পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to్చe ు : তাহার ভিতর সর্বদা উচ্চ ভাবের গরিম আশা করা যায় ন, কিন্তু তাহার বাহরূপে অর্থাৎ ভাষায় একটা চিরাচরিত ঐরক্ষা করিয়া চলিতে হইবে ত। দরিত্রের কুলবধু যখন আপনার রন্ধনশালায় উনানে আগুন দেয় কিংবা কলতলায় বাসন মাজিতে বসে, তখন সে ভদ্র পরিচ্ছন্ন ও মার্জিত বেশভুষার অলিখিত আইন না মানিতে পারে, কিন্তু যে-মুহূৰ্ত্তে প্রতিবাসীর গৃহে সে পা দিবে অমনি তাহাকে আট হাত কালিমাখা ছিন্নবাস ছাড়িয়া ধোপদস্ত দশ হাত শাড়ী পরিতেই হইবে। তেমনি আমার ধোপার হিসাবের খাতায় কিংবা মুীর দোকানের ফর্দে আমি বীণাপাণির প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ না করিলেও দশ জনের আসরে আমার বাণীকে যথোপযুক্ত সজ্জাতেই বাহির হইতে হইবে। এখানে অরাজকতা দেখাইয়া আমার স্বকৃত আইন ফলাইলে চলিবে না। ভাষার সাজসজ্জার আইন-ভঙ্গ আজকাল নানা দিক দিয়া করা হয়। ইহার মধ্যে খুব বড় একটা উৎপাত হইতেছে, বাংলা ভাষার ঘাড়ের উপর অন্ত ভাষার শব্দ চাপানো । স্বগীয় কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত র্তাহার কবিতায় সম্ভবতঃ প্রথম আবী ও ফার্সী শব্দ চালাইতে স্বরু করেন। তাহার একটা প্রধান কারণ ছিল—কবিতাগুলি প্রায়ই সেই সেই ভাষা হইতেই অনুদিত ; যেমন—ফার্সী কবিতার অনুবাদ– "সেলাম ! সেলাম ! আগা সাহেব হুকুম যদি হয় tफ़ौकाष्ठं भी लिई ठा' शज मईज गरद्र नग्न : নওরোঙ্গে এই নূতন সালে হোক তোমাদের জয় ।” এক্ষেত্রে সেই দেশের অভিবাদন-প্রথা বুঝাইতে ও বিশেষ দিনটিকে স্মরণ করিতেই কবি সেলাম ও নওরোজ বলিতেছেন । নহিলে হঠাৎ বিজয়ার অভিবাদন করিতে আসিয়া যদি আমরা এইরূপে কবিতা আওড়াইতাম ত ভাষার উপর অত্যাচার করা ছাড়া কিছু হইত না । • এ নির্মাণ মেহেরবান প্রভুর প্রেম-চন कूशांब नौब्र शैब्रांब एठंब्र एठब्रांश्च तििन नेिन ।।' এইখানে কবিতাটি নিতান্ত সম্রাট সাজাহান লিখিত্ত কবিতার অনুবাদ বলিয়াই আমরা "মেহেরবান" শব্দ সহ করিতেছি, নহিলে করা চলিত না। তা ছাড়া ভারতবর্ষের সহিত পারস্ত ও অস্কান্ত মুসলমান দেশের সম্পর্ক বহু দীর্ঘকালের এবং সেই মুসলমানেরা এ-দেশের রক্তের সহিত আপনাদের রক্ত মিশাইয়া ফেলাতে বহু জাবী ও ফসী শব্দ বাঙালী 睡 o 诫 ఏం8ం মুসলমানদের ভিতর দিশা বাংলা ভাষায় আসিয়া সঞ্চিত হইয়াছে। এই কারণে সেই সেই বিদেশী শব্দগুলিকে বাংলা ভাষার আভরণরূপে গ্রহণ করা যাইতে পারে। কিন্তু তাই বলিয়া যে-কোন শব্দকেই তলওয়া চলে না। কিন্তু দেখা গেল সত্যেন্দ্রনাথের অতুবাদ কবিতার ভঙ্গীতে অল্পদিনের মধ্যেই বাংলার মুসলমান ও অ-মুসলমান অনেক নূতন কবি বাংলা কবিতায় যথেচ্ছ ষে কোনো উর্দু ও ফার্সী কথা চালাইতে লাগিলেন। বাঙালীর ধুতি চাদরের সঙ্গে পম্প-স্ব ও মোজা না-হয় চলিল, তাই বলিয় শান্তিপুরী ধুতির উপর গলায় টাই এবং মাথায় সোলা হাট পরিয়াও কি ভদ্র সমাজে চলিতে হইবে ? আজকালকার সাহিত্যিকর আবার অনায়াসে লেখেন “সিল্ক্মস্থণ সাদা আর ছোট পাণ্ডুললাট, অথবা “সম্মুখেতে দুঃস্বপ্নের মতে রুক্ষ কঠিন আকাশ পদতলে ষ্টিল নীল পারহীন গভীর সাগর ” বাঙালীর ঘরের মেয়ের মুখের তুলনা খুজিতে আজকাল বাঙালী সাহিত্যিককে লিখিতে হয় “মুখ ছিল ডিমের মতন, ঠোট ছিল পুরু, ইটালীয়ান প্রিমিটিভ ও প্রি-র্যাফেলাইটের অদ্ভুত সংমিশ্রণ।" কবি কালিদাস ও রবীন্দ্রনাথের দেশে বাংলা কবিতা ও গল্পে উপমা দিবার জন্য যদি “সিদ্ধ” “ষ্ট্রল" ও প্রি-র্যাফেলাইটের আশ্রয় লইতে হয় তাহা হইলে আমাদের এতকালের সাহিত্য-সাধনার ইতিহাস ভুলিয়া যাওয়াই ভাল। নূতনত্ব কিংবা মৌলিকত্বের জন্য যদি কেহ পুরাতন কবিদের পন্থা অনুসরণ না করিতে চান, প্রকৃতিদেবীর অক্ষম ভাণ্ডার এবং অমরকোষের শব্দসমুদ্র তাহার জন্য উন্মুক্ত আছে । প্রবন্ধে অনেক ইংরেজী নাম ও শব্দ চলিলেও কাব্য ও কথা-সাহিত্যে তাহারা যে পাঠকের চোখে খোচা দেয় এ-কথা আমাদের ভুলিয়া গেলে চলিবে না। আমি এইরূপ অপপ্রয়োগের তালিকা দিতে চাই না, চাই মাতা সরস্বতীকে বাংলার ঘরে বাঙালীর রত্ন-অলঙ্কারে স্থসজ্জিত দেখিতে। বাস্তবিকই বাংলা কথা-সাহিত্যে যদি যখন-তখন দেখা যায় “হলে হওেড ক্যাণ্ডেল বলব টার ট্রং লাইট ছড়িয়ে পড়েছে” কিংরা তার হেলিওট্রোপ রঙের ব্লাউসে সিদ্ধের এমৃত্ৰয়ডারী করা" তাহ হইলে সে-সাহিত্যের ভবিষ্যৎ ভাবিতে হৃৎকম্প হয় । আরও দুঃখ হয় এই দেখিয়া, ষে, কোন কোন খ্যাতনামা বৃদ্ধ সাহিত্যিকও নবীন সাহিত্যিকদের এই ছেলে