পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Նոծֆ. প্রাপ্তস্থিত একটি বৃক্ষের নিম্নদেশে রক্ষিত মূৰ্ত্তিটির এবং তিলুড় গ্রামের মধ্যস্থিত বেদীর উপর সন্নিবিষ্ট মূৰ্ত্তিগুলির ছবি দেওয়া হইল। ভরতপুরের মূৰ্ত্তিটি মহাবীর হুকুমানের বলিয়া এতদঞ্চলের লোকের ধারণা। কিন্তু উহা খুব সম্ভব তিলুড়ির নিকটবৰ্ত্তী ভরতপুর গ্রামের প্রাস্তস্থিত প্রস্তরগাত্রে পোদিত মূৰ্ত্তি ক্ষত্রিয় শক্তির প্রতীকস্বরূপ কোন ক্ষত্রিয় বীরের মূৰ্ত্তি মাত্র। শিলালিপিযুক্ত প্রস্তর-পট্রের নিকটস্থিত আরও একটি প্রস্তরপট্রের গাত্রে ঠিক ঐ রকমের আর একটি মূৰ্ত্তি খোদিত আছে । ১নং ও ২নং শিলালিপির এক স্থানে "বীরপ্তম্ভমিদং” লেখা আছে বলিয় মনে হয়। এই ‘বীর” কথাটির সহিত ক্ষত্রিয় বীরের ঐরুপ মূৰ্ত্তির কোন যোগ থাকা সম্ভব। তিলুড়ি গ্রামের মধ্যস্থিত মূৰ্ত্তিগুলির মধ্যে যেটি ক্ষুদ্র অথচ সম্পূর্ণ ও অটুট অবস্থায় রহিয়াছে, সেটি বৰ্দ্ধমান মহাবীর অথবা পার্থনাথের মূৰ্ত্তি বলিয়া সহজেই অনুমিত হয়। অন্যান্য মূৰ্ত্তিগুলি কোন দেবতার ভাহা সঠিক বুঝা যায় না। ২নং শিলালিপির দ্বিতীয় পংক্তির প্রথম দুটি অক্ষর অস্পষ্ট। তার পরের অক্ষরগুলি মনস্ত, তার পরের গুলি বীরপ্তম্ভমিং। প্রথম অক্ষর দুটি "খ্রিন’ বলিয়া অকুমান হয় । যদি এই অনুমান সত্য হয়, তবে প্রস্তরপট্টটি জিনমান অর্থাৎ বৰ্দ্ধমান মহাবীরের উদ্দেশে কোন ক্ষত্রিয় বীরের [ রাজের } দ্বারা স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভের অংশবিশেষওgইতে পারে । , কে কেহ বলেন যে, এই অঞ্চল বঙ্গল সেন কোন সামন্ত ৫ প্রবাসী স্ট্র SS)8C) রাজাকে দান করেন এবং বিহারীনাথ পাহাড়ের পাঞ্জস্থিত এই গড় তাহারই ছিল বলিয়৷ জনশ্রুতি । আরও দু-এক জন অশীতিপর বৃদ্ধ মাত্র এইটুকু বলিতে পারেন যে, তাহার এই স্থানে কোন স্বাধীন রাজা রাজত্ব করিতেন শুনিয়া আসিতেছেন ও ঐ বিহারীনাথ পৰ্ব্বতস্থিত শিবলিঙ্গের বাৎসরিক উৎসব হইতে ও মেলা বসিতে দেখিয়াছেন। এই উৎসব চৈত্র মাসে আকুষ্ঠিত হইত। এখন এই শিবের উৎসব হয় না। ঐ রাজার কোন নাম বা র্তাহার রাজত্বকালের সন তারিখ তাহার দিতে পারেন না । এই স্থানে বা পৰ্ব্বতগাত্রে কোন সন তারিখ পাওয়া যায় নাই । শিলালিপি দুইটির একটিতে যে মহিলারা য়াবাস পড়া যায় তৎসম্বন্ধে যে সংবাদ সংগ্ৰহ করিতে পারিয়াছি তাহাও দিতেছি । মহিলারা বহু বংসর পূৰ্ব্বে পঞ্চকোটরাজের অধিকারভুক্ত একটি স্ববৃহৎ পরগণা ছিল বলিয়া জানা যায়। বর্তমানে ইহ বেঙ্গল কোল কোম্পানীর জমিদারীর অন্তভূক্ত। ইহার নাম পঞ্চকোটরাজ শ্ৰীল ঐযুক্ত রঘুনাথ নারায়ণ দেবের বাংলা ১১৭৮ সালের নিষ্কর ও ব্রহ্মোত্তর জমিদারীর তালিকার মধ্যে পাওয়া যায়। তিনি এইরূপ অনেকগুলি পরগণাবিশিষ্ট প্রকাও জমিদারী ইংরেজদিগের নিকট হইতে দশসালা বন্দোবস্ত মতে ভোগ করিতেন । ইহার বাৎসরিক আয় ৫৩৪৪we/২ টাকা ছিল বলিয়া থোকা বহিতে উল্লিখিত আছে এবং বাঁকুড়া জেলার বক্তমান সালতোড়া ও মেজিয়া থানার প্রায় সকল গ্রাম ও আরও অনেকগুলি গ্রামের নাম এই পরগণার জন্তর্গত মৌজা তালিকাভুক্ত দেখা যায় । এই মহিলারা পরগণার অন্তর্গত মৌজার সংখ্যা ওমূন একশত ত্রিশটি । আমি যাহা সংগ্ৰহ করিতে পারিয়াছি ও বাহু যাহা সম্ভবপর বলিয়া আছুমান করিয়াছি তাহা ব্যক্ত করিলাম । শিলালিপি-পাঠ আমি সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। সেই জন্ত ভ্রষ্ণপ্রমাদ