ঘোর আপত্তি উত্থাপন করিয়া ১ শিলিং ৪ পেনি হার সমর্থন করিলেন। তিনি নানা প্রকারে প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিলেন যে, ১ শিলিং ৪ পেনিই স্বর্ণের সহিত রৌপ্যের স্বাভাবিক হার। ১৮৯২ সালে হাসেৰ্ল কমিটি এই হারই নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছিলেন এবং ইহাই পচিশ বৎসর কাল ( ১৮৯২ হইতে ১৯১৭ পৰ্য্যন্ত ) চলিম আসিতেছিল। লড়াইয়ের অভাবনীয় বিভ্রাটের দরুণ ইহার ব্যতিক্রম ঘটিলে ১৯১৯ সালে স্মিথ কমিটি নিতাস্ত গায়ের জোরে এই অস্বাভাবিক সাময়িক অবস্থাকে স্থায়ী করিবার চেষ্টা করেন—ভারতের ভাগ্যে তাহার পরিণামও ভয়াবহ হয়। ভারত-গবর্ণমেণ্ট যখন এই ২ শিলিং হার রক্ষা করিবার নিখীল চেষ্ট পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হন, তপন (১৯২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে) বিনিময়ের হার স্বাভাবিক নিয়মে ১শিলিং ৪ পেনির কাছাকাছি নামিয়া আসিয়াছিল । সরকার কাগজপত্র হইতে তিনি ইহাও দেপাইতে চেষ্টা করেন যে, স্বর্ণের সহিত রৌপ্যের যাহা স্বাভাবিক হার ভাহার কিছু উদ্ধে হার নিৰ্দ্ধারণ করিবার মতলব ভারত সরকার পূর্ব হইতেই পোষণ করিতেছিলেন । তিনি আরও বলেন যে, গভর্ণমেণ্ট তরফ হইতে প্রয়োজন অনুযায়ী মুদ্রার স্বাভাবিক প্রসারণ (expansion of currency ) * করিয়া বাটার স্বাভাবিক হার বেশী করিয়া দেখাইবার চেষ্ট হইয়াছে । বাটার হার ১শিলিং ৬ পেলি হইলে ভারতের সর্বপ্রকারে কিরূপ অকল্যাণ হইবে তাহাও তিনি বিস্তারিত ভাবে আলোচন করেন । তিনি বলেন, ভারতের কৃষিজীবী ও অন্যান্তের দেনার পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা । ইহার অধিকাংশ দেন যখন করা হয় তখন টাকার মূল্য ১ শিলিং ৪ cপনি ছিল। এক্ষণে উহার মূল্য ১ শিলিং ও পেনি ধরা হইলে টাকার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া হেতু দেনার পরিমাণ প্রকৃতপ্রস্তাবে শতকরা ১২। আন বৃদ্ধি পাইয় যাইবে । ভারতের এই অসহায় গরিবদের কথা ভুলিলে চলিবে না। বিনিময়ের হার অকারণে বেশী ন ধরিয়া ১ শিলিং ৪ পেনি ধরিলে বিদেশে আমাদের মালের মূল্য ষ্টালিঙের হিসাবে কম পড়িবে এবং বিদেশী মালের মূল্য টাকার হিসাবে এদেশে বেশী পড়িবে ; স্বতরাং আমাদের আমদানী কমিয়া রপ্তানী বৃদ্ধি •tion; officus: fs ( balance of trade) ভারভে মুজাতি ዓ› আমাদের অধিকতর অনুকূল হইবে--ফলে ধনাগম হইয় দেশের সমৃদ্ধি বাড়িবে। ইহাতে জিনিষের মূল্য চড়িলেও এতদ্দেশীয় শতকরা ৭৯ জন কৃষিজীবী তাহদের কৃষিজাত পণ্যের মূল্য বেশী পাইয় লাভবানই হইবে। লেখাপড় জানা অল্প বৈতনের চাকুরিয়াদের কিছু কষ্ট হইবে সত্য কিন্তু তাহদের সংখ্য বিবেচনা করিয়া তাহ ধৰ্ত্তব্য নহে। মজুরদের মজুরী লড়াইয়ের সময়ে অপ্রত্যাশিত ব্যবসা-স্ট্রীতির দরুণ এতটা বৃদ্ধি পাইয়াছিল যে, জিনিষের দর কিঞ্চিং বাড়িলেও তাহদের ৰদ্ধিত মজুরীর ষোল আনাতে হাত পড়িবে না। “হোম চার্জেস” ব| বিদেশীয় অন্য দেনার জন্য আমাদিগকে যে টাকা বেশী দিতে হইবে তাহ অতিরিক্ত শুদ্ধ ও অন্যান্য পাশুন ও সুবিধা দ্বার। পোসাইয়া বাইবে । বল বাহুল্য, কমিশনের অন্যান্য সদস্যগণ ঠাহীর মতের সহিত এক মত হইতে পারেন নাই, এবং ১৯২৭ সালের মুদ্র-আইনে অন্যান্য সর্ভ সহ তাহাদের অনুমোদিত বাটার হারই বিধিবদ্ধ হয়। এই মুদ্রানীতির নামকরণ হইল গোল্ড বুলিয়ান ষ্ট্যাণ্ডার্ড ( Gold Bullion Standaid ) ; ১৯২৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুনিয়ার আর্থিক অবস্থা ভালর দিকেই চলিল। কিন্তু তাহার পর হইতেই অপ্রতিহত গতিতে পণ্যদ্রব্যের মূল্য হ্রাস ও সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের অধোগতি হইতে মুরু করিম এবং দেশে দেশে বেকার সমস্ত বাড়িয় চলিল । সালের নবেম্বর মাসে ইংলণ্ড স্বর্ণমাল পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইল। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের রৌপ্যমুদ্রাও স্বণ হইতে সম্বন্ধট্যুত হইয়া পুনরায় ষ্ট'লিঙের সহিত যুক্ত হইল। বাট্টার হার ১ শিলিং ৬ পেনিষ্ট কুহিল । কিন্তু স্বর্ণের সহিত নহে ষ্টার্লিঙের সহিত। ষ্টলিঙের সহিত সম্বন্ধ হেতু ইহাকে ষ্টালিং এক্সচেঞ্ছ ষ্ট্যাণ্ডাড বলা হয়। স্বর্ণমান হইতে ভ্ৰষ্ট হুইয়া ষ্টালিঙের মূল্য যেমন অনিদিষ্টরূপে অনেকখানি নামিল, আমাদের রৌপ্যমুদ্রাও সঙ্গে সঙ্গে তেমনি নামিলেন। আজ পৰ্য্যন্ত সেই অবস্থাই চলিয়াছে--রাজার জয়ে জয়, রাজার ক্ষয়ে ক্ষম। রাজভাগ্য অনুসরণ করা পরম সৌভাগ্য সন্দেহ নাই, কিন্তু একটা ক্ষোভ এই যে, গোল্ড একসূচেঞ্জ ষ্ট্যাণ্ডার্ড, ষ্টার্লিং এক্সচেঞ্জ ষ্ট্যাওর্ডি বুলিয়ান এক্সচেঞ্জ ষ্ট্যাণ্ডার্ডপ্রভৃতি স্বর্ণমানের Σ έδ Φ. Σ
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।