পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੋਧ * যন্ত্রণায় ছটফট করিতেছে--আর এখনই কি-না দরদপ্তর छ्नः इङ्ग्रेण । - যাহা হউক, দাই সমস্ত সাজসরঞ্জাম লইয়া ঘরে ঢুকিল। ঘরের এক কোণে একটি মাটির প্রদীপ টিম্ টিম করিয়া জলিতেছে। পিসিমা দুৰ্ব্বার আগ্রহে চুপ করিম অপেক্ষ করিয়া রহিল । •• - ওদিকে শ্ৰীবিলাসও দেড়শ মাইল দূরে নদীর ধারে অপেক্ষা করিতে লাগিল--- ঘরের ভিতর বাতাস যেন নিঃশ্বাস বদ্ধ করিয়া আছে – আর কয়েক মুহূৰ্ত্ত পরেই বুঝি কোথায় প্রলয় স্বরু হইবে। জানালার ফাঁক দিয়া আকাশের খও চাদ উকি মারিতেছে । ষ্টেীভ জলিতেছে...গরম জল...পাখা , একটি মুহূৰ্ত্ত .. তার পরেই যাহা হইবার তাহাই হইবে । মাঝে মাঝে মাধুরী গোঙাইতেছে। ও-পাশের বাড়িতে হাপানি রোগীটা সেই রকম নিত্যকার মত ঘড় ঘড় আওয়াজ মুরু করিল। হঠাৎ দাই চীংকার করিয়া উঠিল—ঙগো, বেটা ছানা হয়েছে মা, বেটা ছানা— পিসিম আনন্দে বলিল—আ সৌরভী— শাখ বাজা—শাখ বাজা- ছেলে হয়েছে রে দেড়শ মাইল দূরে এক নির্জন নদীতীরে দঁাড়াইয়া শ্ৰীবিলাল স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিল...হিরন্ময় জন্মগ্রহণ করিয়াছে। রাত্রে জীবিলাস চিঠি লিখিল :—মাধুরী যেন বেশী খাটাখাটুনি না করে। কবচ পাঠান হইতেছে, ইহা যেন নিয়মিত ধারণ করা হয়। নিধিরাজকে ওখানে পাঠান হইয়াছে- সে যেন ডাক্তার দাই ইত্যাদি ডাকিয়া আনে। কোনও ভাবনার কারণ নাই। ওখানে কালীঘাটে ষষ্ঠতলায় গিয়া যেন পূজা দিয়া আসা হয়। কিছু ভয় নাই, ভালর ভালয় সব সম্পন্ন হইবে। মাধুরী যেন এক এক অন্ধকারে চলাফেরা না করে—শরীরের উপর সর্বদা যেন নজর রাখা হয়। ডাক্তার যাহা বলে সেই মত কাজ যেন করা হয়, পয়সার উপর মায়া করিলে চলিবে ন-পঙ্কল গেলে পয়ল আসিবে, প্রাণ আয় ফিরিয়া আসে না—ইভ্যাদি ইত্যাদি উপদেশপূর্ণ প্রায় চার পৃষ্ঠা চিঠি— छिनै ८णषः विषन cofष श्, ब्रांबि ख्थॆन १iङ्ग्रा بنت سجة 3 প্রথম শিশু ولاة مb বাজিয়াছে। বাহিরে গীতাৰ্ভ রাজি। অন্ধকার বুকে লইয়া কুশি যেন জমাট বাধিয়া আছে। নিধিরাজ থাকিলে এখন তামাক সাজিয়া দিত ; নল টানিতে টানিতে নিদ্রার আকর্ষণ বেশ লাগে। জীবিলাস বাক্স হইতে চুরুট বাহির করিম তাহাতে আগুন ধরাইল ।... তাহার মনে হইল—কালকের মত আজও যেন কে তাহার র্তাবুর কাছে আসিবে। আসিয়া দরজা খুলিয়া দিতে বলিবে, হয়ত বা সে মাধুরীই! ঐবিলাস চোখ মেলিয়া চুরুট টানিতে লাগিল। চুরুটের ধোস্বায় মন তাহার উড়িয়া চলিল অনেক দূরে—কলিকাতার অপরিসর একটি গলির ছোট্ট ঘরের এক কোণে । ’ আর তিন দিনের মধ্যেই এখানকার কাজ তাহার শেষ হইয়া যাইবে । তারপর শ্ৰীবিলাস বাড়ি যাইবে । ছোট আঁতুড়-ঘর। তাহারই ভিতর বসিয়া রুগ্ন মাধুরী । খোকাকে লইয়া বসিয়া আছে। শ্ৰবিলাস গিয়া চুপি চুপি বলিবে—কই, ও মাধুরী—দেখি থোকা দেখি— - মাধুরী খোকা দেখাইবে । তুলতুলে নরম দেহ ; চোখ দুটি নির্মীলিত – কুলার উপর শোয়াইম্বা রাখিয়াছে। — ওগো, খোকা কেমন দেখতে শিখেছে জান, চোখ মিটি মিটি ক’রে চায়—আর রাতের বেলায় দু-চোখ যদি এক করতে পারি—কেবল কাদবে—বড় হ’লে খুব দুষ্ট হবেবুঝলে- তুমি খুব জবা—এখন ঘুমুচ্ছে নইলে—ও খোক, ওই দেখ জেগেছে— রাত্রে খোকা খুব কাদিতেছে— — ও-ও-ও,ন-না-না—কে মেরেছে—ম রে মা, কি কায়াই কাদতে শিখেছিল তুই—সৌরভ, ও সৌরভী—দেখেছ ঘুম দেখেছ, চীংকারে সারা পাড়া জেগে গেল, আর উনি একটু আলোটা জেলে দেবেন তার - ও পৌরতী— সকালবেলা আটটা বাজিলে উঠানের এক কোণে এক ফালি রোদ আসে। সেইখানে খোকাকে লইয়া মাধুরী বসিয়াছে । শীতকাল ; খর থর করিয়া কঁাপিতেছে—খোকার গায়ের চারি দিকে ভাল করিয়া কাপড় ঢাকা দেওয়া । বেলা বাড়িল ; রৌঞ্জ উঠিয়া সারা উঠানখানি ভরিয়া গেল। খোকাকে দুই পায়ের উপর চিৎ করিয়া মাধুরী তেল মাখাইতেছে। খোকা সারা বাড়ি ষাটাইয়া চীৎকার করিতেছে।