পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سن همه न्छन उब्रि कङ्ग बङ्गकोब्र । श्डाँच्न थट्आक;ि फ्रान छैोप्न মাধুরীর হাতের চুড়িগুলি ঠন্‌ ঠুন করিয়া বাজিতেছে— পশ্চিমমুখে বারান্দায় দ্বিপ্রহরের কড়া রৌদ্র আসিয়া পড়িয়াছে-সামনের নারিকেল গাছটা বাতাস লাগিয়া আমূল স্থলিতেছে—আকাশের গায়ে অনেক দূরে গোটা-দুয়েক চিল মন্থর গতিতে উড়িতেছে—ণীতের দিন উহাদের পাখার ভরে ক্লান্ত উদাস হইয়া উঠিল— হঠাৎ ঐবিলাস বিছানা ছাড়িয়া উঠিয়া পড়িল। সকালৰেল আপিসের যে চিঠিটি আসিয়াছিল সেট ত পড়া হয় নাই। জীবিলাস টেবিলের উপর খুজিল – সেখানে নাই। বিছানা, বালিসের তলা, জামার পকেট সব দেখা হইল, কোথাও নাই। সে চিঠিতে কি অর্ডার আছে কে জানে । ঐবিলাস উঠিয়া আসিয়া নিজের বাক্সট খুলিল । ইহার ভিতরেই হয়ত সে কখন জুলিয়া রাখিয়া দিয়া থাকিবে । কাগজপত্র প্রত্যেকটি তন্ন তন্ন করিয়া দেখিল । অনেক দিনের পুরান চিঠিপত্র আবার পড়িতে লাগিল । হঠাৎ দেখিল একটা ফোটে। এখন ময়লা হইয়া । গিয়াছে । অনেক দিন আগে—শ্ৰীবিলাস তখন বিয়ে করিবে না বলিয়া প্রতিজ্ঞা করিয়াছে। বয়স তখন তাহার ত্রিশের কাছাকাছি, বিবাহ করিবার বয়স তাহ নয়। কিন্তু কোথা হইতে একটা সম্বন্ধ আসিল—ঐবিলাস প্রথমটা "না" না করিয়াছিল, কিন্তু শেষ পৰ্যন্ত মাধুরীর এই ফোটোটা দেখিয়াই কেমন যেন মনটা একটু কুকিয়াছিল। তার পরেই বিবাহু । ফোটোটা এমন কিছু নয়। পিছনে সিন টাঙানো। মনে হয় মাধুরী যেন তালকুঞ্জের ভিতর দাড়াইয়া আছে ; স্বভাবরল স্থার মুখখানি।...টাকাই শাড়ীটি সৰ্ব্বলে বেষ্টন করা-মাথায় ঘোমটা নাই—হাতের বঙ্গীতে একটা ঘড়ি-পরে জীবিলাস শুনিয়াছে ও ঘড়িটা মাধুরীর দাদারফোটো তুলিবার সময় ওটি তাহার হাতে পরাইয়া দেওয়া হষ্টয়াছিল। - সেই কুমারী মাধুরী এখন কত বড়টা হইয়াছে। যে ছিল এক নি অচেনা অজানা পর, আজ সেই কেমন করিয়া এত আপনার হইয়া গেল। তাহার এতটুকু জল্লখ করিলে ৰে osteistī£} SOBO ঐবিলাসের চিন্তার অবধি থাকে না। ঐবিলাস ভাবিয়া পায় না কেন এমন হয় । খুজিতে খুজিতে আর একটা চিঠি বাহির হইল। भाषूबौब्र फिॉर्ट ! বিলাসপুরে থাকিতে মাধুরী লিখিয়াছিল; তখন নূতন বিবাহ হইয়াছে, চিঠিটির আগাগেড়া জীবিলাস পড়িল । পুরান চিঠি পড়িতে বেশ লাগে। সেদিনকার মাধুরীআর এদিনকার মাধুরী—তফাৎ এতটুকু নাই। কত অহুযোগ করিয়া লিখিয়াছে, বুদ্ধ বয়সে বিবাহ করিয়াছে বলিয়া স্ত্রীর উপর ঐবিলাসের টান নাই—বাড়ি আসিতে না পারেন, চিঠি লিখিতে ত দোষ নাই ইত্যাদি ইত্যাদি— চিঠি পড়িয়া ঐবিলাস খুব খানিকটা হাসিয়া লইল । মেয়েমানুষ হইয়া জন্সিয়াছে—চাকুরির যে কত জালা তাহা ত বোঝে না । র্তাবুর বাহিরে রোঁজ পড়িয়া আসিয়াছে। দলের লোকেরা সমস্বরে চীৎকার করিতে করিতে বোরিং করিতেছে। ঐবিলাস ঘুমাইবার চেষ্টা করিল। কাল এমনি সময়ে নিধিরাজ সেখানে গিয়া পৌঁছিবে। পিসিম তখন হয়ত পাশের বামুন-বাড়ি বেড়াইতে গিয়াছে। কড়ীনাড়ার শৰে মাধুরী কথা সেলাই ফেলিয়া রাখিয়া উঠিবে। —কে—কে তুমি ? —আমি-আমি বউঠাকরুণ, আমি নিধিরাজ– তাড়াতাড়ি মাধুরী কাপড়টা ভাল করিয়া গায়ে জড়াই৷ ঘোমটা দিয়া আসিয়া হাসিতে হাসিতে দরজা খুলিয় দিবে। দরজা খুলিয়াই দেখিবে নিধিরাজ পোটলা ঘাড়ে করিয়া একা; সঙ্গে আর কেহ নাই। মাধুরী বলিবে—কই তুই একা এলি? আর কেউ নেই? হ্যা রে নিধিরাজ, আর কেউ নেই ? উৰুর বাহিরে বিকাল হইয়া আসিল। ঐবিলাস বিছানা ছাড়িয়া উঠিল। আজ রাত্রে আলির মাধুরীকে একটা চিঠি লিখিতে হইবে। জুতা জোড়া পায়ে দিয়া ঐবিলাস বাহিরে জাসিল। টিউবওয়েল বিরিয়া ছেলেবুড়োর দল আপলৰ পৃষ্ঠতে চাহিয়া আছে। এতদিন ধরিয়া দেখিয়া দেখিয়া তাছাদের সাধ জার মেটে না। বাহাজের বয়স থেলী তাহারা গায়ের