পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 8 صb ፵፩ ఏం8ం عتيجـي গতিশ্রীর প্রতি ইহার লক্ষ্য ছিল, তাই নৃত্যবিষয়ক গ্রন্থেগ্রীবাভেদ, দৃষ্টিভেদ, পাদভেদ, মস্তক সঞ্চালন প্রভৃতি নৃত্যভাগের নিদর্শন আছে। অজস্থার বলিতে নৃত্যকালীন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালন বুঝায়। ভরতমুনি করণ ও রেচক সংযুক্ত অঙ্গহার বর্ণনা করিয়াছেন, তন্মধ্যে স্থিরহন্ত, পর্যন্তক, স্বচীবিদ্ধ অপবিন্ধ, অক্ষিপ্তক, গতিমণ্ডল, পরাবৃত্ত, পাশ্বচ্ছেদ প্রভৃতি “অজস্তার নট” বৃত্যে মণি বৰ্দ্ধন বত্রিশটি অজস্থারকে তিনি প্রধান বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। মৃত্যকালে হস্তপদ সমাযোগের নামই করণ। বরণ সংখ্যায় ১১৮টি, যখা-জলপুষ্প-পুট, বৰ্ভিত, সমনখ, কটিভেল, কাটসম, বৃশ্চিক, কটিভ্রান্ত, ভূজঙ্গ-জাসিত, চক্রমণ্ডল, ললাটতিলক, ইত্যাদি। ভারতীয় নৃত্যের নিয়মানুসারে নৃত্যুকালে দণ্ডায়মান অবস্থা পৰ্যন্ত দেবলক্ষণ-সংযুক্ত হওয়া চাই। সমভঙ্গ, দ্বিভঙ্গ, ত্রিভঙ্গ, অতিভঙ্গ প্রভৃতি বিচিত্র ভঙ্গীতে দাড়ান, হস্তমুত্র দ্বার ভাৰপ্রকাশ, এই সমুয়েরই অর্থ আছে যাহা কথিত ভাষার भफ़्दै छन्थ्डे अषक याझ बिटनकैमब्र «द९ विामनै भिक्रांश শিক্ষিত এদেশীদের কাছে কেবল অর্থহীন জটিল বর্তেরই স্বষ্টি করে । কুমারস্বামী ভারতীয় নৃত্যপ্রসঙ্গে বলেন, wiß as “primarily one of gesture in which the hand plays the most important part.” কিন্তু মুদ্রা বা হস্তসঞ্চালনই ভারতীয় নাচের প্রধান অঙ্গ বলিলে সম্পূর্ণ সত্য বলা হয় না। কটিভেদ, গ্রীবাভো, দৃষ্টিভেল, পাদভেদ, করণ ও রেচক সংযুক্ত অঙ্গহার প্রভৃতি নাম হইতে স্পষ্টই অতুমিত হয় যে ইস্ত ব্যতীত অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গাদি ভারতীয় নৃত্যে উপেক্ষিত হয় নাই ; সমভঙ্গ, দ্বিভঙ্গ, ত্রিভঙ্গ, প্রভৃতি বিচিত্র স্থিতিবিলাস (pose ) ইঙ্গর সাক্ষ্য দান করিতেছে । তারপর ভারতীয় নৃত্যে কেবল ভাবের ও অঙ্গসঞ্চালনের দিকেই মৃত্যকারের দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল না। ক্ষুদ্র পায়ের নূপুরটি পর্যন্ত নৃত্যশিল্পীকে তাহার যথাযোগ্য অবদান দিতে কুষ্ঠিত হয় নাই। নৃত্যের আসরে নূপুর যে শব্দতরঙ্গের স্বষ্টি করিয়াছে সেই অতুল করুণ মধুর ধ্বনি-মাধুর্ঘ্যের স্থান অন্ত কোনও দেশের নৃত্যে নাই। তবলার বোলের সঙ্গে অনুরূপ শব্দতরঙ্গের স্বষ্টি এখনও উত্তরভারতের অনেক স্থানে দৃষ্ট হয়। আবার ভারতীয় নর্তকের অঙ্গুলিহেলনে, অঙ্গসঞ্চালনে ও প্রসাধন-কারুতায় ঘেকোনও দেশের নৃত্যের সৌন্দৰ্য্য- মলিন হইয়া যায়। প্রাচীনকালে নর্তকীর ও দেবদাসীর অপরূপ নৃত্যছন্দ ও লীলায়িত্ত গতি রসাপ্রিত সংঘম, স্থিরতা ও আন্তরিকতায় মনে কেবলমাত্র গভীর অনুভূতিই জাগায় নাই, রূপের ঝড়ও তুলিয়াছে, তাহার কারণ ভারতের দৃষ্টিতে সেদিন ইঞ্জিয় ও অতীন্দ্রিয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না, বরং যাহা ইন্দ্রিয়গ্রাহ তাহাকে ইন্দ্রিয়াতীত রূপে রূপায়িত করা এবং অতীন্দ্রিয়কে ইন্দ্রিয়ের দ্বারা উপলব্ধি করাই ছিল তাহার সাধনা, রূপ ও অরুপের মধ্যে শাশ্বত ঐক্য স্থাপনই ছিল তাহার কামা। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন প্রকারের মৃত্য হইতে আজও ঐ ঐক্যবোধের কথঞ্চিৎ নিদর্শন পাওয়া যায়। মধ্যযুগে ভারতবর্ষে নৃত্যবিদ্যা কত সমৃদ্ধি লাভ করিয়াছিল এবং কত আদরের জিনিষ ছিল তাহার আভাস পাওয়া যায় গুজরাটি গল্পব নৃত্যে, লক্ষ্মেীর নটসূত্যে, উত্তরভারতের নৃত্যে, দক্ষিণ-ভারতের মাছর, তাঙ্গোর, কোচিন অঞ্চলের বিভিন্ন প্রকারের নৃত্যে, বাংলার কাঠি, জারি, রামর্বেশে, বাউল ও