পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रीलश আসিবে, উৎকণ্ঠ ৰাড়িবে, আবার ভাল হইবে-শাস্তি আসিবে কিংবা জালিবে না। এইiপূৰ্ব্ব মুহূর্ত পৰ্যন্ত তাহার কি উৎকণ্ঠই না ছিল। মাধুরীর দিকে চাহিয়া চাহিয়৷ শ্ৰীবিলাস অনেক কথাই ভাবিতে লাগিল । পিলিমা আসিল খোকাকে কোলে লইয়া। अम्ल ७ बंॉमङ्ग - wبeج —এই দেখ বিলাস-দেখ কেমন রাজপুত্তরের মত ছেলে - দেখছিস্— Vd - শ্ৰীবিলাসের হাসি জাসিল । হাগি আসিল এই ভাবিয়া, যেন রাজপুত্রের মত দেখিতে না হইলে ছেলেকে সে ভালবাসিত না ! নর ও বানর শ্রীশরৎ চন্দ্র রায় প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলনের কর্তৃপক্ষ যে নৃতত্ত্ব অন্যতম আলোচ্য বিষম্বরূপে গ্রহণ করেছেন, এটা আমার ন্যায় নৃতত্ত্বদেবীর পক্ষে বড় আনন্দের বিষয়। বস্তুতঃ নৃতত্ত্বের আলোচনা যে একেবারে নিম্প্রয়োজনীয় বা নীরস, তা নয়। পৃথিবীর কোন দেশে এবং কেমন ক'রে ও কতকাল আগে মানবজাতির উৎপত্তি হ’ল—তখনকার পৃথিবীর আকার ও প্রাকৃতিক অবস্থা কেমন ছিল প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষের দৈহিক ও মানসিক অবস্থা কি রকম ছিল-কেন ও কি উপায়ে তারা জন্মভূমি হ’তে ক্রমে নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ল, এবং কিরূপে একই মানবজাতি দেশভেদে নানা জাতিতে বিভক্ত হ’ল— কিরূপে তারা দলবদ্ধ হয়ে সমাজ সংগঠন ও রাষ্ট্র স্থাপন করল— কিরূপে নৈসর্গিক ও সামাজিক অবস্থাভেদে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রকার জীবিক, বিভিন্ন পরিচ্ছদ ও সাজসজ্জা, নানা রকমের গৃহনিৰ্মাণ-প্ৰণালী, জন্ম-মৃত্যু-বিবাহ সম্বন্ধে বিভিন্ন আচারব্যবহার, বিভিন্ন রাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতি এবং নানা রকমের ধর্মবিশ্বাস ও পূজাপদ্ধতি প্রবর্তিত হ’ল,-এই-সব বিষয়ের ইতিহাস স্থলেখকের দ্বারা রচিত হ’লে, স্কুললিত কবিতা বা মনোজ্ঞ উপস্তাসের চেয়ে কম চিত্তাকর্ষক হবার কথা নয়। আক্ষেপের বিষয় এই যে, সেরূপ ভাবে বর্ণনা করবার ক্ষমতা थांभांब्र नहेि। ७हे थदएक ८कवण नूऊर्ब्र विषtछ ७कफै। সাধারণ জান্ত সংস্কার সম্বন্ধে একটু বলব। নৃতত্ত্ব সম্বন্ধে শিক্ষিতমণ্ডলীর মধ্যেও অনেকের একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, নৃতত্ত্ববিদেরা ও বিবর্তনবাদীরা সিদ্ধান্ত করেছেন যে বানর হতে মানুষের উৎপত্তি হয়েছে। এমন কি মনীষী কারলাইলও এই ভ্রান্ত ধারণ বশতঃ এই কল্পিত মতকে “The monkey blasphemy of man” (who owth won ) on বিদ্রপ করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নৃতত্ত্ববিদেরা বা ক্রমবিকাশবাদীরা মানুষের এরূপ অপবাদ দেন না। এ-সম্বন্ধে তাহাদের সিদ্ধান্ত কিরূপ, তাই এই প্রবন্ধে সহজভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব। e এই পৃথিবীতে যখন মানুষের উদ্ভব হয়েছে, তার আগে হতেই মানুষের ইতিহাসের প্রথম অধ্যামের আরম্ভ। কারণ, কোন ব্যক্তির, সমাজের বা জাতির ইতিহাস বুঝতে গেলে যে-সমস্ত পূৰ্ব্ববর্তী ও পারিপার্থিক অবস্থা তার গঠনের সাহায্য করেছে তা জানা দরকার। ঐতিহাসিকের গবেষণার প্রধান উপাদান সমসাময়িক বিবরণ ও নিদর্শন—তাহ ভূৰ্জপত্রে, তালপাতায়, তুলট কাগজে বা অন্ত কোন আধারেই লিপিবদ্ধ হয়ে থাকুক কিংবা পাহাড়ের গায়ে উৎকীর্ণবা পাথরের থামে, ধাতুফলকে বা মুদ্রার উপরে খোদা বা স্বাকাই হউক। পুরনো ঘরবাড়ির ভয়াবশেষ ও মূৰ্ত্তি প্রভৃতিও ঐতিহাসিকের মালমশলা জোগায়। পরবর্তী কালের লিখিত বিবরণ ও প্রচলিত প্রবাদও স্থলবিশেষে নির্ভরযোগ্য প্রমাণস্বরূপ নেওয়া পারে। এই সমস্ত উপাদান ঐতিহাসিকেরা বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে পরীক্ষা ও ঝাড়াই-বাছাই করে ও ৰখাৰ সাজিয়ে গুছিয়ে বিভিন্ন দেশের একটা ধারাৰি (Evolutionists )