পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

སྣང་ سبيس سنينتمد ঞ্জিটি করা বহুরূপ ভামরা রাজ-অনুগ্রন্থে দেখিলাম কিন্তু স্বর্ণমান প্রতিষ্ঠায় পুনঃ পুনঃ প্রতিশ্রুতি এবং বহু তোড়জোড় সত্ত্বেও স্বর্ণমানের সহজ স্বন্দর রূপটির দর্শন আমাদের ভাগ্যে ঘটিল না । আমদানী হ্রাস ও রপ্তানী বৃদ্ধি পাইয়া যাহাতে ধনাগম ও পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হয় তদুদেখে দুনিয়ায় সব জাতিই আজ নিজ নিজ মুদ্রামুল্য যথাসম্ভব হ্রাস করিয়া বিনিময়ের সুবিধা వీడBర গ্রহণের চেষ্টা করিতেছে, কিন্তু আমাদিগকে ১৯২৭ সাল হইতে বহু প্রতিবাদ সত্ত্বেও সেই যে ১ শিলিং ৬ পেনি হারের সহিত বাধিয়া দেওয়াহইয়াছে সেই বন্ধন হইতে আজও আমাদের মুক্তি ঘটিল না। তবে আমাদের একটি পরম সাৰনা এক্ট, অর্থশাস্ত্রের মুদ্রাতত্ত্বের অধ্যায়ে আমাদের দান নাকি অমূল্য, ৰড় বড় পণ্ডিতেরাও নাকি ইহা হইতে অনেক নুতন তথ্য জানিতে এবং অনেক চিস্তার খোরাক সংগ্ৰহ করিতে পারেন । উলুখড় শ্রীশাস্তা দেবী সংসার এতদিন আরাম আনন্দ আলস্ত বিলাস মুখ সৌভাগ্যের ভিতর দিম্বাই স্বচ্ছন্দ গতিতে চলিয়াছিল। আঞ্জ সেখানে মৃত্যুর করাল ছায়া পড়িয়া চিন্তা ও জীবনযাত্রার ধারা হঠাৎ মোড় ফিরিয়া গিয়াছে। কুবেরের আশীৰ্ব্বাদে খেলাধূল আমোদ প্রমোদের সঙ্গেই এ সংসারের পরিচয়, যমরাজার দরবারে দাড়াইয়া লড়াই করিতে ইহাদের আজ পর্য্যস্ত হয় নাই। তাই এই অনভ্যস্ত কাজে যে যত ব্যস্ত হইতেছে সে ততই ভুল ও গোল করিতেছে। গাড়ী-বারান্দায় দুইখান মোটর গাড়ী দাড়াইয়া । চালকের সন্ধস্ত। দরোয়ান উপর হইতে ছুটিয়া আসিয়া বলিল, “ডাক্তার সাহেবকে এখনি আনতে যেতে হবে, বহুজী বললেন--আর এক মুহূৰ্ত্ত দাড়াবে না।” পর মুহূর্তেই বাবুর খাস চাকর নামিয়া আসিয়া বলিল, “দুপুর বেলা যে ওষুধের কথা ডাক্তার সাহেব লিখে দিয়েছিলেন সেটা ত আনিয়ে রাখা হয়নি। আগে বাথগেট থেকে সেটা এনে তারপর যেন ডাক্তারের কাছে গাড়ী যায়।” কিন্তু গাড়ী ততক্ষণ অনেক দূর চলিয়া গিয়াছে। অগত্যা দ্বিতীয় গাড়ীখানাই বাথগেটের দোকানে ছুটিল। সিড়িতে চাকরবাকরেরা গরম জল ঠাও জল লইয়া ক্রমাগত ছুটাছুটি করিতেছে। উপরে উঠিলেই তাহদের গলার আওয়াজ ক্ষীণ এবং পায়ের শব্দ মৃদু হইয়া আদিতেছে কিন্তু নামিবার বেলা সিঁড়িতে পা দিতে না দিতেই চিরকালের অভ্যাসমত পঞ্চমে গলা চড়িতেছে । একটি অল্পবয়স্ক মেমে দ্রুতপায়ে সিড়ির কাছে আসিয়া বলিল, “তোমরা কি একদিনও গলা জঙ্গির না করে থাকৃতে পার না ? ফের যদি কারুর গলার আওয়াজ শুনি ত সববাহকে এক সঙ্গে বার করে দেব ।” মেয়েটির বয়সের ওজন একেবারেঙ্গ নাই বলিয়। দুই তিনটি দাসদাসী জবাবদিহি করিবার জন্য সমস্বরে গল উচু করিয়াই কুরু করিল, “দিদিমণি, ডেকে ডেকে সাড়া মা পেলে কি কিন্তু ঠিক সেই মুহূৰ্ত্তেই নীচ হুহতে একটি মহিলাকে উঠিতে দেখিয়া সব কয়জন একেবারে চুপ হইয়া গেল । মহিলাটির বয়স বছর বত্রিশ হুইবে ; অতি ক্ষীণ দীর্ঘ দেহযই জড়াইয়া কালো ভোমরা পাড়ের শুভ্ৰ একখানি শাস্তিপুরে শাড়ী একটা জীর্ণ গরদের হাতকাটা জামার উপর দিয়া ঘুরিয়া চাবির গোছা সমেত আঁচলটি পিঠে দুঞ্জিতেছে, মাথায় কাপড় নাই, একরাশি কালে চুল, অযত্নে হাতে জড়াইয়া এলো খোপা বাধা, তাহাতে কাটা ফিভার বালাই নাই। রুদ্ধ অশ্রীর আবেগে তাহার শুামবৰ্ণ মুখখানি লাল হইয়া উঠিয়াছে, মমতমাথা কালো চোখ দুটির করুণ দৃষ্টি অতি গভীর দেখাইতেছে। ছোট মেয়েটির পিঠে হাত দিয়া নৰাগত জিজ্ঞাসা