১৯১৯ সালে স্মিথ কমিটি নামে একটি কমিটি নিয়োগ করা হয়। ইহারা রৌপ্য মূল্যের এতাদৃশ বৃদ্ধি দেখিয়া বিনিময়ের হার ১ শিলিং ও পেনি স্থলে একেবারে ২ শিলিং নিৰ্দ্ধারিত করিলেন । বিলাতের দেন দিবার জন্য ভারতে যে রিভাস কাউন্সিল বিক্রয় করা হইত তাহার দাবি মিটাইতে হইত বিলাতের গোল্ড ষ্টাণ্ডার্ড রিজার্ড ও পেপার কারেন্সী রিজার্ড হইতে । এই তহবিলের স্বর্ণ কোম্পানীর কাগজ ও অন্যান্য সিকিউরিটিতে খাটান হইত। টাকার মূল্য ১ শিলিং৬ পেনি থাকাকালীন এই সব সিকিউরিটি খরিদ হইয়াছিল কিন্তু এক্ষণে ভারত-সরকার রিভস কাউন্সিল ২ শিলিং দরে বিক্রয় করায় ভারতসচিবকে প্রতি-টাকায় ৬ পেনি করিয়া বেশী দিতে হইল এবং ফলে ৪০ কোটি টাকার উপর ভারত-সরকারের ক্ষতি হইয় গেল। এই সময়ে চারিদিক হইতে বিলাতে অর্থ পাঠাইবার ধুম পড়িয়া গেল। বিনিময়ের হার এতটা বাড়িয়া যাওয়ায় বিলাতী মালের দর আমাদের দেশে সস্ত হইল এবং আমাদের মালের দর বিলাতে চড়িয়া গেল । ফলে অত্যধিক আমদানী বুদ্ধি ও রপ্তানী হ্ৰাস পাইমু দেশ হইতে অর্থ বাহির হইয় যাইতে লাগিল । এদেশীয় ইংরেজ বণিক যাহার এদেশে যুদ্ধের সময় বহু টাকা রোজগার করিয়াছিল তাহারাও এইরূপ উচ্চ বাটার হারের সুবিধা গ্রহণ করিয়া লাভের কড়ি সব বিলাতে পাঠাইতে লাগিল। ভাগান্বেষীরা এই সময়ে লাভে বিলাতে টাকা পাঠাইয়া পুনরায় বাটার হার নামিলে লাভে টাকা এদেশে ফিরাইয়া আনিবেন মতলবে খুব রিভাস বিল কিনিতে লাগিল। ফলে টাকার বাজার জুয়ার আড়ায় পরিণত হইল এবং চারিদিকে একট গুরুতর বিশৃঙ্খলার স্বষ্টি হুইল। স্মিথ কমিটির একমাত্র ভারতীয় সদস্য স্তর দাবি দালাল টাকার মূল্য ২ শিলিং হার নিৰ্দ্ধারণ সম্বন্ধে পূর্ব হইতেই খুব জোর আপত্তি উত্থাপন করিয়াছিলেন। ফলত, তাহার ভবিষ্যদ্বাণী কিরূপ অক্ষরে অক্ষরে সত্য বলিয়া প্রতিপন্ন হইয়াছিল তাহ স্তর ষ্ট্যানলী রিডের নিম্নলিখিত মন্তব্য হইতে বুঝিতে পার। যাইবে :--- - A policy which was avowedly adopted ... to secure fixity of exchange, produced the greatest , fluctuations in င္ဆိုႏိုင္ရန့္စ္ဝား of a solvent country and widespread disturbances of trade, heavy losses, to the Government and brougt hund of big traders to the verge of bankruptcy. - - Sన9BO স্মিথ কমিটির নিতান্ত অপরিণামর্শ সিদ্ধান্ত বজায় রাখিতে অসমর্থ হইয়৷ ১৯২১ সাল হইতে ১৯২৫ সাল পৰ্য্যস্ত ভারত-সরকার নিশ্চেষ্টভাবে ঘটনাস্রোতে গা ভাসাইম দিলেন—যদি দৈবাৎ স্বদিনের নাগাল পাওয়া যায় এই ভরসায়। ১৯২৫ সালে ষ্টার্লিঙের মুল্য ১ শিলিং ৬ পেনিতে আসিয়া স্বর্ণমূল্যের সমান দাড়াইল এবং গভৰ্ণমেণ্ট টাকার মূল্যও ১ শিলিং ৬ পেনি অপেক্ষ যাহাতে অধিক না হয় তাহার চেষ্ট করিতে লাগিলেন । ১৯২৬ সালে হিলটন ইয়ং কমিশন ‘গোল্ড বুলিয়ান ষ্ট্যাণ্ডার্ড প্রবর্তনের প্রস্তাব করিলেন। তাহার প্রধান সূত্রগুলি এইরূপ-- যদিও আইনতঃ স্বর্ণমুদ্রার প্রচলন করা হইবে না, তথাপি স্বর্ণদ্বারাই জিনিষের মূল্যের পরিমাপ করা হইবে এবং রৌপ্যমুদ্রার মূল্য আইন করিয়া স্বর্ণের সহিত পাকাপাকি রকমে বাধিয়। দেওয়া হইবে । ভারত-গভর্ণমেণ্ট উক্ত বাধা হারে যথেচ্ছ পরিমাণ স্বর্ণমান সৰ্ব্বসাধারণের নিকট ক্রয় ও বিক্রয় করিতে বাধ্য থাকিবেন ; কিন্তু পরিমাণে কেহ ১০৬৫ তোলা বা ৪০০ আউন্সের কম সোন দিতে বা চাহিতে পারিবেন না । * নোট বা টাকার পরিবর্তে যে-কোন উদ্দেশ্যে নানকল্পে উক্ত পরিমাণ স্বর্ণমান দাবি করা চলিবে । স্বর্ণমুদ্রার প্রচলন বন্ধ করিয়া তৎপরিবর্তে সাধারণের চাহিদ-মত স্বর্ণমান দিবার মিক্ষম করায় অর্থের পরিমাণ সঙ্কোচন ও প্রসারণ দ্বার। বিনিময়ের হার ঠিক রাখা অধিকতর সহজ হইবে, এই ব্যবস্থ হক্টতে ইহার এই সুবিধা আশা করিলেন। একটি “রিজার্ভ ব্যাঙ্গ” প্রতিষ্ঠা করিয়া মুদ্র-ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত করিবার ভার তাহার উপরে দিবার জন্য অতিপ্রয়োজনীয় একটি প্রস্তাবও ইহারাই করিলেন। এতকাল গভর্ণমেণ্ট বিনিময়ের যে হার নির্দেশ করিয়া আসিয়াছেন তাহ স্থির রাখা সম্বন্ধে তাহাদের আইনতঃ কোন দায়িত্ব ছিল না। এক্ষণে ঐ দায়িত্ব গভর্ণমেণ্টের উপর বিধিমত আরোপিত হওয়ায় বাটার অনিশ্চয়তা অনেকটা হ্রাস পাইল । কিন্তু বাট্টার এই হার নির্ধারণ করা লইয়। তুমুল তর্ক উপস্থিত হইল। উক্ত কমিশনের স্ববিখ্যাত ভারতীয় সদস্য স্যর পুরুষোত্তমদাস ঠাকুরদাস ১ শিলিং ৬ পেনি হার নির্ধারণের বিপক্ষে
- আইন-প্রণয়ন কালে ৪ • তোলার অনধিক স্বর্ণ ক্রয় করিতে গভর্ণমেন্ট বাধ্য মহেন ইহাই নিৰ্ধারিত হয় । - -