পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੇ দক্ষিণমেরুর মূভন্ন অভিযাত্রী ۹دبۓ গ্রাম বা আস্তানার নাম দিলেন—“লিট্‌ল আমেরিকা। এর বালীদার সংখ্যা হল ৪২ জন মানুষ ; ৮২টি কুকুর এবং প্রতিবেশী হলেন পেট্রেল, পেঙ্গুইন, সীল ও তিমি। পেঙ্গুইনরা পরম অতিথিবৎসল ও নির্ভীক প্রাণী। মানুষ বা কুকুরকে এরা একটুও ভয় করত না, দুনিয়ায় এক রাক্ষুসে তিমি-(Grampus ) :İyi NİK কারুকে ভয় করে কিনা জানি না, নিভাক চিত্তে কুকুরদের সঙ্গে মিতালী করতে যেত । ফলে লাভ হ’ত মৃত্যু । কিন্তু তাতেও হতভাগ্যগুলির চৈতন্যে দয় হত না। এদেরই ডিম ও মাংস অভিযাত্রীদের একটি প্রিয় খাদ্য ছিল । সীল ও তিমিরাও মানুষকে আমলে আনত না । মাত্র হাত কয়েক দূরে বরফের ওপর আপন খেয়ালে শুয়ে বা উৰ্দ্ধমুখ হয়ে জলে ভেসে থাকত। অবশ্য রাক্ষসে তিমি ছাড়া এদের স্বভাবও নিরীহ । এতদুভয়ই ছিল মানুষ ও কুকুরগুলির খাদ্য । রাক্ষুসেতিমিজাতিকে দক্ষিণমেরুর হিংস্রপ্রাণী বলা যেতে পারে। মানুষ বা মেরুবাসী ঐ সকল প্রাণীর সাড়া পেলেই এর শিকারের নেশায় ক্ষেপে ওঠে। শিকারের কৌশলও এদের তুচ্ছ নয়। যদি দেখে জলের ধারে বরফের ওপর কোন সীল দেহ এলিয়ে চক্ষু মুদে পরম নিশ্চিন্ত মনে স্তিমিত রৌদ্রটুকু উপভোগ করছে অমনি ডুব দিয়ে বরফের তলায় চলে যায়। তারপর নাকের এক ধাক্কায় বরফের চাপ ভেঙে বিস্মিত ভীত জলপতিত সীলটিকে পলায়নের কোন অবকাশ না দিয়ে নিমেষে মুখে পূরে ফেলে। এই অভদ্রজনোচিত ব্যবহারের জন্ত সীল ও পেঙ্গুইনরা এদের কাছ থেকে সৰ্ব্বদা দূরে দূরে থাকে। পেঙ্গুইনরা জাবার জলে নামবার পূৰ্ব্বে কিছুক্ষণ সার বেঁধে তীরে বসে কলরব করে। তাতেও যদি কোন রাক্ষসের সন্ধান না

  • ー>>

পাওয়া যায় হঠাৎ দলের একটিকে ধাক্কা দিয়ে জলে ফেলে দেয়। কাছেই কোথাও কোন রাক্ষস থাকলে সে বেচারীর আর নিস্তার নেই, মৃত্যু নিশ্চিত i ব্যাপার দেখে দলের কমাণ্ডার সকলে তৎক্ষণাং সরে পড়ে, আর জলে. নামে না । হিমশিলা বীর্ড স্বয়ং একবার এই রাক্ষসগুলোর কবলে পড়েছিলেন। কিন্তু পরম সৌভাগ্যবশতঃ তিনি রক্ষা পান । দক্ষিণমেরু মনুষ্যবাসের অযোগ্য। কেবল মানুষ কেন, ঐ সকল প্রাণী ছাড়া আর কোন প্রাণীও সেখানে রাঙ্গুসে তিমি বা গ্যামপাস্ ংস করতে পারে না। তবে এস্কিমো কুকুরগুলোর সম্বন্ধে । ঠিক করে কিছু বলা সম্ভব নয়। সৰ্ব্বনিম্ন তাপেরও e • বা ৬• ডিগ্রি নীচে ভীষণ তুষার-ঝটিকার মধ্যেও ওরা