পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अधश्च भि७ ૧ઝ একটা ছালার ভিতর সব ক'টি জিনিষ পূরিয়া একটা বড় পুটুলি হইয়াছে।—আর আছে চার নাগরী গুড়। : বাস এই ! ঐবিলাস নৌকা পৰ্যন্ত যাইবে নিধিরাজের সঙ্গে । পোটলাট কাধে ফেলিক্ষ্মা নিধিরাজ পথে বাহির হইল। छ्गंji-छ्*jींশ্ৰীবিলাসও আস্তে আস্তে বলিল, দুর্গ দুর্গা– এখন গিয়া যে সেখানে নিধিরাজ কি দেখিবে কে জানে! যদি ভালম ভালয় শেষরক্ষা হয়—তবেই ত নহিলে... একবার শ্ৰীবিলাসের মনে হইল-এ তাহার অহৈতুক উৎকণ্ঠ । পৃথিবীতে রোজই ত কত শিশু জন্মগ্রহণ করিতেছে—এ-ভয় করিলে সংসারে ত বাস করা চলে না । এই ত সে-দিন কলিকাতায়—তাহারই বাড়ির পাশের বাড়িতে — স্বামী বেচারা আপিস চলিয়া গিয়াছে। হঠাৎ দুপুরবেলাই মহিলাটির বেদন উঠিয়াছে। তারপর শ্ৰীবিলাস নিজে গিয়া ডাক্তার দাই ইত্যাদি দেখান সব ত করিল। শিশুও বঁচিল, মাও বঁচিল । সেই শিশু এখন বছর-ডিনেকের হইয়াছে। সে-দিন শ্ৰীবিলাস ছিল, তাই ত ! ভগবান নিশ্চয়ই আছেন। ঐবিলাসের স্থির বিশ্বাস হইল—ভগবান নিশ্চয়ই জাছেন ! নিধিরাজ হঠাৎ চীৎকার করিয়া বলিল,—দেখুন বাবু, শুই দেখুন— —কি রে ? ঐবিলাস এদিক-ওদিক চাহিয়াও লক্ষ্য করিবার মত কিছুই দেখিতে পাইল না। —দেখছেন না ঐ ধে—খালি কলসী একটা দেখেছেন ? · ধাত্রা শুভ—জানেন না খালি কলসী দেখলে যাত্রা শুভ リ Cリー কথাটা সত্য বটে। ঐবিলাসও জানে।...সারাপথ ঐবিলাস এদিক-ওদিক চাহিতে চাহিতে চলিতে লাগিল । একটা গুডচিহ্ন না-হয় দেখা গিয়াছে, অমঙ্গল আশঙ্কা কিছু কমিল—কিছু যদি আরও অমনি দু-একটা দেখা যায় তাহা হইলে অমঙ্গল সম্ভাবনাটা একেবারেই চলিয়া যায়।... কিন্তু এদিক-ওদিক কোথাও কিছু নাই। : জীবিলাস নিধিরাজকে বুঝাইতে বুঝাইতে চলিল— বেরাল যেন বাড়ির ত্রিসীমানায় না আসে। হলো বেরালের সেই অদ্ভুত আৰ্ত্তনাদ ক্লান্তকরুণ স্বর গর্তবতীর পক্ষে ন-কি ভারি অমঙ্গলজনক। কাছাকাছি যেখানে বেরাল দেখিবে যেন তখনি তাড়াইয়া দেওয়া হয়।...আর কাক !... শিউচরণের ছোট ছেলেটার মৃত্যু হইয়াছিল কেমন করিয়া তা ত নিধিরাজ জানেই !••• থেস্নাঘাটের ওধারেই শ্মশান ! শ্ৰীবিলাস ভাল করিয়া নজর করিয়া চাহিয়া দেখিল— কোথাও আজ একটা শবদেহও ত নাই । শবদেও ত । শুভযাত্রার লক্ষণ। মধুরীর মঙ্গলের জন্য কি কেহ একজনও মরিল না। অথচ অন্য দিন কত মৃতদেহে শ্মশান ভরিয়া থাকে । নিধিরাজ নৌকায় উঠিল। বলিল,—গিয়েই চিঠি দেব, আপনি ভাববেন না, আর যাত্রা ত শুভ হয়েছে—ও কি মিথ্যে হয় ? নৌকা ছাড়িয়া দিল। গুড়ের নাগরী ও ছালার পোটলাটার পাশে দাড়াইয়া নিধিরাজ শ্ৰীবিলাসের দিকে নির্বক দৃষ্টিতে চাহিয়া রহিল। বলিবার কিছুই নাই, অথচ দু-জনেই বুঝিল কত জিনিষ বলা হইল না। ক্রমে দূরে বাকের মুখে নৌকাটা অদৃপ্ত হইয় গেল। ফিরিয়া আসার পথে শ্ৰীবিলাসের মনে হইল—ভগবানের এ বড় অবিচার। নারী সন্তানপ্রসবের সমস্ত বেদনা বহন করিবে, আর পুরুষ কেমন স্বচ্ছন্দে নিৰ্ব্বিঘ্নে হাসিয়া খেলিয়৷ বেড়াইবে, অথচ পুরুষের দায়িত্বটা কি কিছু কম! পুরুষ যে বেদনার এতটুকু ভাগও ত লইতে পারে না। নারীর উপর যেন বিধাতার বিশেষ আক্রোশ । নিধিরাজ চলিয়া গিয়াছে—তামাক সাজিয়া দিবার কেহ নাই । অলস মধ্যাহে তাঁবুতে বসিয়া তাহার যেন শ্বাস রোধ হুইয়া আসিতেছিল। ঠিক এই সময়ে মাধুরী সেখানে কি করিতেছে ভাবিতে বেশ লাগে !... - দুপুরবেলা খাওয়া-দাওয়া, সারিয়া এখন হয়ত কঁাথ সেলাই করিতে বলিয়াছে। প্রথম শিশু জালিৰে—সমস্ত-কাথ৷