পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাষা ও সাহিত্য t> করে তুষারমণ্ডিত স্ব উচ্চ পৰ্ব্বত, তুষারাচ্ছন্ন বিশাল উপত্যক পার হয়ে ১৯২৯ সালের ২৯শে নভেম্বর তারিখে দক্ষিণমেরুর মালভূমিতে ২৫০০ ফিট উৰ্দ্ধ থেকে আমেরিকার জাতীয় পতাকা নিক্ষেপ করলেন। তার সঙ্গে বাধা ছিল তার প্রিয় বন্ধুর সমাধিস্তম্ভের একখণ্ড প্রস্তর। এরই সঙ্গে বীর্ড নিভৃতে বসে দক্ষিণমেরুবিজয়ের কল্পনা করেছিলেন, কর্ণেল লিণ্ডবার্গের পর এরই সঙ্গে বিমানে আটলাণ্টিক সমুদ্র পার হয়ে তিনি ফ্রান্সে উপনীত হন। মেরু অভিমুখে উড়ে যাবার পথে বীর্ডের প্লেনখানির ইঞ্জিন একবার সহসা বন্ধ হয়ে যায়, দু-বার অতিরিক্ত ভারের দরুণ নীচের দিকে নামতে থাকে। ঐ অবস্থায় একবার তার মনে গভীর নৈরাঙ্গ এসেছিল। ‘হায় ! এ অভিযান বুঝি ব্যর্থ হ’ল ! এই তুষারমরুতে মৃত্যু নিশ্চিত f কিন্তু বুদ্ধিমান, ধৈর্যশালী ও সাহসী ব্যক্তির ললাট পরিশেষে खेींश्च ऎख्ण क्षुटश् ७े । বীৰ্ড চোঁদমাস দক্ষিণমেরু প্রদেশে বাস করেছিলেন। স্বখের বিষয়, এই সময়ের মধ্যে র্তার অনুসঙ্গীগণের কেউ বিশেষ অনুস্থ হয়ে পড়েন নি। সকলেই স্বস্থ, সবল ও কর্মক্ষম ছিলেন। তবে প্রত্যাবর্তনকালে ভয়ঙ্কর তুষারপাতে সকলে বিপদাপন্ন হন। কিন্তু সে সৰগ কথা এবং এই অভিযান সম্বন্ধে আরও নান| বিষয় এই সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধের অঙ্গীভূত করা গেল না। বীর্ডের দ্বিতীয় মেরু অভিযানও অনালোচিত স্নইল *

  • কোন কারণবশতঃ ৰী কর্তৃক গৃহীত আলোকচিত্রগুলি মুজিত করা - গেল না ।

ভাষা ও সাহিত্য ঐশাস্তা দেবী ভাষাই সাহিত্যের বাহন, স্বতরাং সাহিত্যের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ভাষারও উন্নত ও মার্জিত হওয়া প্রয়োজন। শুধু যে প্রয়োজন তাঁহা নয়, উন্নত সাহিত্যের একটি বিশেষ লক্ষণ স্বমার্জিত, স্বসংবদ্ধ ও স্বসমঞ্জস ভাষা। ভাষার গঠনে ও ভঙ্গীতে ঐ না ফুটিলে সাহিত্য কখনও শ্ৰীমণ্ডিত হইতে পারে না । বাংলা আমাদের মাতৃভাষা বলিয়া, অর্থাৎ বাংলা ভাষায় মা'র কোলে বসিয়া আমরা কথা বলিতে শিখিাছি বলিয়া, বাংলা ভাষার কোনো নিয়ম যে বাঙালীর অজানা থাকিতে পারে এ-কথা বোধ হয় আমরা বিশ্বাস করি না । তাই বাংলা ভাষাকে আয়ত্ত করিবার কোনো চেষ্টা না করিয়াই আজকাল জামরা অনেকে নির্বিচারে কলম ধরিয়া বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করিতে লাগিয়া গিয়াছি। স্কুলে বাংলার পরীক্ষায় যাহার পাস-সম্বরও জোগাড় করিতে পারেন না, এমন অনেক বাঙালীকে আজকাল সাহিত্যিক, এমন কি সাহিত্য-সম্পাদকও জুইতে দেখা যায়। এখনও বাহারা দশের জন্ত কলম ধরিতে শিখে নাই, সেই বালক-বালিকাদের চোখের সম্মুখে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের এই নমুনাগুলি পুস্তক পুস্তিকা ও সাময়িক পত্রের মধ্য দিয়া অষ্টপ্রহর বিরাজ করিতেছে। তাহার ফলে ইহাদের হাতে ভবিষ্যতে বাংলা সাহিত্য যে কি “জগাখিচুড়ী” তৈয়ারী হইবে ভাবিতেই ভয় করে। আজকালকার নূতনপন্থী সাহিত্যের বাংলা শব্দ, শবা-যোজনা, বানান ভঙ্গী, বিদেশী শব্দব্যবহার, বাক্য-রচনা ( sentence তৈয়ারী) ইত্যাদির কোনো নিয়ম নাই। যে সাহিত্যিকের যেটা খেয়াল, তিনি সেইটাই চালাইতেছেন এবং সম্পাদক ও প্রকাশকের স্ববোধ বালকের মত সকলের আবার মানিয়া চলিতেছেন। সাহিত্য রচনা যদি ছেলেভুলানো ব্যবসায় হইত, তাহা হইলে কাহারও বলিবার কিছু ছিল না। কিন্তু সাহিত্যিকের শিশু ত নহেনই, অধিকন্তু বৃদ্ধ লব্ধপ্রতিষ্ঠ সাহিত্যিকেরাও অনেকেই নিজ নিজ বিভিন্ন মতানুযায়ী বানান ও ভাষা ব্যবহার করেন। মানুষের স্বত্র জুত্র অবসর বিনোদনের জন্ত ফেসাহিত্য মাসিকপত্রাদির ভিড়র দিয়া বাংলার ঘরে ঘরে ফিরিতেছে,