পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র याङीज छाब्रडौग्न नृङा Ե 66 অন্যান্ত পল্লী-নৃত্যে, মণিপুর অঞ্চলের রাসনৃত্যে, এমন কি সাঁওতাল, ভীল, মুগু, প্রভৃতি অনাধ্যশ্রেণীতে প্রচলিত নুত্যের সৌন্দৰ্য্যামুভূতিতেও মন বিমুগ্ধ হইয়া যায়। যে ভারতের নৃত্য এমনভাবে পরিপুষ্টি লাভ করিয়াছিল, জাতির চরম দুর্ভাগ্যবশতঃ সেই ভারতবাসী আজ প্রাচীন পুথির গলিত পৃষ্ঠায়, পাষাণবক্ষভেদী জনপরিত্যক্ত মন্দির-ধংসাবশেষের T গাত্রে সেই সুকুমার নৃত্য-কলার কণামাত্র আভাস পাইয় নিজের অতীত গরিমার নজীর দেখাইয়া তৃপ্তিলাভ করিতেছে, আজ তাহারা জানে না তাহাঁদেরই দেশের প্রাচীন ভাস্করের। একাগ্র সাধনায় বিশ্বপ্রবাহের বিরাট মনোহর ছন্দকে লুড্যের পরিকল্পনায় ধ্যানে রূপ দিবার চেষ্টা করিয়া.ছ । নটরাজের তুরীয় নৃত্যে, ইলোরা ও অন্যান্ত গুহার খোদিত পাষাণ গাত্রে স্থিতি ও গতি এ দুইটির আলিঙ্গনে জগতের জাগ্রত স্পষ্ট, ছন্দই বিশ্বের গতিমূলক আরম্ভ, ভারতবাসী তাহ জানিত ; তাই ছন্দ ও অ বৰ্ত্তকে পরিকল্পনায় দেবরূপে রূপ দিতে সমর্থ হইয়াছিল। শুষ্টি, স্থিতি, সংহার ও তিরোভাব, অনুগ্রহ এই পঞ্চকুতা শিবের তুরীয় নৃত্যে স্বচিত হইয়াছে। শুধু ধ্বংসের নৃত্যই শিবের নৃত্য নয়,—অসত্য ও অশিব কি করিয়া স্পষ্টর রমণীয় শ্ৰী লাভ করে, ক্ষুদ্র বৃহৎ হয়, অম্বন্দর স্বন্দর হয়, সেই-সমস্ত হষ্টিমূলক ব্যঞ্জনকে, সেই-সমস্ত অপরূপ সূক্ষ্মাকুভূতিকে শিবের তুরীয় নৃত্যের রূপান্তরের মধ্য দিয়া প্রকাশ করার চেষ্টা করিমুছে সেই ভারতবাসী, যাহারা নিজেদের অমৃতের সস্তান বলিয়া জানিত, যাহারা বিশ্ববাসীকে অমৃতের বাণী শুনাইতে চাহিয়াছিল। ভারতের নৃত্য শিল্পের এই দান কল্পনারাজ্যে মানুষের শ্রেষ্ঠতম দান। শ্রীকৃষ্ণের রাসনৃত্যেও বিশ্বছন্দ ও বিশ্বপ্রবাহকে অনুরূপ রূপ দেবার চেষ্টা এদেশেই হইয়াছে, ইউরোপে বা অন্ত দেশে সম্ভব হয় নাই, তাহার কারণ জগতের সমস্ত বৈচিত্র্যর মধ্যেই যে ঐক্যমূলক ঐশী লীলা রহিয়াছে এ সত্য উপলব্ধি করা অ-ভারতীয়ের পক্ষে সম্ভব হয় নাই। আলো ও ছায়া, স্বখ ও দুঃখ একই জিনিষের এদিক ওদিক্ এ সত্য ভারতবালীই হৃদয়ঙ্গম করিয়াছিল। ভারতীয় নৃত্যের পরিকল্পনায়ও তাই বহিমুখী ও অন্তমুখী দৃষ্টির মিলনের পরিচয় পাই। জাতির চরম দুর্ভাগ্য, ষে-সমস্ত মন্দির গিরিগুহায় স্থিতি ও গতির রূপ দেওয়ার চেষ্টা হইয়াছিল, জাতির অমূল্য, সম্পদ সেই ইলোর, অজন্তু, বাগ, লিগিরির এলিফেণ্ট, মমুলপুরম, উদয়গিরি, খণ্ডগিরি, কোণারক, কোন দেশে কোথায় অবস্থিত শিক্ষিত ভারতবাসীরা অনেকেই তাহ জানিয়াও জানেন না। সেই সাচি ভারত, ” ভূত্যে মণ বন্ধন “অজস্তার অমরাবতীর বিলুপ্ত বৈশিষ্ট্যের কঙ্কালস্তুপ হইতে নৃতন রূপস্থষ্টির প্রচেষ্টা হইতেছে না—সেই কঙ্কলতৃপ শুধু জাতির স্বষ্টি-প্রতিভার গতগৌরবের সাক্ষীস্বরূপই দাড়াইয়া আছে । মুদ্রা, আসন, করণ, রেচক, অঙ্গহার প্রভৃতি নৃত্যরীতিতে যে মহত্ব, যে sublimityর মধ্যে দিয়া ভারতবর্ষ অতীন্দ্রিমের স্বদ গ্রহণ করিতে চাহিয়াছিল, যাহার আংশিক ব্যঞ্জন অজস্তা, বাগ, সিগিরিয়ার চিত্রের মধ্যে পাইয়া সভ্যজগত বিস্মিত ও বিমুগ্ধ ; দুঃখ এই যে সেই মহুত্বের উত্তরাধিকারী ভারতবর্ষ মৃত্য বলিতে নটীর নাচই