পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু স্ত্রী কোন দিন তাহাকে কিছু বলেন না। মনে হয় যেন তাহাদের মাঝখানে কোথাও খুব বড় রকম একটা বিচ্ছেদ আছে । তাহার এক দিকে স্বশীলা নিজের ঘর সংসার ছেলে পুলে লইয়া স্বতন্ত্র, নিজের মধ্যেই নিজে মগ্ন, নিঃশব্দ। কলের মত সংসারের কাজ চলিতেছে, কিন্তু দু-জনের মধ্যে বিশেষ যোগ কি বন্ধন নাই। তাহার কারণও নিশ্চয় ছিল। কিন্তু বাহির হইতে সেটা চোখে পড়ে না । চন্দ্রকাম্ভের স্ত্রীর মনে যে কোনরূপ অভিমান ছিল বা জীবনের ব্যর্থতার জাল ছিল, তাহা নয়। বস্তুতঃ সে ধরণের শিক্ষাদীক্ষাই তাহার নয়। চন্দ্রকাস্তের যখন বিবাহ হয়, তখন তাঙ্কার বয়স ছিল অল্প ; রিপণ কলেজে বি-এ পড়েন। স্বশীল ছিলেন আরও ছোট, বছর নম্ন দশের বালিকা। পল্লীগ্রামের মেয়ে, সেই অল্প বয়সেই বার, ব্রত, পাৰ্ব্বণ করিতে শিখিয়াছিলেন, নিঃশব্দ ধৈর্য্য এবং সহিষ্ণুতাও শিখিয়াছিলেন। আর সবচয়ে বেশী শিখিয়াছিলেন জীবন যেমনই হোক, তাহার পরে অসন্তোষের কারণটা নিজেদের হাতে কিংবা নিজেদের বিচারবুদ্ধির উপর না রাখিয়া ভাগ্যের হাতে সমপণ করিয়া দিবার নিৰ্ব্বিরোধ শাস্তি । কলেজে পড়িবার সময়েই চন্দ্রকাস্তের মতামতের ধারা বদলাইতে স্বরু হয়, চিন্তার সমুস্ত্রে জ্ঞানের বাতাস আসিয়া লাগিতেই কত রকমের তরঙ্গস্রোত, কত আলো-অন্ধকারের খেল, কত জোয়ার-ভাটার উৎসব আরম্ভ হইল। সেই অনভিজ্ঞ স্থদুর্গম মনোজগতের বিপর্যায়ের মাঝে স্বশীল প্রবেশ করিতে পারিলেন না ; এক পাশে দাড়াইয়া রছিলেন। সংসারযাত্রার কোন ব্যাঘাত ঘটিল না। নারী নিজের একাকীত্ব আত অনুভব করিতে পারিল না, ঘরসংসার, সন্তানের মাঝে ডুবিয়া থাকিল। তাহার নীড় রচনা হইয়া গিয়াছে,—সেখানে মিল নাই থাকুক, আশ্রয় আছে, কাজ আছে। শূন্ত ত আর নয়! নিজের কৰ্ম্মজলের মধ্যে ভূবিয়া গিয়া তিনি নীরবে দিন কাটাইতে লাগিলেন । কিন্তু চন্দ্রকাস্তের কাছে সংসার কোননি এত অব্যবহিত, এত প্রত্যক্ষ হইয় উঠে নাই। বোধ করি কোন পুরুষের कटङ्कहें ८कांन निन श्ब्र न, विलय कब्रिब्रां ऊँीक्षांच्च यज्र वैीक्षणञ्च कनब्र गंफन ! cदषप्न फेन-कांच बांबूद्र ब्रांजर, প্রিবাসী; Sово মহাব্যোমের অতলতার মধ্যে ছুটাছুটি করিতেছে, সেইখানেই তাহদের চিত্তের বিহার। যৌবনকাল হইতে তাই চন্দ্রকাস্তের নিঃসঙ্গ জীবনের একমাত্র আনন্দ ছিল রাশি রাশি বই পড়, বন্ধুবান্ধবদের ডাকিয়া ঘরের মধ্যে আডড জমান, বিনা কারণে হৈ হৈ করিয়া ঘুরিয়া বেড়ান। তাহার মধ্যে একটা অশান্ত আবেগ ছিল, তাহাকেই যেন এই সকল উপলক্ষে গোলমালের মধ্যে নিঃশেষ করিয়া দিতে চাহিতেন । এমন করিয়াও অনেক দিন কাটিয়াছিল। বন্ধুর মাঝে মাঝে হাপিয়া কহিতেন, "চন্দ্রকান্ত, ক্রমশঃ তোমার বয়স হচ্ছে, কিন্তু সংসারী হতে পারছ না কিছুতেই ।” বস্তুতঃ তাহদের অমুযোগের মধ্যে সত্য ছিল । সংসারী হইবার মত প্রকৃতিই যেন চন্দ্রকাস্তের ছিল না । অবস্থা ছিল তাহার মাঝামাঝি –গোপাল ব্যানাল্পীর দ্বীটে একথানি দোতলা ছোট পৈত্রিক বাড়ি এবং ব্যাঙ্কে কয়েক হাজার টাকার কোম্পানীর কাগজ । চন্দ্রকাস্তের বিদ্যাবুদ্ধির তখনকার কালে যে খ্যাতি ছিল তাঁহাতে তিনি একটু চেষ্টা করিলেই কলেজের অধ্যাপক হইতে পারিতেন, নিজের উপার্জনের টাকাও সঞ্চয় করিতে পারিতেন, কিন্তু সে ধরণের হিসাবী প্রকৃতি র্তাহার ছিলই না। কিছুদিন আগে বছরখানেকের জন্ত কোন এক বেসরকারী কলেজের অধ্যাপক হইয়াছিলেন ; ভাল না লাগায় ছাড়িয়া দিয়া পশ্চিমে বেড়াইতে যান। ফিরিয়া আসিয়া কোনদিন আর চাকরি করেন নাই। ব্যাঙ্কের টাকার স্বদ হইতে সংসার চলিত, কিন্তু যখনই কোন দরকার উপস্থিত হইত কিংবা চন্দ্রকাস্তের কোন খেয়ালমত বেশী টাকার প্রয়োজন হইত, তখনই ব্যাঙ্কচেক কাটিয়া আসল টাক বার করিতেন । সংসারের ভবিষ্য-ভাবনার কোন তাগিদ, কোন দুরূহ দায়িত্ববোধ যেন তার ছিলই না । ૨ এমনই করিয়া দিন কাটিতেছিল, কিন্তু তিন ছেলের পরে একমাত্ৰ সকলের ছোট মেয়ে নির্বল যখন জন্ধিল, ५कहे ५क कबिद्र बफ़ श्रेण, उपन व्वकrखब औऋन একটা স্বম্পই পরিবর্তন দেখা দিল। এতদিন এক