পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাহারা দেবোদেশে নৃত্য করে তাহারা সংসার-পাশ হইতে মুক্তিলাভ করিয়া স্বৰ্গলোকে গমন করে। চৈতন্ত মহাপ্রস্তুর পরমভক্ত গোপাল ভট্ট রচিত “হরিভক্তি-বিলালে”ও অনুরূপ উল্লেখ দৃষ্ট হয়। শৈবতন্ত্রের মতেও চতুঃষষ্টি কলার মধ্যে প্রথম কলা গীত, দ্বিতীয় কলা বাদ্য ও তৃতীয় কলা নৃত্য। প্রাচীনেরাও দেবতার প্রীতির জন্ত ভক্তিভাবে তাহার সম্মুগে নৃত্য করা দোষাবহ মনে করিতেন না। আদিযুগে পৃথিবীর সবল দেশেই সকল জাতির মধ্যেই ধৰ্ম্মাচরণের সময় ও উপাসনার সময় নৃত্যগীত করা ধৰ্ম্মানুষ্ঠানেরই একটা অঙ্গ মনে করা হইত। প্রাচীন মিশরে স্বৰ্য্যদেবের বেদীর চতুদিকে লুভ্য করার প্রথা ছিল, এমন কি পুরোহিতেরাও র্তাহাদের দেবতা এসিসের সম্মুখে মৃত্য করিতেন। মিশরীয়দের অতুকরণেই বোধ হয় প্রাচীন গ্রীসে তারকামৃত্যের স্বষ্টি হয়। প্রাচীন রোমে শবাধার বহনকালেও নৃত্য করা হইত। খ্ৰীষ্ট ধৰ্ম্মের প্রারম্ভে এমন কি পঞ্চদশ শতাব্দীতেও গীর্জায় উপাসনা-কালে নৃত্যের প্রচলন ছিল । মৃত্যকলা এককালে পৃথিবীর সকল জাতিরই যে আদরের বস্তু ছিল তাহা বিভিন্ন দেশের বিচিত্র নৃত্য হইতেই স্পষ্ট বোঝ যায়। স্কইটজারল্যাণ্ডের মনফ্রেদ নৃত্য, স্কটল্যাণ্ডের হাইল্যাণ্ড নৃত্য, প্রাচীন ইংলণ্ডের মেপেলি নৃত্য, আয়ালণ্ডের জৗগ মৃত্য, স্পেনের ফান্দাগে নৃত্য ও গ্রীসের জাতীয় ওষ্টাণ্ট জ নৃত্য ইহার নিদর্শন। নাট্যশাস্ত্র, নাট্যবেদবিবৃতি, নৰ্ত্তক-নির্ণয়, নৃত্যবিলাস প্রভৃতি গ্রন্থ পাঠে আমরা প্রাচীন ভারতীয় নৃত্যের রূপবৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে অনেক জানিতে পারি। সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে ভারতীয় নৃত্য একটা বিশিষ্টতা অর্জন করিয়াছিল। তাহার কারণ, প্রাচীন ভারতীয় নৃত্য অনেক পাশ্চাত্য তথাকৰিত নৃত্যের স্বাম কেবলমাত্র অর্থহীন অজসঞ্চালন নয় । শিগুস্কলভ হস্তপ্রসারণ বা তালে তালে পদ-সঞ্চালন মাত্রই নাচ নয়, নাচে চাই জন্তরের সহযোগিতা ; নমনীয় কমনীয় তযুদেহের স্পন্দনছিঙ্গোল ও ছন্দের সাহায্যে থাটি ইমোশনকে, পার্থিবতার শত বন্ধন বিমুক্ত রহস্যময় অপার্থিব অনুভূতিকে ব্যঞ্জনা দেওয়া ; বাহ দেখিলে প্রবৃত্তির তেজ হ্রাস হইয়া একটা মানসিক পরিত্নত ও শাস্তি আসে, যাহার প্রতি স্পন্দনে থাকে অনির্বাচনীয়ের ইতি প্রক্তি জাহারে থাকে অভূতপূৰ্ব্ব জানা అtశ్రీ রসসিক্ত একটা আধ্যাত্মিক শক্তি, যাহার সাহাধ্যে মাকুৰ সীমার মধ্যে অসীমের স্বর শুনিতে পায়, অনন্ত জগতের সহিত যোগস্থত্র স্থাপন করিয়া নিজের মহত্ব উপলব্ধি করিতে পারে। যে বিচিত্ৰ দেহভঙ্গী আজহার স্কুলচিত্তেও চিন্তার হিল্লোল জাগায়, বহুদূরের বৃহত্তর বিশ্বের দিকে হৃদয়কে টানি লয়—গতান্থগতিক দৈনন্দিন ঘটনার একঘেয়ে মনোভাব যে রাজ্যের সন্ধান তুরীয় বৃত্যে মণি বৰ্দ্ধন দিতে পারে না, প্রাচীন ভারতীয় নৃত্যে সে-সমস্তই ছিল । হিন্দুপ্রাধান্ত বিলোপের সঙ্গে সঙ্গে এবং মুসলমান বিজয়ের প্রারম্ভে ভারতীয় নৃত্য-সম্পদের প্রায় সমস্তই হারাইয়া যায়। প্রাচীন ভারতীয় নৃত্য তাহার বৈচিত্র্য লাভ করিয়াছিল, প্রাকৃতিক জগতের বিভিন্ন গতিছন্দকে অমুসরণ করিয়া— কমল-বৰ্ত্তনিক, মকর-বৰ্ত্তনিক, মায়ুরী নৃত্য, মৈনী মৃত্য, यूशं नृङा, श्लौ नृङा, ब्रश्चनौ ग्रंथगोविनौ यङ्कडि नॉभकब्रश३ ইহার প্রকৃষ্ট প্রমাণ । ভারতীয় নৃত্য কেবল দেহাংশ-বিশেষের भर्षहौन गकंगणन बांदक झिण न, cवररुद्ध जकण चवथछटबब्र