পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঁকুড়া জেলার একটি প্রাচীন শিলালিপি ২। শিলালিপি মানরাজার আবাসস্থল ছিল। মানরাজা বলিতে মান-বংশীয় রাজা বুঝান সম্ভব । শ্ৰীযুত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় র্তাহার বা লার ইতিহাস ১ম ভাগ ২য় সংস্করণে ৩০১-৩০১ পৃষ্ঠায় লিবিয়াছেন— গয়া জেলার দক্ষিণ-পূৰ্ব্বাংশে যে বনময় প্রদেশ এখন হাজারীবাগ বলিয়া পরিচিত, সেই প্রদেশে খ্ৰীষ্টীয় ৯ম শতাব্দে মানবংশীয় রাজগণ রাজত্ব করিতেন।” উক্ত ইতিহাসে দু-চার জন মানবংশীয় রাজার নাম পাওয়া যায়, যথা—বর্ণমান, উদয়মান, শ্ৰীধেীতমান, অজিতমান ইত্যাদি। তিলুড়ী গ্রামটি বাঁকুড়া ও মানভূম জেলার শেষ সীমায় অবস্থিত এবং পূৰ্ব্বে ইহা মানভূম জেলার অন্তর্গত ছিল। এই মানভূম নামটিও মানরাজাদিগের অস্তিত্ব জ্ঞাপন করে। যেমন- ব্রাহ্মণভূম, মল্লভূম, শূরভূম, সেনভূম ঐ ঐ বংশীয় রাজাদের ভূমি বা রাজ্য বুঝায়, তেমনি মানরাজার রাজ্য বলিয়া মানভূম নাম হইতেও পারে। বৰ্ত্তমানে ঐ স্থানে প্রাসাদ প্রাকার স্তম্ভাদির ধ্বংসাবশেষ স্পষ্টরূপে দেখিতে পাওয়া যায় না। কিন্তু স্থানে স্থানে অনেক •কারুকার্য্যযুক্ত প্রস্তরখণ্ড আছে। ইহা হইতে মনে হয় ঐ স্থানে অট্টালিকা দুর্গাদিও ছিল । স্থানে স্থানে পুরাতন পরিখার চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়। পাহাড়ের পাদদেশস্থ উপরিউক্ত স তলভূমির নিকটে একটি বিস্তীর্ণ দীর্ঘিকা আছে। ইহা আজও রাণার দীঘি নামে খ্যাত। গ্রামের নাম উদয়পুর, ভরতপুর ইত্যাদি। ঐ স্থানে এবং নিকটবৰ্ত্তী লোকালয়ে কতকগুলি প্রস্তরে উৎকীর্ণ দেবমূৰ্ত্তি দেখা যায়। তন্মধ্যে ভরতপুর গ্রামের তিলুড়ি গ্রামের মধ্যস্থিত কয়েকটি দেবমূৰ্ত্তি