পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই টাকা আমাদের কাছে ছিল, আর জামাদের আদায় করবার সময় হবে না—আপনি নিজেই বা হয় করুন গিয়ে " বুড়ী কখন চলে গিয়েছিলেন জানিনে। অভিশাপ দিয়ে গিয়েছিলেন না আশীৰ্ব্বাদ করে গিয়েছিলেন তাও মনে নাই। আমাদের এত উদ্যম, এত আনন্দ, এত আশা সবই পগু হ'ল। : পরীক্ষায় ফেল করলেও বোধ হয় কেউ এত দুঃখ পায় না। স্বাক্-মিটে গেল । তারপর গরমের দীর্ঘ তিন মাস ছুটি। প্রথমটায় কিছু দিন এই ব্যর্থতা মাঝে মাঝে মনে একটু বিধত, কিন্তু আস্তে আস্তে বুদ্ধা সম্বন্ধে সব কথা আমরা এক রকম ভুলেই গেলাম। গরমের ছুটির পর পূজার ছুটিও কেটে গেছে। তখন একটু একটু শীত পড়েছে। ‘অক্ষয় মেডিক্যাল ফারমেলি’র কাছ দিয়ে সেই বুড়ী দেখি লাঠিতে ভর দিয়ে গুড়ি গুড়ি ৰাচ্ছেন। বুড়ীকে দেখে তার নাতনীর বিয়ের খবরটা জানবার জন্তে কেমন আগ্রহ হ’ল। কাছে গিয়ে বললাম—“আমায় চিনতে পারেন?” বুড়ী চিনতে পারলে না। বললাম—“সেই যে হোষ্টেল থেকে আপনার নাতনীর বিয়ের জন্তে আমরা টাকা তুলে দিয়েছিলাম।” এইবার বুড়ী চিনতে পারলেন। হাত দিয়ে নিজের কপালে একটা আঘাত করে বললেন—“বাব, সে কথা আর ব’ল না ।” “¢कन कि ट्ज” বুড়ীর চোখ ফেটে জল এল। বললেন -“গ্যাঙ্গাখোর । মামা কি তার আপনার ?—বিশ্বের পরই তারা আমার দিদিকে নিয়ে হেঁশেলে পূরে দিলে –পাঠাতে কি চায় ? কত করে জৰে জানি । দেখি দিদি আমার তিন মাসে হাড় কখানি মাত্র হয়ে গেছে। ” - জিজ্ঞাসা কয়লাম—“জামাই কোথায় ?” —“ভগবান জানেন । তারা তাড়িয়ে দিয়েছে। গ্যাজ খাম-গোমুখ, মাখার ঠিক নেই। এপর্যন্ত আমার দিদিকে একটা লাল স্থতো দিয়েও জিজ্ঞেস করলে না, ইটে নেই, ভিটে নেই–পরের মোরে পড়ে থাৰত”— . ছিল। শে টকাফট এনে বুঢ়ীকে বললে—“এই নিন আপনার । ' «oخv মনটা কেন খারাপ হয়ে গেল। জিজ্ঞাষ করলাম“তার আর আছে কে ? . . *, * “কেউ না। আগে জানলে এমনি করে বাণী গাঙ্গুলীয় কথাম”—বুড়ী কেঁদে ফেললেন। - বড় রাগ হ’ল। বল্লাম-“এর জন্ত দায়ী সম্পূর্ণ আপনি নিজে। বাণী গাঙ্গুলী ত জোর করে আপনার নাউনীকে নিতে পারত না ? আমরা যে ছেলে ঠিক করেছিলাষ তার সঙ্গে বিয়ে দিলে—যাক্ ত বলে আর লাভ নেই। আপনি যা ভাল বোঝেন করুন গিয়ে।”—হন হন করে বড় রাস্তার দিকে রওনা দিলাম। পথে আসতে আসতে আমার মনে হ’ল—এটা যে ঠিক এই রকমই হবে এ ধেন আগে থাকৃতেই ব্যবস্থা করা ছিল । বর্তমান বাংলা ষে এই কৌলীন্যের সংস্কার থেকে এখনও একেবারে মুক্তি পায়নিআর সেই বল্লালী যুগের প্রভাব কেমন করে একটা নিরীক্ত গ্রাম্য বালিকার উপর পড়ে তার জীবনটাকে প্রথম থেকেই ওলট-পালট করে দিয়ে একটা অভিশাপের বোঝায় পরিগড় করল—এ-সব কথা-ভাবতেও আমার কষ্ট হচ্ছিল । و& তারপর দীর্ঘ সাত-আট বছর কেটে গেছে। মোহিত উকীল হয়েছে, হিমাংগু কোথায় ব্রিকৃফিল্ড খুলেছে, স্বধীর কোন বড় লোকের মেয়ে বিয়ে ক'রে তার দাপটে নাকি বেচারী নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে —এই ভাবে আমাদের বন্ধুর দলটি এখন ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে। কিন্তু যে-ঘটনা উপলক্ষ্য করে আমার এই সব পুরাতন কথা স্মরণ করা, সেটা এই—সে-বার বৈশাখ মাসে বিশেষ কোন কাধ্য উপলক্ষ্যে শান্তিপুর গিয়েছিলাম। বিকেলের দিকটায় বড্ড গরম। গঙ্গার ধারে বেড়াতে গেলাম। গঙ্গা অনেক দূরে সরে গিয়েছে। সন্ধ্যা হয়ে এল, ফিরব মনে করছি। এমন সময় দেখতে-না-দেখতে একখানা কালো মেঘ সমস্ত আকাশটা একেবারে ছেয়ে ফেলল। জোরে পা চালালাম। কিন্তু কিছুদূর আসতেই রাজ্যের পাতা আর খুলোবালি উড়ে আমাকে পথহারা করে ফেলল। সঙ্গে সঙ্গে রীতিষত शङ्कजण माब्रछ इन । माळव्र ऋषा गcथब्र टैिक् दैः क्रिक कडकखण। दफ़ बफ़ इकठूज़ कूरणग्न गांश्, करङ्गकर्छ cनफ़