ে বলিয়া ফেলনা ন-কি ? আজকাল পথে ঘাটে কত মেয়েঞ্চে সে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করিতে দেখিয়াছে। মেয়েকে সে লেখাপড় শিখাইবে—এখনকার মত মেয়েদের বিবাহের জন্য অত ভাবিতেও হুইবে না, তখন নিজেরাই নিজেদের বর বাছিয়া লইবে । কিন্তু ষে যাহাই বলুক, মেয়ের নাম সেরাখিবে উজ্জয়িনী । উজ্জয়িনী যদি মাধুরীর পছন্দ না হয় ‘মৈত্রেী নামটাও ভাল । লেপের ভিতর ঐবিলাসের আরও শীত করিতে লাগিল । চারিদিকে দু-একটি পার্থীর ডাক শোনা যায়। কি একটা পার্থী আকাশের এপার হইতে ওপারে ডাকিতে ডাকিতে উড়িয়া গেল। উপরের অশ্বখ গাছ হইতে তাবুর উপর টপ টপ করিয়া জল পড়িতেছে। তাবুর একটা ফুট দিয়া আকাশের একটি কণা দেখা যাইতেছে। এখনে মাধুরী কি করিতেছে কে বলিবে!” পিসিমা সকাল সকাল উঠিয়া ধোয়-মোছা স্বরু করিয়া দিয়াছে। পাশের বেনেদের বাড়িতে সারাদিনের মত চীৎকার আরম্ভ হইল। তারপর ? তারপর, পূব দিকের জানালাটা দিয়া বিছানার উপর একটু রৌদ্রের আমেজ আসিয়া পড়িতেছে ; ঘড়িতে ছয়টা বাজে। মাধুরী উঠিয়াছে। পিসিমা এবার চান করিতে যাইবে-তারপর ...ছোট এতটুকু একটি খোকা—হিরন্ময়— छिब्झग्निौ-्षकनौ... সকাল সকাল খাইয়া লইয়াই দলের লোকের কাজ আরম্ভ করিয়া দেয়। তারপর সেই কাজ সন্ধা অবধি চলে। প্রতি গ্রামে দুই একটি করিয়া টিউব-ওয়েল বলিতেছে— কাজ কম নয় ... সকালবেলাই নিধিরাজ বাইবে। এখান হইতে পুৱা দশ মাইল নৌকা, তারপর ইমারে চড়িতে হইবে, তারপর ট্রেন। শেষরাত্রে ঘুম জালাতে খ্ৰীবিলাল তখনও ঘুমাইতেছিল। রৌঞ্জ উঠা বেলা হইয়া গিয়াছে। টিউব-ওয়েলের বেরিং