পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহিলা-সংবাদ কলিকাতার চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে একটি নূতন অস্ত্রোপচারবিভাগ ( সাজি ক্যাল ওজার্ড) খোলা হইয়াছে। কলিকাতানিবাসিনী ডাক্তার কুমারী সরোজিনী দত্তের প্রভূত দানে ইহা সম্ভবপর হইয়াছে। গত তেইশ বৎসর চিকিৎসা করিয়া তিনি যাহা উপার্জন করিয়াছেন, তাহা এই মহৎ কার্য্যে নিয়োজিত হইয়াছে। তিনি ৭৫,০০০ টাকা মূল্যে জমী কিনিয়া ও লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করিম্বা চিত্তরঞ্জন এভিনিউ-এর উপর একটি অট্টালিক নিৰ্ম্মাণ করান। তাহার মাসিক আয় বার শত টাকা। এই বাট ট্রাসটিদের হাতে অর্পিত হইয়াছে । তাহার মৃত্যুর পর ইহা চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের হাতে যাইবে ও ইহার সমুদয় আয় সেবাসদনের নূতন অস্ত্রোপচারবিভাগের জন্য ব্যয়িত হইবে । কুমারী সরোজিনী দত্ত যতদিন বাচিয়া থাকিবেন, ততদিন ঐ বিভাগের ব্যক্ষ নিজে নির্বাহ করিবেন। উহার অস্ত্রাদি সরঞ্জাম তিনি নিজের ব্যয়ে দান করিয়াছেন । শ্ৰীমতী স্বপ্রভা ঘোষ কুতিত্বের সহিত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম, বি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছেন। তিনি শরীরবিজ্ঞানে (ফিজিওলজীতে ) বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করিয়াছিলেন এবং রোগনিরূপণ-বিদ্যায় ( প্যাখলজীতে ) সসম্মানে (অনাস্পহ ) উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন। ইহার জন্য ভগিনী ডাঃ সুবর্ণ ঘোষের কৃতিত্বের সংবাদ পৌষের ‘প্রবাসীতে দেওয়া হইয়াছে। ইহাদের অপর ভগিনীও চিকিৎসা-বিদ্যা শিখিতেছেন। জেনিভার লীগ অব নেশ্যন্সের অন্তর্জাতিক শ্রম সম্বন্ধীয় বিভাগের অন্ততম কৰ্ম্মচারী ডক্টর রজনীকান্ত দাসের পত্নী শ্ৰীমতী সোনিয়া দ্বাস পরীক্ষার্থ মৌলিক গবেষণামূলক সার্ভ প্রধান করিয়া সম্মান উল্লেখ সহ (“with honorable mention”) onfo frtfootwo go উপাধি লাভ করিয়াছেন । এ-বৎসর কুমারী রজনীপ্রজ্ঞা দাস কলিকাতা বিশ্বकिशाजद्र इहेरठ अम्-वि नब्रेौचगंग्र फेडौ4 हहेब्राटश्न । हेनि আসামের প্রথম মহিলা ডাক্তার । ১৯৪৩ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ জন মহিলা و حساس به e : षष-s, • खम धम्-*ग्,ि प्रs चन बि-े, १ चन दि-श्लेणि, ०९ जन बि ियिद 8 छन अग्ल-नि अन्त्रीकाम्न प्लेडोक्ष হইয়াছেন । - এবার শীতকালে কলিকাতার কয়েকটি চিত্রপ্রদর্শনীতে অনেক মহিলার আঁকা ছবি প্রশংসিত হইয়াছে, তাহাজের সকলের নাম পাই নাই, কয়েক জনের দিতেছি :-রম বন্ধ, প্রভামী মিত্র, স্বধা দাসগুপ্ত, স্বকুমারী দেবী, অপুকণ দাসগুপ্ত, স্বনয়নী দেবী, হাসিরাশি দেবী, নিবেদিতা ঘোষ, চিত্রনিভা চৌধুরী, প্রভানলিনী বন্দ্যোপাধ্যায়, নিৰ্ম্মলনলিনী সাহা, ইলা মজুমদার, শৈলবালা ভট্টাচাৰ্য, মীরা আৰকত, অনুপমা ঘোষ, শাস্তি রায়, পারুল ঘোষ, অরুণ দত্ত, সম্প্রীতি দেবী, নীলিম বন্দ্যোপাধ্যায়, শাস্তি বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্ৰীমতী জ্যোতিমন্ত্ৰী গাঙ্গুলী,এম-এ, আৰ্যস্থান ইন্সিওরেন্স কোম্পানীর অন্যতম পরিচালক (ডিরেক্টর ) হইয়াছেন। কলিকাতা বধির মূক শিক্ষালয়ে বধিরমূক বালকবালিকাদিগকে শিক্ষা দিবার বিদ্যা শিখিয় বিভুবালা মিত্র, মাত্রী সেনগুপ্ত, জগশোভা ভট্টাচাৰ্য, ডি. কে. রাহুল, মহাসিনী দেবী, ও এ. এন. শাহ, বধিরমূক বালক-বালিকাদিগকে শিক্ষাদানের কাধ্যে ব্যাপৃত হইয়াছেন। এই শিক্ষয়িত্রীদের অধিকাংশ বধিরযুক। কলিকাতায় ছাত্রছাত্রীদের রামমোহন রায় শতবার্ষিক প্রদর্শনীতে পঞ্চদশবর্ষীয় কুমারী অরুণা বন্দ্যোপাধ্যায় এগার ঘোড়ার শক্তিবিশিষ্ট একটা মোটর গাড়ীর ঘন্টায় যাট মাইল গতির বেগ রোধ করিয়া অসাধারণ দৈহিক বল ও কৌশল প্রদর্শন করেন। ফানের প্রবালী'র ৬৮৮ পৃষ্ঠায় গোরখপুরে প্রবাসীবন্ধসাহিত্য-সম্মেলনের বৃত্তান্ডে লিখিত হইয়াছে, ধে, শ্ৰীমতী স্বজাত দেবী মহিলা-বিভাগের অভ্যর্থনা সমিতির নেত্রীরূপে তাহার অভিভাষণ পাঠ করেন। ইহা ভুল। শ্ৰীমতী স্বজাত দেবী মলি-বিভাগের সম্পাদিক ছিলেন । মহিলা অভ্যর্থনী-সমিতির নেত্রী ছিলেন শ্ৰীমতী মৃণালিনী দেবী চৌধুরাণী, এবং তিনিই নিজের অভিভাষণ পাঠ করেন ।