পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^్న • पथग्रि शास्त्रश्ण। ध्त्रकोख बनागाब्र काप्रु ७को চৌকিতে বসি জাকাশের দিকে চাহিদ ছিলেন । বন্ধক্ষণ নিঃশব্দে তাহার দিকে তাকাইয়া থাকিয়া নিৰ্ম্মলা চলিয়া গেল। বই লইতে ঘরে আর চুকিল না। সেদিন তাহার হঠাৎ মনে হইল, তাহার বাবার মত একলা বুঝি আর কেহু নাই। র্তাহাকে সকলে মিলিয়া দূরে সরাইয় রাখিয়াছে। র্তাহাকে কেহ বোঝেন, বুঝিতে চায় না। কেহ কোন প্রশ্ন করে না, জবাবদিহি খোজে না। নিজের কাছে ভালমন্দ, নিজের জীবনের সুখদু:খ, সমস্ত লইয়া তিনি স্বতন্ত্র একাকী বগিয়া আছেন। বেলা বায়োটার সময় রৌত্রপ্লাবিত নিম্পন্দ নীল আকাশের দিকে চাহিয়া আপন জীবনভারের প্রাত্তিতে র্তাহার চিন্তার গতি যেন থামিয়া গিয়াছে। নিৰ্ম্মলা কেবল কলেজের লেখাপড়া লইয়া ব্যস্ত থাকিত, মায়ের কাজের সাহায্য কল্পিত না এমন নয়। কিন্তু স্বশীলা তাহাকে ইচ্ছা করিয়া দূরে ঠেলিয়া দিতেন। মনে হইত মেয়ের প্রতি র্তাহার মনের কোমল ভাব যেন ছিলই না। কাল সন্ধ্যা হইতে স্বশীলার একটুখানি জরের মত হইয়াছে । পরের দিন সকালে নিৰ্ম্মল ভয়ে ভয়ে কাছে আসিয়া বলিল, “ম, আজ কলেজ নাইবা গেলুম, তোমার শরীর খারাপ, আমাকে দেখিয়ে দাও, আজকের মত আমি রাধি। স্বশীল উৎসাহ দেখাইলেন না , চুপ করিয়া থাকিলেন। কিছুক্ষণ পরে বলিলেন, “না বাছ, সে হবে না; তুমি কলেজে যাও । তুমি যে কলেজ না গিয়ে হেঁসেলে হাড়ি ঠেলবে, বিধাতাপুরুষ তেমন বিধান দেন নি।” নিৰ্ম্মল মায়ের উত্তর গুনিয়া মাথা নীচু করিয়া দাড়াইয়া রছিল, তাহার বড় বড় নীল চোখে জলের আভাস দেখা দিল। তাহার পরে নিঃশবে জান্তে আস্তে সেখান হইতে চলিয়া গেল । মা যখন তাহাকে স্নেহহীন অকরুণভাবে ফিরাইয়া দিলেন, নিৰ্ম্মলা নিজের হৃদয়ভার বহন করিয়া অভ্যাসমত বাহিরের ঘরের দিৰে জালিতেছিল ; শুনিতে পাইল চক্সকান্ত উত্তেজিত ভাবে কাহার সহিত তর্ক করিতেছেন। এ ঘটনা ययन किङ्ग न्डन नद्र ॥ ८कन ५कई फर्क कबिबाब भङ दिदार्च गिशनहे उ शब्र च्क ज्काम इंद्देश ज्यों। गर्षब মুক্তি

  • 8●

কিন্তু হঠাৎ ঠিক এই সময়টাতেই তাহার বাবা দ্বারের দিকে চাহিয়া চুড়িবালার টু টাংশৰ শুনিয়া বলিয়া উঠিলেন, “কে । ও, নিৰ্ম্মল বুঝি ? ত, ঘরে এসে বোল নাম৷ ” নির্খলা ঘরে ঢুকিয় পিতার কাছে ঘেঁৰিয়া দাড়াইল । নিজের কেশবিরল মন্তকে হাত বুলাইতে বুলাইতে তিনি কহিলেন, “নিৰ্ম্মল, চট্‌ করে এক পোলাচা তৈরি করে এনে আমাকে খাওয়াতে পারিস ম৷ ” নিৰ্ম্মল আপত্তি করিয়া কহিল, "এত বেলায় এমন অসময়ে চা খেতে হবে না। তুমি ত আজ সকালে দুধ খাওনি। তার চেয়ে জামি বরঞ্চ হরলিক্স মন্টেড মিল্ক দিয়ে এক পেয়ালা দুখ নিয়ে আলি " g বলিয়া চোখ তুলিয়া চাহিতেই দেখিল টেবিলের অপর প্রাস্তের একখান চেয়ারে বসিয়া একজন অপরিচিত স্বাস্থ্য তাহার দিকে চাহিয়া আছে। তাহার দৃষ্টিতে বিস্ময়, মুখত, সম্রাম । চন্দ্রকান্ত তাহার দিকে চাহিয়া বলিলেন, “দেখলে ত যামিনী, আমার নিজের কোন স্বাধীনতা নেই। ভেবেছিলুম তোমাকে তর্কে হারাব, কিন্তু চা মঞ্জুর হ’ল না।” “দেখুন,” যামিনী বলিল, “চা খেতে যখন ইচ্ছে করে তখন তার বদলে দুধ দিলে সেটা রুচির প্রতি অত্যাচার করা হয় ।” নিৰ্ম্মলার দিকে চাহিয়া তাহাকে লক্ষ্য করিয়াই সে বলিল । নিৰ্ম্মলা কোন উত্তর দিল না। চন্দ্রকান্ত বলিলেন, “নিৰ্ম্মল, লজ্জা করচি, কেন ? ও ত যামিনী।" ঘামিনী হাসিয়া উঠিয়া কহিল, “দেখলেন আপনার বাবার ধরণ ? মনে করেন আমি এত বিখ্যাত ব্যক্তি, যে, আমার কেবল নামটা বলে দিলেই সব বলে দেওয়া হয়।” ইহারও উত্তরে নির্মলা কিছু বলিতে পারিল না, কেবল সলঙ্গ স্নিগ্ধ হান্তে মুখ তুলিয়া নমস্কার করিল। অবগু তাহার সঙ্কোচ করিবার কোন কারণ ছিল না। চন্দ্রকান্তের বাহিরের ঘরে যাহারা আসিত তিনি নির্বিচারে সকলের সহিত নিৰ্ম্মলার পরিচয় করিয়া দিতেন। শিশুকাল হইতে বাবার কাছে কাছে থাকিয়া বাহিরের অপরিচিত পুরুষের সংস্পর্শে লে এমনই অভ্যস্ত হইয়াছে যে, ইহাতে তাহার অযথা কোন সঙ্কোচ আর নূতন করিয়া হয় না। কিছুকাল চুপ করিয়া থাকিয় লে যুদ্ধস্বরে, কহিল,