পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o চলিতেছে—গ্রামের ছেলেপিলের দল তাই দেখিতে জড় হইয়াছে। শুধু ছেলেই বা কেন, বুড়ারাও বাদ যায় নাই। ঐবিলাসের তাবুর কাছে গিয়া নিধিরাজ ডাকিল,—বাৰু, ७ बांबू শ্ৰীবিলাস উঠিল—কি রে ? —আপনার চিঠি আছে একখানা - চিঠি ! জীবিলাস যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় লাফাইয় উঠিয়াছে। শেষকালে মাধুরীর চিঠি সত্যসত্যই আসিল বলিতে হইবে। আর সে যা ঢিলা—চিঠি লিখতেই তাহার যত আলস্য। বাৰু, চিঠি ত লিখিয়াছে, কিন্তু কি লিখিয়াছে কে জানে ?...এতদিনে তাহা হইলে হয়ত একটি... ৷ কাপড় ঠিক করিয়া শ্ৰীবিলাস তাবুর দরজা খুলিয়া বাহিরে আসিল । কিন্তু চিঠি মাধুরীর নয়—জাপিসের। উপরের ছাপ দেখিলেই বোঝা যায়। নিধিরাজের উপর তাহার রাগ হইল। হইবারই কথা। ভারি ত আপিসের চিঠি, সেই চিঠির জন্ত তাহাকে এমনি ডাকিয় তোলা। নিধিটার এতটুকুন বুদ্ধিও কি থাকিতে নাই ? জীবিলাস ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া একটা স্বপ্ন দেখিতেছিল।. মাধুরীর স্বপ্ন। কাজ শেষ করিয়া যেন ঐবিলাস বাড়ি ফিরিয়া গিয়াছে। ছোট টুকটুকে একটি ছেলে কোলে করিয়া মাধুরী আসিল ।...দেখিতে ঠিক মাধুরীর মতন—যেমন রং, তেমনি গড়ন— শ্ৰীবিলাস বলিল,—কই বড় যে রাগ করে বলেছিলে চলে যাবে তুমি-ত। আর যেতে হয় না—ওকি—ও আবার কে ? —কা’র ছেলে নিয়ে এলে? কই—ও মাধুরী—দেখি— মাধুরী হাসিয়া হালিয়া বলিতেছিল,—স্থ্য, অমনি আমনি ছেলের মুখ দেখতে হয় বুঝি- সোনার বালা চাই—আর "জামার মিছামিছি ঐবিলাস পকেটে হাত পুরিয়া কি ধেন বাহির করিতেছে এমনি ভাবে বলিল-কাছে সরে এস, তবে ত দেব-কাছে—আরও কাছে—এস মাধুরী কাছে জাসিতেছিল ; শ্ৰীবিলাস একটি দারুণ মজা করিতে যাইবে, এমন সময় নিধিরাজের ডাকাডাকিতে ठशब्र पूष अंध्द्रिdनंनl.निषिब्रांय पनि cदांक नग्न व्रब কি ? আপিলের চিঠি যেমন আসিয়াছিল তেম্বলি পড়িয়া রছিল। শ্ৰীবিলাস খুলিয়াও দেখিল না। ততক্ষণে নিধিরাজ তামাক সাজিয়া আনিয়াছে। মুখ হাত পাধোস্বার আগে এটি তাহার চাই। কি যে অভ্যাস । বাবার নিকট হইতে এটি তাহার উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া । র্তাবুর উপর অশ্বখ গাছটির ডালে একটা কাক কি বিত্র কর্কশ স্বরে ডাকিতেছে । কাকের ডাক অশুভ ...এখন কোথায় অনেক দূরে মাধুরী কি অবস্থায় আছে কে জানে।” শ্ৰীবিলাস বাহিরে আসিয়া কাকটিকে তাড়া দিয়া উড়াইয়া দিল। যত সব অমঙ্গল-অশুভ-অলক্ষণ ! মাধুরী ভালয় ভাল। যদি উৎরাইয়া যায় তবেই••• এই কাকের কথাতেই শ্ৰীবিলাসের আর একটা কথা মনে পড়িল। মালদহতে একবার টিউবওয়েলের কাজ চলিতেছে। শিউচরণ তখন হেড মিস্ত্রি । কোথা হইতে কে জানে একটা কাক আসিয়া মাথার কাছে ডাকিতে স্বরু করিল। কাক আমন কত ডাকে, কে খেয়াল রাখে । ঘুরিয়া ফিরিয়া সেই কাকটাই কেবল ডাকিয়া ডাকিয়া যায়।—জালাতন আর কি ! শেষে বঁাশ কাঠি ঠেঙা দিয়া তাড়াইয়। তবে শাস্তি ! তখনকার মত শাস্তি হইল বটে, কিন্তু পরদিনই দেশ হইতে খবর আসিল—শিউচরণের ছোট ছেলেটি মারা গিয়াছে । * * দলের লোকেরা সকাল সকাল রান্না করিম খাইয় লয়। দু-একটা যা-কিছু দেখিবার মত শ্ৰীবিলাস দেখাইয়া দিল – পাইপের মাপ লইল।--তারপর আবার সেই একভাবে বোরিং চলিল । সরকারী রাস্ত বাছিয়া সোজা উত্তর দিকে গিয়াছে খেয়াঘাটের পথ। সেইখানেই নৌকায় উঠতে হইবে। নিধিরাজ প্রস্তুত হইয়াছে। হাট হইতে কচু কিনিয়া রাখিয়াছিল। মানকচু, একটা এক পয়সা-বড় বড় দেখিয়া দুইটা— আর বেগুন লইয়াছে চার সের-চমৎকার বেগুন বটে, কলিকাতার সেই সাত-বালি বেগুন—আর এ বেগুন—বউঠাকৃরুণ বেগুন দেখিয়া ৰ খুনী হইবে—তা সে জানে। আর মূলে লইয়াছে অসংখ্য ; পাইকারী দর। যদি পচিয়া যাইবার ভয়ই থাকে—বেশ তकांछिब्र कांछैिब छकहेब ब्रांशिरल७ फ़रण, जनकाञ्चब्र अछ ! .