পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের দেখাটি যদি দিতে ! প্রবাসনী ; Sం8O একবার দেখ আঁখি মেলে ধেভাবে যেমনি যেথা হোকৃ কোনো এক এমনি সন্ধ্যায় খেলে যেত ঐ মুখখানি, কী ব্যথার আরতি যে ধরা তারপরে মিলে যদি যাও, সাজাইছে রজনীগন্ধায় ! বিচ্ছেদে কিছু না ভয় মানি । যে আলোক জোগায় দিবসে মরমে মরমে গড়ি নিব মৰ্ম্মে তার সঞ্জীবনী রস মায়া দিয়ে মোর স্বর্ণসীতা নিশার আঁধারে তারি ধ্যানে জীবন্ত কবিতা সম তুমি উৎসর্গে সে বক্ষের কলস । চিত্তে রবে চির-আনন্দিতা ৷ নীরব সে অর্ঘ্যনিবেদন,— রে দুৰ্দৈব, নিষ্ঠুরা নিয়তি আশা আছে, নাই তার ভাষা, সে সাধে সাধিলি আজও বাদ, শুভ্ৰদলে স্বগন্ধ বিধারি থাক্ তবে, যা হ’ল তা হ’ল, প্রকাশে গোপন ভালবাসা । ঘৃণা করি করিতে বিবাদ । কোনোদিন তাই যদি দেখ, দেখ যদি মৰ্ম্ম আঁখি দিয়ে, 충를 농 봉 বুঝিলেও বুঝিতে বা পাঁর আজি মোর ধে-আকুতি, কী এ | এসেছ আঁধার নিয়ে শেষে কাল তুমি যাইবেই চলে, এস তুমি এস গো ত্রিযাম, এর চেয়ে সভ্য নাহি আর, মৌন এ আঁধারই মোর ভাল, শেষ রাতি আজই শেষ রাতি ! রে চিত্ত, ক্ৰন্দন তোর থামা । রাত্রি বটে জাসিবে আবার,— আজি হতে এ নিরন্ধ ঘোরে কিন্তু আর তুমি থাকিবে না, মোর মাঝে ডুবে রব আমি, থাকিবে না আঁথিরও নাগালে, দেখিব কে বঞ্চিবে আমারে, হয়ত শ্রবণও নাহি পাবে, রছিলাম বিরন্থেরই স্বামী। লুকাবে চেতনা-অন্তরালে । আজিকেই সে বিবাহ মোর আর কত কী হবে না-হবে সার্থক এ গোধূলি লগন, কে বলিবে, শুনে কী বা লাভ ! ঐ আলে শুভ শঙ্খধ্বনি, ' ইচ্ছা ছিল শুধাৰ তোমারে, , বিশ্ব হ’ল আনন্দে মগন। এখন এটুকু : শোনারই অভাব । জলিল মঙ্গল দীপমাল, বাকী সব অজানা অচেনা, ধুপগন্ধ আকাশে বাতাসে, আজ গেলে আসিবেই কাল এ ললাটে লেপিল চন্দন কাল গেলে জাজ ফিরিবে না । সন্ধ্যাতারা স্নিগ্ধ স্নেহোচ্ছাসে। চলে যেয়ে, যাবেই তো চলে, মন্দিরে মন্দিরে গুনি সেই একটি কামনা কাদে চিতে, বিবাহেরই বাদ্য মুখরিত, একবার শুধু একবার অরুন্ধতী কীৰ্ত্তিক এয়োতি শৃঙ্ক মোর করি পরিবৃত।